আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে মিয়ানমারে নির্বাচন: জান্তাপ্রধান
Published: 8th, March 2025 GMT
মিয়ানমারের সামরিক সরকার এ বছরের ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করবে। জান্তাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত মিয়ানমারে দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুত নির্বাচন নিয়ে এই প্রথম নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করলেন তিনি।
২০২১ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী অং সান সু চির সরকারকে সামরিক অভ্যুত্থানে উৎখাত করে জান্তা। এর পর থেকে দেশটিতে জান্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু করে। তখন থেকে মিয়ানমারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
জান্তা নেতা মিন অং হ্লাইং এর আগেও নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন; কিন্তু তাঁর প্রশাসন বারবার জরুরি অবস্থা বাড়িয়েছে।
সমালোচকেরা প্রতিশ্রুত নির্বাচনকে প্রহসন হিসেবে উপহাস করে বলেন, জেনারেলদের ক্ষমতায় রাখার জন্য এ নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে। কারণ, দেশটিতে ২৪টির বেশি রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের হাতে মিয়ানমারের বিশাল অংশের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে জান্তা।
গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার নামের পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলারুশ সফরের সময় হ্লাইং বলেছেন, ‘আমরা শিগগিরই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। ইতিমধ্যে ৫৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তাদের তালিকা জমা দিয়েছে।’
ডিসেম্বরে প্রকাশিত জনশুমারির প্রতিবেদন অনুসারে, জান্তা নির্বাচনের জন্য ৩৩০টি শহরের মধ্যে মাত্র ১৪৫টিতে সরেজমিনে জনশুমারি পরিচালনা করতে পেরেছে।
এই নির্বাচন দেশে আরও সহিংসতার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বর্তমানে জান্তা ও বিরোধীরা মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছে। দেশটিতে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের ফলে অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে এবং ৩৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেসে সেরা ই–কমার্স পুরস্কার পেয়েছে শপআপ
বাংলাদেশ রিটেইল কংগ্রেস ২০২৪–এ সেরা ই–কমার্স (বিটুবি) বিভাগে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছে দেশের অন্যতম বিজনেস টু বিজনেস ব্যবসা প্ল্যাটফর্ম শপআপ। বাংলাদেশের রিটেইল ইকোসিস্টেমের রূপান্তরে অবদান রাখায় শপআপের বিটুবি কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘মোকামকে’ এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল লো মেরিডিয়েনে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে শপআপ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শপআপের বিটুবি প্ল্যাটফর্ম মোকাম ছোট খুচরা বিক্রেতাদের কারখানা (মিল) ও উৎপাদকের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিতে সরবরাহব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশে ৪৫ লাখের বেশি খুচরা ব্যবসায়ী রয়েছেন উল্লেখ করে শপআপ জানায়, এই খুচরা ব্যবসায়ীদের সরবরাহের সমস্যাগুলো সমাধান করা, লাভ বাড়ানো এবং ভোক্তাদের জন্য স্থিতিশীল ও সাশ্রয়ী মূল্যের পণ্য নিশ্চিতে মোকাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
শপআপের ডিরেক্টর শাবাব দীন শরেক বলেন, ‘এই পুরস্কার আসলে ছোট মুদিদোকানদারদের অবদান। এই দোকানিরা, যাঁরা আমাদের সমাজে অসাধারণ প্রভাব ফেললেও অনেক সময় উপেক্ষিত থেকে যান। মোকামের সাফল্যের পেছনে প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে তাঁদের ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম। আমরা তাঁদের ব্যবসা বৃদ্ধি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে সমর্থন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থানে মোকাম ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টারগুলো (এমডিসি) অবস্থিত। পণ্যের চাহিদা একত্র করে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সংগ্রহের সুযোগ করে দেয় মোকাম। এতে ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের লাভ বৃদ্ধি পায় এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ওপর নির্ভরতা কমে। উন্নত প্রযুক্তি অবকাঠামো ও তথ্যভিত্তিক চাহিদা পূর্বাভাসের মাধ্যমে মোকাম বাংলাদেশের খুচরা বাজারে ক্রমাগত বিপ্লব ঘটিয়ে চলেছে।
শপআপ আরও জানায়, ২০২৩ সালে ৩ কোটি ১ লাখ মানুষ শপআপ নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত মুদিদোকান থেকে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করেছেন। এ সময়ে কোম্পানিটি ১০ লাখ মেট্রিক টন পণ্য স্থানান্তর করেছে, যা ইতিবাচকভাবে ছোট খুচরা বিক্রেতাদের ও বৃহত্তর অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে।