এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ওমরাহ পালনের রেকর্ড
Published: 8th, March 2025 GMT
মক্কায় এক দিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ওমরাহ পালনের রেকর্ড হয়েছে। গত বুধবার এক দিনে প্রায় ৫ লাখ মুসল্লি ওমরাহ পালন করেছেন। মসজিদুল হারামের ভেতরে মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং ঝামেলাহীন চলাচল নিশ্চিত করতে উন্নত ভিড় ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ পরিপ্রেক্ষিতে মসজিদুল হারামের প্রধান প্রবেশপথে স্মার্ট সেন্সর এবং উন্নত ক্যামেরা ব্যবহার করে একটি পর্যবেক্ষণব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো সঙ্গে সঙ্গে বা রিয়েল-টাইমে মুসল্লিদের চলাচলের দিকে খেয়াল রাখা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে ভিড় ব্যবস্থাপনা ঠিক করা।
মসজিদের প্রবেশপথে যে স্মার্ট ক্যামেরা বসানো হয়েছে তা প্রবেশকারীর চলাফেরা শনাক্ত করতে পারে। ফলে তাৎক্ষণিক ভিড় পর্যবেক্ষণ এবং সুনির্দিষ্ট ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই দ্বৈত ব্যবস্থায় সেন্সর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ক্যামেরা সমন্বয় করা হয়েছে। মসজিদের ব্যাপক দর্শনার্থীর কথা ভেবে এই উদ্যোগকে ভিড় ব্যবস্থাপনার উন্নতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলেছে, এআই প্রযুক্তি মসজিদের প্রবেশপথে মোতায়েন করা হয়েছে।
এর ভেতরের ভিড় পর্যবেক্ষণ এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ আরও উন্নত করার জন্য ধীরে ধীরে এর ব্যবহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বার্ষিক ১ কোটি ৩৫ লাখ ওমরাহ পালনকারীর রেকর্ডের পর, ২০২৫ সালের ৬ মার্চ এক দিনে ওমরাহ পালনের এই সংখ্যা নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ র কর ড এক দ ন মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
অবন্তিকার মৃত বাবাকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন
ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত বাবাকে কলেজের অধ্যক্ষ পদে পদায়ন দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এরই মধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অবন্তিকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মঙ্গলবার বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৩৫ জন অধ্যাপককে বিভিন্ন কলেজে পদায়ন করা হয়। পদায়নকৃতদের মধ্যে অবন্তিকার বাবা মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনকে কুড়িগ্রামের মীর ইসমাইল হোসেন কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম।
তিনটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের তালিকায় ১৩ নম্বরে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে জামাল উদ্দীনকে পদায়ন করা হয়।
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির্জা মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মো. জামাল উদ্দীন কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম সমকালকে বলেন, তালিকা প্রকাশের পরই প্রজ্ঞাপনটি আমার হাতে আসে। অবনন্তিকার বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। শিক্ষকতা ছাড়াও অন্য ৭টি সংস্থায় চাকরির সুযোগ পেয়েও তিনি শিক্ষকতাকে বেছে নেন। জীবনে তোষামোদি-তদবির করতেন না বলেই অধ্যক্ষ পদে তাকে পদায়ন করা হয়নি। এটা তার জন্য দুর্ভাগ্যজনক বিষয়।
তিনি আরও বলেন, তিনি (জামাল উদ্দীন) মারা যাওয়ার প্রায় ২ মাস পর একটি গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পদোন্নতির বিষয়ে কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তখন আমি বলেছিলাম যার পদোন্নতির জন্য তথ্য জানতে চাওয়া হচ্ছে, তিনি মারা গেছেন। কিন্তু এরপরও হয়তো ভুলে আমার মৃত স্বামীকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
আক্ষেপ করে তাহমিনা বলেন, আমার স্বামী তার প্রাপ্য সুসংবাদ দেখে যেতে পারেননি। মেয়েও তার শিক্ষা জীবনের সুখবরটি জানতে পারেনি। গত বছরের ১৯ মে অবন্তিকার স্নাতকের (এলএলবি অনার্স) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এতে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৬৫ পেয়ে আইন বিভাগে তৃতীয় স্থান অধিকার অর্জন করেছিল।
গত বছরের ১৫ মার্চ রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসায় আত্মহত্যা করেন অবন্তিকা।ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর (সাময়িক বরখাস্ত) দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে হয়রানি ও উৎপীড়নের নানা অভিযোগ করেন। এতে আত্মহত্যার প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে উভয় জামিনে মুক্ত। তবে এরই মধ্যে জবি প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে জড়িতদের বিরুদ্ধে জবির বিধি অনুসারে শাস্তি কার্যকরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জবি সূত্রে জানা গেছে।