জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে: সালাহ উদ্দিন আহমদ
Published: 8th, March 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নারীদের ভূমিকা সারা বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ শিশু ও নারী।
আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) প্রাঙ্গণে ‘অদম্য নারী শক্তিতে অজেয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সালাহ উদ্দিন আহমদ। নারী দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ওই প্রতিবেদনে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যে আকাশ থেকে গুলি করে নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। সে হিসাবে তাঁদের (নারী ও শিশু) স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক। জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সারা বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা নারী। সেই নারীদের সমৃদ্ধি এবং অগ্রগতিকে যত বেশি আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব, দেশ সে হিসাবে এগিয়ে যাবে। এটা আমাদের অবশ্যই কর্তব্য। এখানে বৈষম্যের স্বীকৃতি দেব না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা অনুযায়ী যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারীর ক্ষমতায়ন। নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে সাংবিধানিকভাবে, সংসদীয়ভাবে, আইনিভাবে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে। সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন করা হবে। সে ক্ষমতায়নের হার আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাবে।
সাংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে দেওয়া প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আশা করি সংসদের নারীদের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের দিকে আরও বেশি ভূমিকা রাখব। যেসব আইনি এবং প্রাতিষ্ঠানিক দিক আছে এবং বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান আছে, সেখানে নারীর অংশগ্রহণও নিশ্চয়ই বাড়বে, কমবে না।’
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা, বিএনপি নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শিরিন সুলতানা, শাম্মী আক্তার, নিলুফার মনি, রেহানা আক্তার, নেওয়াজ হালিমা, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি: ডিএনসিসি প্রশাসক
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, “ন্যায্য নগর গঠনে ভূমিকা রাখবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি।”
শুধু সরকার বা সিটি কর্পোরেশন নয়, নাগরিকদের সঙ্গে নিয়ে ন্যায্য নগর প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) গুলশানের নগর ভবনে অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর যৌথ আয়োজনে ‘ন্যায্য নগর গঠনে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভূমিকা’ শীর্ষক একটি পলিসি ডায়ালগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রশাসক।
আরো পড়ুন:
ডিএনসিসি প্রশাসকের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
যত্রতত্র ময়লা না ফেলার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের
স্টেট ইউনিভার্সিটির স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকীর সভাপতিত্বে পলিসি ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, “ঢাকা শহরের বেশ কিছু পরিকল্পিত এলাকা আছে যেখানে বিল্ডিংগুলোর উচ্চতা কাছাকাছি, ফলে সেই বিল্ডিংগুলোর সোলার ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। সেই এলাকাগুলোতে পরিকল্পিতভাবে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নিজস্ব বিদ্যুতের চাহিদা মিটিয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। পাশাপাশি ঢাকার আশপাশের উদ্ধারকৃত নদীর পাড়কে কাজে লাগিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন সম্ভব।”
তিনি জানান, রুফটপ সোলার প্যানেল ব্যবহারকারীদের হোল্ডিং ট্যাক্স এর ওপর ৫ শতাংশ কর রেয়াত দেওয়ার কথা ভাবছে সিটি কর্পোরেশন।
পলিসি ডায়ালগের মূল প্রবন্ধে ক্যাপসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, “জীবনের মান সূচকে ঢাকা শহর শেষ দিক থেকে ৪র্থ, বিশ্বের সবচেয়ে ধীর গতির শহর, বায়ু দূষণের তালিকায় শীর্ষে, দূষিত শহরের তালিকায় ৬ষ্ঠ, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকার ১ম সারিতে, বিশ্বে যানজটের সূচকে ৫ নম্বরে, পৃথিবীর ৪র্থ ঘনবসতিপূর্ণ শহর, শব্দ দূষণেও শীর্ষে ঢাকা এবং স্বাস্থ্য সেবার সূচকে শেষের দিকে। আর এই দূষণগুলো থেকে পরিত্রাণের অন্যতম উপায় হতে পারে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি।”
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, “নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি, পরিবহন ও শিল্প খাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে আমরা একটি সুস্থ ও সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।”
ডায়ালগে আরো অংশ নেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান ড. এম. শহীদুল ইসলাম, বিআইপি এর উপদেষ্টা বোর্ডের আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফজলে রেজা সুমন, বুয়েটের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির সাবেক ডিন ড. ইজাজ হোসে, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ গবেষণা কেন্দ্রের (সিথ্রিইআর) সমন্বয়ক (অপারেশনস) মিসেস রৌফা খানম, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, (ডব্লিউবিবিটি) এর পরিচালক গাউস পিয়ারী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রাশেদুজ্জামান মজুমদার, ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোরশেদ, ইয়ুথনেট গ্লোবাল এর সমন্বয়ক সোহানুর রহমান, বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) এর রিসার্চ লিড ইঞ্জিনিয়ার মারজিয়াত রহমান, ব্রাইটার্সের চেয়ার ফারিহা সুলতানা অমি, ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের নির্বাহী পরিচালক শামীম আহমেদ মৃধা, ন্যাকমের পরিচালক রাশিদুজ্জামান আহমেদ, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কনসালটেন্ট আহমেদ শামীম আল রাজি, সাসটেইনেবল রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি লিমিটেডের (এসআরসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু জুবায়ের, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের গবেষণা ও বাস্তবায়ন প্রধান মো. ইকবাল ফারুক, ও. ক্রিডস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার মো. শাহাদাত হোসেন, সচেতন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার কামরুজ্জামান সাগর, ইকিউএমএস কনসাল্টিংয়ের টেকনিক্যাল ম্যানেজার (টেস্টিং) আহমেদ জুবায়ের, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক, অ্যাকশন এইডের প্রোগ্রাম অফিসার হামিদুল ইসলাম এবং মিশন গ্রিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান রনি।
ঢাকা/আসাদ/সাইফ