আগামী জাতীয় নির্বাচনে ‘ইসলামপন্থীদের একটি বাক্স’ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। এ বিষয়ে কৌশল নির্ধারণে অন্য সমমনা ইসলামী সংগঠনগুলোর সঙ্গে কার্যকর আলোচনার জন্য উভয় দল আন্তরিকভাবে চেষ্টা করবে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে দুই দলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। আজ শনিবার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় বর্তমান দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উভয় দল ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে এবং দেশপ্রেমিক গণমানুষের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামপন্থীদের একটি বাক্স দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছে।’

সভায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, সহসভাপতি মাওলানা আবদুল কুদ্দুস কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমদ, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মনজুরুল ইসলাম আফিন্দী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ও মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে’

নারায়ণগঞ্জে উল্টোপথে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকে দেওয়ায় যানজট নিরসনের দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের শাসিয়েছেন এক বিএনপি নেতা। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের তিনি বলেন, ‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে।’ ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
 
অভিযোগ ওঠা বিএনপি নেতা ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, ঘটনাটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে। ঢাকার দিক আসা রেজা রিপনের গাড়িটি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ভবনের অল্প দূরে উল্টোপথে চাষাঢ়ার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের পক্ষে যানজট নিরসনে থাকা শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকে দেন। তখন রেজা রিপন এক ছাত্রকে ডেকে বলেন, ‘কী সমস্যা?’ উত্তরে ছাত্রটি বলে, ‘এটি উল্টো দিক দিয়ে যাওয়ার গাড়ি না তো।’ 

এরপর রেজা রিপন বলেন, ‘তোমরা চেম্বার অব কমার্সের না? সোহেলকে (চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি) ফোন করো। ফোন করে জিজ্ঞেস করো হু আই এম? আমি এখান দিয়েই যাব, সরো।’ এটি বলে তিনি গাড়ির গ্লাস উঠিয়ে দিয়ে যেতে চান। উত্তরে ছাত্রটি বলে, ‘চেম্বার অব কমার্সের হলেও আমরা ছাত্র। সবার জন্য আইন সমান।’ চাষাঢ়াগামী রাস্তা দেখিয়ে তা সম্পূর্ণ ঠিক আছে বলেও জানায়। এর মধ্যে রেজা রিপনের পক্ষে বিএনপি এক কর্মী এসে ছাত্রদের সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। 

ওই সময় রেজা রিপনকে বলতে শোনা যায়, ‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে।’ গাড়ি আটকানো ছাত্রটি তখন ‘এটা বললে তো আর কিছু বলার নেই’ বলে গাড়িটি ছেড়ে দেন।

নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিকেএমইএ সহসভাপতি (অর্থ) সোহেল সারোয়ার বলেন, দ্বিতীয় রমজানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। যানজট নিরসনে শিক্ষার্থীরা কাজ করছে। আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
 
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, যতটুকু শুনেছি রেজা রিপনের বাসায় ফেরার তাড়া ছিল। সে কারণে হয়তো যানজট এড়াতে উল্টোপথে যেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁর কটুকথা বলা উচিত হয়নি। তিনি ছাত্রদের বুঝিয়ে বলতে পারতেন। আমরা তাঁকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করব।
 
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারায়ণগঞ্জের অন্যতম ছাত্র সমন্বয়ক মুন্নি সর্দার বলেন, যাদের কাছ থেকে আমরা শিখব, তাদের এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
তবে ঘটনাস্থলে থাকা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নর্থ সাউথের সামনে মারামারির ঘটনায় ছাত্রদলের তদন্ত কমিটি
  • ‘এই শহরে থাকতে হলে চিনতে হবে’
  • আ’লীগ নেতার কারখানার ধুলায় অতিষ্ঠ মানুষ
  • ঐকমত্য কমিশন: সংস্কারের বিষয়ে মতামত চেয়ে দলগুলোকে চিঠি