প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের একটি চুক্তিতে সই করেছে। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের টি-৭২ যুদ্ধট্যাঙ্কের জন্য এক হাজার হর্স পাওয়ারের ইঞ্জিন সরবরাহ করবে রাশিয়া। নথিপত্রহীন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ফেরত পাঠানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানাপোড়েনের মধ্যে শুক্রবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ চুক্তিটি করে। 

গতকাল শনিবার ইন্ডিয়া টুডে এ খবর জানিয়েছে। দিল্লির কর্মকর্তারা জানান, চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়ার ট্যাঙ্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের চেন্নাইভিত্তিক আর্মার্ড ভেহিকল নিগম লিমিটেডকে প্রযুক্তি সরবরাহ করবে, যাতে ‘মেইক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচেষ্টা জোরদার করা সম্ভব হয়। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি রোসোবরোনেক্সপোর্টের সঙ্গে এ চুক্তিটি সই করেছে ভারত। টি-৭২ ট্যাঙ্কগুলো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন যুগের। যুদ্ধে ব্যবহারযোগ্য এসব ট্যাঙ্ক ভারতের সামরিক বাহিনীর বহরে সংযুক্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে এ ট্যাঙ্কের সংখ্যা আড়াই হাজারের মতো। এগুলোতে ৭৮০ হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, এসব ট্যাঙ্কের হর্সপাওয়ার বাড়িয়ে এক হাজার করা হবে। বিবৃতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এসব ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন উন্নতকরণের মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বাড়বে।

ভারত বিশ্বের বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। গত কয়েক দশক ধরে ভারতের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। ইউক্রেনের কারণে মস্কোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতা কিছুটা দুর্বল হওয়ায় ভারত এখন পশ্চিমের দেশগুলোর দিকেও নজর দিচ্ছে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের আপত্তি

পুঁজিবাজারে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন প্রতারণার কথা উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট নিরীক্ষক। কোম্পানিটির সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষায় এ আপত্তি জানানো হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানিটির আর্থিক হিসেবে ৫৮.৬৭ কোটি টাকার স্থায়ী সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে ওই সম্পদের রেজিস্টার না থাকায়, সত্যতা যাচাই করা যায়নি। এছাড়া হিসাব মান অনুযায়ী, প্রতি ৩-৫ বছর অন্তর সম্পদ পূর্ণমূল্যায়ন করা দরকার পড়লেও কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ২০১৫ সালের পরে আর করেনি।

আরো পড়ুন:

সহযোগিতা বাড়াতে ডিএসই-সিএসই-পিএসএক্সের সমঝোতা স্মারক

আইপিওর খসড়া সুপারিশ জমা দিয়েছে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের

কোম্পানি কর্তৃপক্ষ আর্থিক হিসেবে ৯.১৩ কোটি টাকার মজুদ পণ্য দেখিয়েছে। তবে, সরেজমিনে কারখানা পরিদর্শনে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। বিশেষ করে ৩৪০ আইটেমের মধ্যে ১০৪টি আইটেম কাঁচামাল, বিক্রয়যোগ্য পণ্য ও প্যাকিং জিনিসের ক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

কাঁচামাল ক্রয়ের জন্য অগ্রিম ৩.২১ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে আর্থিক হিসাবে উল্লেখ করেছে ফু-ওয়াং ফুডস কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে, ২.৮৮ কোটি টাকা পূর্বের বছরের। এ অর্থের বিষয়ে কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সঠিক জবাব দিতে পারেনি নিরীক্ষককে। এমনকি কাঁচামাল সরবরাহকারীদের তালিকাও নেই। যাতে ওই অগ্রিম অর্থের বিষয়টি অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, কোম্পানির ১০৭.২২ কোটি টাকার ঋণাত্মক সংরক্ষিত মুনাফা (রিটেইন আর্নিংস) রয়েছে। এর মধ্যে, ৯৯ লাখ টাকার লোকসান ইনকাম স্টেটমেন্টের পরিবর্তে রিটেইন আর্নিংসে সমন্বয় করা হয়েছিল। এই লোকসান যদি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইনকাম স্টেটমেন্টে দেখানো হতো, তাহলে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) কমে দাঁড়াত ০.০৯ টাকা। তবে, কোম্পানিটি সেটা না করে ইপিএস বাড়িয়ে দেখিয়েছে।

আর্থিক হিসেবে কাঁচামাল সরবরাহকারীরা ১৭.৮৬ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, নিরীক্ষক এ বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে পাওনাদারদের চিঠি দিলেও ২৭ জনের মধ্যে ১১ জনের পাওনার বিষয়ে সত্যতা পেয়েছে। আর কোম্পানির হিসেবের সঙ্গে ২.১৯ কোটি টাকার অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।

ঢাকা/এনটি/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনা ওয়াসায় চাকরি, বেতন ছাড়াও আছে সার্বক্ষণিক গাড়ির সুবিধা
  • ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি টাকা
  • গাজায় যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর ৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে: জাতিস
  • অবশেষে সব বই সরবরাহ করল এনসিটিবি
  • ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক প্রতিবেদনে নিরীক্ষকের আপত্তি
  • প্রভাব কম দেশের শেয়ারবাজারে
  • হাইব্রিড সোলারে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ
  • ট্রাম্প শুল্ক, বিশ্ববাণিজ্য ও বাংলাদেশ
  • ৯ কোটির ল্যাবে বাড়ছে ই-বর্জ্য
  • মিয়ানমারে ভূমিকম্প: বৃষ্টি-গরমে বেড়েছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশা