মেয়েরা যে ফুটবল খেলে, ছোটবেলায় তা–ই জানতেন না ঋতুপর্ণা চাকমা
Published: 8th, March 2025 GMT
বরজবাঁশি চাকমার জমিজমা বিশেষ ছিল না। ফসল যা পেতেন, তা দিয়ে সংসার চলত না। রাঙামাটির মগাছড়ি গ্রামের এই মানুষটাকে তাই নিরন্তর সংগ্রাম করতে হতো। বছর দশেক আগে ক্যানসারে বরজবাঁশির সেই সংগ্রামও থেমে যায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অথই সাগরে পড়েন তাঁর স্ত্রী বোজপুতি চাকমা। কষ্টেসৃষ্টে কীভাবে যে দিন পার করেছেন, তা শুধু তিনিই জানেন। অবশেষে মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমার হাত ধরে সচ্ছলতার মুখ দেখেছে এই পরিবার। তাঁদের ২১ বছর বয়সী মেয়েটি যে এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী ফুটবলার।
ঋতুপর্ণাকে পাদপ্রদীপের আলোয় এনেছে সাফ নারী ফুটবল। গত অক্টোবরে কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে ৮১ মিনিটে তাঁর জয়সূচক গোল গোটা দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছে। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালাভর্তি ২০ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল সেই গোল। ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ‘মনে হয়েছিল আমি আসলে দর্শকদের চুপ করাতে পেরেছিলাম।’
সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে ৭-১ জয়ের প্রথম গোলটাও তাঁর করা। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে দুই গোল করার পাশাপাশি অন্যকে গোল তৈরি করেও দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৯১তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র গোল করে বাংলাদেশকে ১-১ ড্র এনে দেন। ঋতুপর্ণার ক্রস থেকেই আসে সেই গোল। এভাবেই সাফ শিরোপা ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
মায়ের সঙ্গে সাফজয়ী ঋতুপর্ণা চাকমা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েরা যে ফুটবল খেলে, ছোটবেলায় তা–ই জানতেন না ঋতুপর্ণা চাকমা
বরজবাঁশি চাকমার জমিজমা বিশেষ ছিল না। ফসল যা পেতেন, তা দিয়ে সংসার চলত না। রাঙামাটির মগাছড়ি গ্রামের এই মানুষটাকে তাই নিরন্তর সংগ্রাম করতে হতো। বছর দশেক আগে ক্যানসারে বরজবাঁশির সেই সংগ্রামও থেমে যায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অথই সাগরে পড়েন তাঁর স্ত্রী বোজপুতি চাকমা। কষ্টেসৃষ্টে কীভাবে যে দিন পার করেছেন, তা শুধু তিনিই জানেন। অবশেষে মেয়ে ঋতুপর্ণা চাকমার হাত ধরে সচ্ছলতার মুখ দেখেছে এই পরিবার। তাঁদের ২১ বছর বয়সী মেয়েটি যে এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা নারী ফুটবলার।
ঋতুপর্ণাকে পাদপ্রদীপের আলোয় এনেছে সাফ নারী ফুটবল। গত অক্টোবরে কাঠমান্ডুতে নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে ৮১ মিনিটে তাঁর জয়সূচক গোল গোটা দেশকে আনন্দে ভাসিয়েছে। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালাভর্তি ২০ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে দিয়েছিল সেই গোল। ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ‘মনে হয়েছিল আমি আসলে দর্শকদের চুপ করাতে পেরেছিলাম।’
সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে ৭-১ জয়ের প্রথম গোলটাও তাঁর করা। টুর্নামেন্টে চার ম্যাচে দুই গোল করার পাশাপাশি অন্যকে গোল তৈরি করেও দিয়েছেন ঋতুপর্ণা। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছিল বাংলাদেশ। ৯১তম মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়র গোল করে বাংলাদেশকে ১-১ ড্র এনে দেন। ঋতুপর্ণার ক্রস থেকেই আসে সেই গোল। এভাবেই সাফ শিরোপা ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
মায়ের সঙ্গে সাফজয়ী ঋতুপর্ণা চাকমা