ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন কমলা
Published: 8th, March 2025 GMT
কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। কমলার ঘনিষ্ঠ সূত্র মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোকে এ কথা জানিয়েছে।
গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। রাজনৈতিক অঙ্গনে টিকে থাকতে নিজ রাজ্যে গভর্নরের নির্বাচনী প্রচার চালানোর পথ বেছে নেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রাক্-অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দেন কমলা। সেখানে ধনী ক্ষমতাশালী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমলার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে লড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছাকাছি রয়েছেন তিনি।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা পলিটিকোকে বলেন, কমলা হ্যারিস যদি ২০২৬ সালের গভর্নর পদে নির্বাচন করেন, তবে তিনি একটি প্রভাবশালী শক্তি হবেন।
কমলা নির্বাচনে দাঁড়ালে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কাউকে সরে যেতে বলবেন না। রব বন্টা বলেন, ‘অন্যরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে আমার মনে হয় তাঁরা হেরে যাবেন। কারণ, আমি কমলাকে সমর্থন করব।’
তিনটি অঙ্গরাজ্য নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১০ সালে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০১৪ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে তিনি মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হন।
নির্বাচিত হলে কমলা আসন্ন নির্বাচনে গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর এলেনি কোনালাকিস, ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক সিনেট নেতা টনি অ্যাটকিনস, লস অ্যাঞ্জেলেসের সাবেক মেয়র আন্তোনিও ভিলারাইগোসা, ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল পরিচালক টনি থারমন্ড আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
২০২৬ সালের ৩ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক নির্বাচন হবে জুন মাসে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন পথনকশায় ১৪ মাসে ৬১ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে
গ্যাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ত্রুটি) কমাতে পথনকশা তৈরি করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ৭টি গ্যাস কোম্পানিকে ২০২৬ সালের জুন মাস পর্যন্ত সিস্টেম লস কমানোর লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছে এ বিভাগ। বিভাগটি বলেছে, কোম্পানিগুলোকে এ সময়ের মধ্যে কমপক্ষে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনতে হবে গ্যাসের সিস্টেম লস। কাজটি না পারলে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভোগ করতে হবে শাস্তি।
সচিবালয়ে আজ বুধবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ পথনকশা চূড়ান্ত করা হয়। জ্বালানিসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামসহ কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা (এমডি) এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে যে পরিমাণ সিস্টেম লস হয়, তার আর্থিক মূল্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলার। আগামী বছরের জুনের মধ্যে পথনকশা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সিস্টেম লস অর্ধেকে নেমে এলে অন্তত ৫০ কোটি মার্কিন ডলার সাশ্রয় হবে। বর্তমান বাজার মূল্যে এর পরিমাণ ৬১ হাজার কোটি টাকা।
দেশীয় কোম্পানি, আন্তর্জাতিক কোম্পানি ও চট্টগ্রামের মহেশখালীতে থাকা দুই তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল থেকে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয় গ্যাস ট্রান্সমিশন পিএলসি লিমিটেডে (জিটিসিএল)।
জিটিসিএল পরে মিটারিংয়ের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করে ছয় কোম্পানিকে। এগুলো হচ্ছে তিতাস, বাখরাবাদ, কর্ণফুলী, জালালাবাদ, সুন্দরবন ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি। এসব কোম্পানিই পরে গ্যাস সরবরাহ করে গ্রাহকদের। সিস্টেম লসের মধ্যে তিতাস ও বাখরাবাদ গ্যাসেরই বেশি, যা সুন্দরবন গ্যাস ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের নেই বললেই চলে।
এখন থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে কোন কোম্পানি কোন মাসে সিস্টেম লস কতটা নামিয়ে আনবে, তা বেঁধে দেওয়া হয়েছে পথনকশায়। পথনকশা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কি না, তিন মাস পর তা আবার খতিয়ে দেখবেন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তিতাস গ্যাসের গত জানুয়ারি মাসে সিস্টেম লস ছিল ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে কোম্পানিটিকে এ হার ৫ দশমিক ৫ শতাংশে এবং ডিসেম্বরে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। একইভাবে বাখরাবাদের জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ সিস্টেম লস থাকলেও আগামী বছরের জানুয়ারি ও ডিসেম্বরেও কোম্পানিটিকে এ হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে।
পথনকশায় সিস্টেম লস কমিয়ে আনার ব্যাপারে তিতাসের ৩৯১ ও বাখরাবাদের ১৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কর্ণফুলী গ্যাসে ২০০, জালালাবাদে ৬৪ এবং পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসে ৩৬ জনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিস্টেম লস কমাতে সাতটি ভিজিল্যান্স দল গঠন করা হয়েছে। অবৈধ বিতরণ পাইপলাইন অপসারণ, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং বিচ্ছিন্ন করার পর এগুলো আবার পুনঃস্থাপিত হয়েছে কি না, সেগুলো সরেজমিন দেখবে দলগুলো। পুনঃস্থাপনের সঙ্গে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বা কোনো ঠিকাদার জড়িত কি না, তা–ও চিহ্নিত করা হবে।
সূত্রগুলো জানায়, গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ২ মাসে ৭০ কিলোমিটার অবৈধ পাইপলাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আর অবৈধ আবাসিক বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে প্রায় ২৭ হাজার। এ সময় ৯৬টি মোবাইল কোর্টসহ ও ১ হাজার ১৮৮টি মোবাইল কোর্ট ছাড়া অভিযান করা হয়েছে।