‘কথা পরিষ্কার, এখানে কোনো জাতীয় ঐক্য হবে না’
Published: 8th, March 2025 GMT
গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে বলে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম যে বক্তব্য রেখেছেন, তা নাকচ করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কথা পরিষ্কার, এখানে (একসঙ্গে গণপরিষদ ও সংসদ নির্বাচন) কোনো জাতীয় ঐক্য, এ বিষয়ে হয়তো হবে না, একটি মেজর পলিটিক্যাল পার্টির সদস্য হিসেবে আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার।’
আজ শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, গণপরিষদ নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। তিনি মনে করেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে।
এই সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করে বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গতকাল দেখলাম, আমাদের রাজনীতিতে আসা নতুন বন্ধুরা একটা নতুন প্রস্তাব করেছেন। কিন্তু রাজনীতির একটা অভিধান আছে, যেটাকে আমরা পলিটিক্যাল গ্রামার বা ডিকশনারি বলি। সেখানে ওই রকম কোনো শব্দাবলি নেই। যেমন; একই সঙ্গে গণপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে, যদি জাতীয় ঐকমত্য হয়। এ রকম একটা কথা রয়টার্সকে বলা হয়েছে।’
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘গণপরিষদ হচ্ছে শুধু রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি ফোরাম। সেই ক্ষেত্রে যেকোনো জাতীয় সংসদের এখতিয়ারই হচ্ছে “এ টু জেড” সংবিধান সংশোধন করার এখতিয়ার। সেখানে আমরা শুনলাম, সংবিধানের ব্যাপক সংশোধনী। এখানে সেটাকে আমরা নতুন সংবিধান বলতে পারি। এটাকে যদি আপনাদের মন চায়, নতুন সংবিধান বলতে পারেন, আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। আমরা মনে করি, বিভিন্ন রকমের শব্দাবলি এবং যেগুলো রাজনৈতিক অভিধানে নাই, সেগুলোর অসংলগ্ন অপ্রয়োজনীয় আচরণ যেন না করি।’
রাজধানীর পুরানা পল্টনের একটি হোটেলে খেলাফত মজলিসের ইফতার মাহফিলে অতিথিরা। আজ শনিবার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
চার মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চারটি মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন কার্যক্রমসহ নাগরিক সেবা ডিজিটাইজড করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ভূমি, বাণিজ্য, এনবিআর এবং বিআরটিএ।
আজ শনিবার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই লক্ষ্য অর্জন করার জন্য মন্ত্রণালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ কর্মপদ্ধতি অটোমেশন করা, শতভাগ ইলেকট্রনিক ফাইল ব্যবহার এবং শতভাগ এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং নিশ্চিত করাসহ ডিজিটাল সিগনেচার–ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সেবা সহজ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যকার ডেটার আন্তক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছেন। ডেটার আন্তক্রিয়াশীলতা এবং ডেটা এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি ফর্ম ফিলাপের পরিবর্তে সিকিউর এপিআইয়ের মাধ্যমে ডেটা আদান–প্রদানের উদ্যোগ নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, দেশের মন্ত্রণালয়গুলো নিজস্ব ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করে বেশ কিছু সাইলো তৈরি করেছে। এ অবস্থায় সরকারের জরুরি দায়িত্ব হচ্ছে এই সাইলোগুলোর মধ্যে আন্তক্রিয়াশীলতা নিশ্চিত করা।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসারে প্রধান প্রধান কিছু মন্ত্রণালয়ের জন্য পাইলট প্রোগ্রাম যেকোনো মূল্যে আগামী তিন মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।