আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিমানের ঢাকা–ব্যাংকক ফ্লাইটের সব দায়িত্বে নারীরা
Published: 8th, March 2025 GMT
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শনিবার ঢাকা–ব্যাংককগামী বিমানের ফ্লাইট পরিচালানার সব কিছুর দায়িত্ব পালন করেছেন নারী কর্মীরা। কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা–ব্যাংককগামী বিমানের এ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন, ফাষ্ট অফিসার ও যাত্রী সেবায় নিয়োজিত কেবিনক্রুসহ সবই ছিলেন নারী।
জানা যায়, শনিবার বিমানের বিজি-৩৮৮ ব্যাংকগামী ফ্লাইট সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ১২০ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। বিকেল ৩টায় ফ্লাইটটি ব্যাংককের সূবর্ণভূমি বিমানবন্দরে পৌঁছাছে।
এ ব্যপারে বিমানের মহাব্যবস্থাপক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা বোসরা ইসলাম সমকালকে জানান, আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারীদের সমতা, ক্ষমতায়ন এবং নারীদের প্রতি সব ধরনের সহিংসতা ও বৈষম্য দূরীকরণের প্রতি একাত্মতা জানিয়ে এই বিশেষ ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়।
বিশেষ এই ফ্লাইটের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন আনিতা ও ফার্স্ট অফিসার তাসনুভা। এছাড়া ফ্লাইটের দুইজন নারী ককপিট ক্রু ছাড়াও আছেন ৫ জন নারী কেবিন ক্রু। এছাড়া ওই ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার চেকিং ইউনিট, পাসপোর্ট চেকিং ইউনিট, বোর্ডিং গেট, প্যাসেঞ্জার ও ব্যাগেজ লোডিং, ট্রিম শিট লোডিং এবং ককপিট ক্রু ও কেবিন ক্রুসহ প্রতিটি শাখায় নারী কর্মীরা কাজ করছেন। গত বছরও নারী দিবসে ‘অল উইমেন ফ্লাইট’ পরিচালনা করেছিল বিমান বাংলাদেশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে: সিপিবি
বাংলাদেশের নারী ও প্রগতিশীল সমাজ বর্তমানে এক ভয়াবহ দুঃসময় পার করছে। দেশে নারী বিদ্বেষ ও নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা অপচেষ্টা করছে। তারা নারীদের নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের ওপর সহিংসতা ও আক্রমণ চালাচ্ছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) এ কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, সেটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং সব কাজে সমান সুযোগ ও সমান মজুরি ছাড়া দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে না।’
‘তৌহিদি জনতা’র নামে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী নারীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের হেনস্তা করার পরও সরকার হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এসব অপশক্তিকে দমন করতে না পারার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।
বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নারী সমাজকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন সিপিবির নেতারা। তাঁরা বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে শোষণ-নিপীড়ন বাড়তেই থাকে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী সমাজ। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ ও শিশুহত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিপিবির কেন্দ্রীয় নারী সেলের উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে সমাবেশ ও র্যালি করবে সিপিবি।