কমলা হ্যারিস ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য গ্রীষ্মের শেষ পর্যন্ত সময় নিয়েছেন। কমলার ঘনিষ্ঠ সূত্র মার্কিন গণমাধ্যম পলিটিকোকে এ কথা জানিয়েছে।

গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে হেরে যান সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। রাজনৈতিক অঙ্গনে টিকে থাকতে নিজ রাজ্যে গভর্নরের নির্বাচনী প্রচার চালানোর পথ বেছে নেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি। গত সপ্তাহে লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রাক্‌-অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দেন কমলা। সেখানে ধনী ক্ষমতাশালী ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমলার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর পদে লড়তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কাছাকাছি রয়েছেন তিনি।

ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা পলিটিকোকে বলেন, কমলা হ্যারিস যদি ২০২৬ সালের গভর্নর পদে নির্বাচন করেন, তবে তিনি একটি প্রভাবশালী শক্তি হবেন।

কমলা নির্বাচনে দাঁড়ালে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কাউকে সরে যেতে বলবেন না। রব বন্টা বলেন, ‘অন্যরাও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে আমার মনে হয় তাঁরা হেরে যাবেন। কারণ, আমি কমলাকে সমর্থন করব।’

তিনটি অঙ্গরাজ্য নির্বাচনে জয়লাভের পর ২০১০ সালে কমলা ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল হন। ২০১৪ সালে তিনি আবার নির্বাচিত হন এবং ২০১৬ সালে তিনি মার্কিন সিনেটর নির্বাচিত হন।

নির্বাচিত হলে কমলা আসন্ন নির্বাচনে গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
লেফটেন্যান্ট গভর্নর এলেনি কোনালাকিস, ক্যালিফোর্নিয়ার সাবেক সিনেট নেতা টনি অ্যাটকিনস, লস অ্যাঞ্জেলেসের সাবেক মেয়র আন্তোনিও ভিলারাইগোসা, ক্যালিফোর্নিয়ার স্কুল পরিচালক টনি থারমন্ড আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।

২০২৬ সালের ৩ নভেম্বর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক নির্বাচন হবে জুন মাসে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি সক্ষমতা পর্যালোচনায় কমিটি

২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের পর রপ্তানির বিপরীতে নগদ প্রণোদনা দেওয়া যাবে না। এর প্রভাবে চামড়া ও চামড়াজত পণ্য, পাটজাত পণ্য, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত কৃষি পণ্য এবং ওষুধ খাতের রপ্তানি সক্ষমতা ধরে রাখতে কি ধরনের বিকল্প সুবিধা দেওয়া যায় তা পর্যালোচনায় সম্প্রতি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।  

অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন ও সমন্বয়) ১১ সদস্যের এ কমিটির সভাপতি ।  একই বিভাগের মনিটরিং সেলের প্রথম অতিরিক্ত মহাপরিচালক এর সদস্য সচিব। সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে মনিটরিং সেলের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন করে প্রতিনিধি। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ট্যারিফ কমিশন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো এবং এফবিসিসিআইয়ের একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন। 

কমিটির কার্যপরিধিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৬ সালের পর রপ্তানি প্রণোদনা বন্ধ হয়ে গেলে এসব খাতের রপ্তানি সক্ষমতাবাড়াতে কি কি বাধা দেখা দিতে পারে তা নির্ধারণের পাশাপাশি কি উপায়ে তাদের প্রতিযোগিতা ধরে রাখা যায়, তার উপায় বের করতে হবে। এক্ষেত্রে রপ্তানি প্রণোদনা ব্যতীত অন্যান্য কি ধরনের আর্থিক ও অ–আর্থিক সহায়তা দেওয়া যেতে পারে তারও সুপারিশ করবে কমটি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এলডিসি উত্তরণের পর রপ্তানি সক্ষমতা পর্যালোচনায় কমিটি
  • ২০২৬ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির দায়িত্বে টাস্কফোর্স, নেতৃত্বে ট্রাম্প
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ব্রাজিলের দল ঘোষণা, ফিরলেন নেইমার