পাবনার সাঁথিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বাউল শিল্পী আব্দুল জব্বারকে (৬০) মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়ার প্রতিবাদে ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার সাঁথিয়া থানার সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁর পরিবারের সদস্য ও বাউল শিল্পীরা। এ সময় তারা আরেক সংগীত শিল্পী পলাশ সরকারসহ জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানান।

মারধরে আহত শিল্পী আব্দুল জব্বার উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের দত্তপাড়া তেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত ঈমান শেখের ছেলে। সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিলে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ফিরে যান।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ঘটনা ধামাচাপা দিতে শিল্পী পলাশ সরকার নিজের ঘর নিজেই ভাঙচুর করেছেন। লুটপাটের মিথ্যা নাটক সাজিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মামলা দায়ের করেছেন। তারা জানান, গত ২ মার্চ আব্দুল জব্বার ধোপাদহ বাজার থেকে ইফতারি কিনে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষ পলাশ সরকার, আব্দুস সালাম ও জাহিদুল ইসলাম রড ও লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করে হাত ভেঙে দেন। 

আব্দুল জব্বারের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা চলে যান। আহত অবস্থায় স্বজনরা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

এ বিষয়ে সংগীত শিল্পী পলাশ সরকার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে জব্বার পক্ষের সঙ্গে জমি নিয়ে আমাদের বিরোধ চলছে। তাঁর লোকজন আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং আমার বাবাকে আঘাত করে। আমাকে আঘাত করতে এলে আত্মরক্ষার্থে তাঁকে একটি আঘাত করি।’

সাঁথিয়া থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক ও বন্ধন থিয়েটারের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সেলিম এবং শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও আবৃত্তি সংসদের সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, তারা শিল্প-সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করেন। এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। একজন শিল্পী হয়ে আরেকজনকে মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া ঠিক হয়নি। এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান তিনি।

সাঁথিয়া থানার ওসি সাইদুর রহমান বলেন, উভয় পক্ষ মামলা করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প বন ম রধর ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী সানি সরকারের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী সানি সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বুধবার (৯ এপ্রিল) সাড়ে ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

ঢাবির ভর্তিতে ‘আরবি’ জটিলতা থাকছে না

প্রথমবারের মতো স্প্রিং স্কুলের আয়োজন করেছে ঢাবি

এর আগে, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের ব্যানার নামাতে বলায় সানি সরকারের ওপর হামলা করেন তারা। এতে সানি সরকারসহ বেশ কয়েকজন ঢাবি শিক্ষার্থী আহত হন।

হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের ‘সানির ওপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, হিজবুত তাহরির নো মোর’, ‘হিজবুত তাহরিরের ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।

এ সময় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম শিহাব বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানির ওপর হিজবুত তাহরিরের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে আহত করেছে। সানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। তার ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমরা গতকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে হামলায় যারা জড়িত ছিল, তাদের ভিডিও, ছবি এবং অন্যান্য প্রমাণাদি সহকারে স্মারকলিপি দিয়েছি। আমরা দাবি জানিয়েছি, এর সঙ্গে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।”

২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের নাবিলা তালুকদার বলেন, “গত ৭ এপ্রিল সানি নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কালো পতাকা নামাতে বললে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও মবের কথাই বলছে। সে যদি মারা যেত, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর কী জবাব দিত?”

তিনি বলেন, “আমরা সানির ওপর এ ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরিরের কার্যক্রম ক্যাম্পাসসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।”

ভুক্তভোগী সানির সহপাঠী কাজী খবিরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরির মব সৃষ্টির মাধ্যমে সানি সরকারের ওপর হামলা চালিয়েছে। পরবর্তিতে আমরা দেখেছি একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া হলুদ সাংবাদিকতার মাধ্যমে হেডলাইন করেছে, সানি ইসরায়েলের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে বলে তাকে মারধর করা হয়েছে।”

তিনি বলেন, “আমরা সংবাদ মাধ্যমের কর্তাব্যাক্তিদের কাছে আহ্বান জানাই, আপনারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে সঠিক সংবাদ প্রচার করুন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ সারা বাংলাদেশ থেকে হিজবুত তাহরিরের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ দাবি করছি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে ইবিতে শাটডাউন কর্মসূচি
  • জামালপুরে সাংবাদিক রব্বানি হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • টাঙ্গাইলে ৭ দাবিতে এ আই টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি
  • ঢাবি শিক্ষার্থী ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সানির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • এক ঘণ্টা দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ, আরও দুজন গ্রেপ্তার
  • চট্টগ্রামে পদোন্নতি বঞ্চিত ফরেস্টার ও ফরেস্ট গার্ডদের মানবন্ধন
  • শিশু তাবিবের হাতে প্ল্যাকার্ড ‘বাবা হত্যার বিচার চাই’
  • লবণের ন্যায্যমূল্য চায় এনসিপি
  • তিন নদীতে দেদার বালু উত্তোলন ভাঙনের ঝুঁকিতে বাড়িঘর