একজন নারী মা মেয়ে স্ত্রী বোন, আসুন নারীদের সম্মান করি: বুবলী
Published: 8th, March 2025 GMT
বিশ্বজুড়ে আজ ৮ মার্চ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পালন করা হচ্ছে দিবসটি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী দিবস নিয়ে নিজস্ব মতামত তুলে ধরেছেন দেশের তারকারা। বাদ যাননি চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী।
মা, মেয়ে, স্ত্রী কিংবা বোন হিসেবে নারীদের সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে শবনম বুবলী লিখেছেন, ‘একজন নারী মা, মেয়ে, স্ত্রী, বোন। তাই আসুন সবাই নারীদের সম্মান করি। বিশ্বের সকল নারীদের জানাই নারী দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।’
কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন নারী শ্রমিকেরা। এই শ্রম আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ পথপরিক্রমায় চালু হয় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’। গত শতকের সত্তরের দশকের মাঝামাঝি দিবসটি জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ বিশ্বরূপ পায়।
প্রসঙ্গত, আগামী ঈদে আসছে বুবলীর সিনেমা ‘জংলি’ ও ‘পিনিক’ সিনেমা। ‘জংলি’ সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ ও ‘পিনিক’ সিনেমায় আদর আজাদ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মহানবীর (সা.) সময়ে স্বাবলম্বী নারীদের পেশা
ইসলামের সোনালি যুগ থেকেই নারীরা আর্থসামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হয়েছেন। বিচিত্র পেশায় অংশ নিয়ে সমাজে অবদান রেখেছেন। রাসুল (সা.)-এর যুগ থেকে হাজার বছরের মুসলিম শাসনের ইতিহাসে নারীরা জ্ঞানচর্চা, সমাজসেবা ও অর্থনীতিতে সুযোগ-সুবিধা ও নিরাপত্তা লাভ করেছেন। মহানবী (সা.)-এর যুগে অনেক স্বাবলম্বী নারী ছিল এবং তারা বিচিত্র পেশা গ্রহণ করেছেন।
ব্যবসা-বাণিজ্য
বহু নারী সে সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। নারী সাহাবি কায়লা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘নবীজির (সা.) কোনো এক ওমরাহ আদায়কালে মারওয়া পাহাড়ের পাদদেশে আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল(সা.), আমি একজন নারী। আমি বেচাকেনা করি। কিছু কিনতে চাইলে আমার কাঙ্ক্ষিত মূল্যের চেয়ে দাম কম বলি। এরপর দাম বাড়াতে বাড়াতে কাঙ্ক্ষিত মূল্যে গিয়ে পৌঁছাই। আবার কিছু বিক্রি করতে চাইলে কাঙ্ক্ষিত মূল্যের চেয়ে দাম চাই বেশি। পরে দাম কমাতে কমাতে কাঙ্ক্ষিত মূল্যে নেমে আসি।’ রাসুল (সা.) বলেন, কায়লা, এমন কোরো না। তুমি কিছু কিনতে চাইলে তোমার কাঙ্ক্ষিত মূল্যই বলো, হয় তোমাকে দেওয়া হবে, নয় দেওয়া হবে না।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২,২০৪)
আরও পড়ুনউম্মে সালামা (রা.): ইসলামের প্রথম যুগের মহীয়সী নারী০৭ এপ্রিল ২০২৫চিকিৎসা
অনেক নারীরা চিকিৎসক হিসেবে দক্ষতা অর্জন করেন। কেউ কেউ শল্যবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। তাঁদের একজন ছিলেন রুফাইদা আসলামিয়া (রা.)। তাকে ইসলামের প্রথম সেবিকাও বলা হয়। মসজিদে নববির সামনে তিনি একটি তাঁবু স্থাপন করেছিলেন। সেখানে যুদ্ধে আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হতো। আয়েশা (রা.) নিজেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে দক্ষতা অর্জন করেন। উরওয়া (রহ.) বলেন, ‘চিকিৎসাবিদ্যায় আয়েশা (রা.) চেয়ে দক্ষ আর দেখিনি। তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘খালা, আপনি এই জ্ঞান কোথা থেকে অর্জন করলেন?’ তিনি বলেন, ‘আমি মানুষকে রোগীর চিকিৎসা করতে দেখেছি এবং তা মনে রেখেছি।’ (সিয়ারু আলামিন নুবালা: ২/১৮২)
কৃষিকাজ
নারীদের অনেকে কৃষিকাজে সহযোগিতা করতেন। আসমা বিনতে আবু বকর (রা.) থেকে দীর্ঘ এক হাদিসে এসেছে, ‘যখন জোবায়ের আমাকে বিয়ে করেন, তখন তাঁর কোনো ধন-সম্পদ ছিল না। এমনকি কোনো স্থাবর জমিজমা, দাস-দাসীও ছিল না; শুধু কুয়া থেকে পানি উত্তোলনকারী একটি উট ও একটি ঘোড়া ছিল। আমি তাঁর উট ও ঘোড়া চরাতাম, পানি পান করাতাম এবং পানি উত্তোলনকারী মশক ছিঁড়ে গেলে সেলাই করতাম, আটা পিষতাম, কিন্তু ভালো রুটি তৈরি করতে পারতাম না। রাসুল (সা.) জোবায়েরকে একখণ্ড জমি দিলেন। আমি সেখান থেকে মাথায় করে খেজুরের আঁটির বোঝা বহন করে আনতাম। ওই জমির দূরত্ব ছিল প্রায় দুই মাইল।’ (বুখারি, হাদিস: ৫,২২৪)
হস্তশিল্প
তখন নারীরা হস্তশিল্পের কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতেন। রাসুল (সা.) একবার বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বপ্রথম সে আমার সাক্ষাৎ পাবে, যার হাত সর্বাধিক লম্বা।’ সুতরাং তারা নিজ নিজ হাত মেপে দেখতে লাগলেন কার হাত বেশি লম্বা। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘অবশেষে আমাদের মধ্যে জয়নবের হাতই সবচেয়ে লম্বা স্থির হলো। কেননা, তিনি হাতের কাজ করতেন এবং দান-খয়রাত করতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬,০৯৪)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদের স্ত্রী রায়িতা (রা.) ছিলেন হস্তশিল্পে দক্ষ। তিনি বিভিন্ন পণ্য তৈরি করে তা বিক্রি করতেন এবং উপার্জিত অর্থ দান করে দিতেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৬,০৩০)
আরও পড়ুনযেভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এল১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫