রাতেও পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে, সকালে নদীতে লাশ
Published: 8th, March 2025 GMT
খুলনার ডুমুরিয়ায় মাছ ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান মোড়লের (৪২) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার চেঁচুড়ি গ্রামসংলগ্ন হরি নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তিনি উপজেলার ধামালিয় ইউনিয়নের চেঁচুড়ি গ্রামে কৃষক খরিব মোড়লের ছেলে।
জিয়াউর রহমানের বাবা খবির মোড়ল জানান, জিয়াউর শুক্রবার বিকেলে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হন। তারাবি নামাজের কিছুক্ষণ আগেও পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। কিন্তু রাতে বাড়িতে ফেরেননি। মোবাইল ফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি। সকালে নদীতে তার লাশ দেখা গেছে। তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও এক ছেলে রয়েছে।
কী কারণে জিয়াউর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, এ বিষয় তার পরিবারের কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ওসি শেখ শাহজাহান আলী জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীর ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। খুনিরা নির্জন স্থানে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খানাজাহান আলীর মাজারে মেলা শুরু, ভক্তদের ঢল
বাগেরহাটে খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাৎসরিক মেলা। প্রতিবছরের মতো এবারো চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি অনুযায়ী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মাজার প্রাঙ্গণে মেলা শুরু হয়।
মেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নারী-পুরুষ জড়ো হয়েছেন মাজার এলাকায়। আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে মেলা।
এদিকে, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা দায়িত্ব পালন করছেন মেলা এলাকায়। পাঁচ শতাধিক মৌসুমি ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরণের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ভক্ত-দর্শনার্থীদের দোকানিদের কাছ থেকে পছন্দের পণ্য কিনতে দেখা গেছে।
আরো পড়ুন:
বৈশাখী মেলা সামনে রেখে মৃৎশিল্পীদের ব্যস্ততা
পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বই মেলা শুরু
মেলায় অংশগ্রহণকারীরা লালন, মুর্শিদি, ভাটিয়ালিসহ বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গান পরিবেশন করছেন। আগত মানুষরা সৃষ্টিকর্তার আরাধনা ও নিজেদের মনের ইচ্ছা পূরণের আশায় এসেছেন।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থেকে আসা রফিক নামে এক দর্শনার্থী বলেন, “অনেক বছর ধরে মাজার মেলায় আসি। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। খুব ভালো লাগে মেলায় আসতে পেরে। এখানে যে দীঘিটি রয়েছে, সেখানে গোসল করলে মনে শান্তি আসে।”
মেলায় আসা নুরুননাহার বলেন, “আজ ভোরে আসছি। রবিবার রাতে যাব। এখানে ভাই-বোনদের সঙ্গে গান করব। মনের আশা পূরণে সবাই মিলে প্রার্থনা করব। আশা করি, চাওয়া পূরণ হবে।”
খানজাহান আলী (রহ.) এর মাজারের অন্যতম খাদেম ও ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির তারিকুল ইসলাম বলেন, “৬০০ বছর আগে হযরত খানজাহান আলী (রহ.) পুণ্যভূমি বাগেরহাটে আসেন। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেশ-বিদেশের হাজারো ভক্তের সমাগম ঘটে মাজারে। তারা এখানে এসে মাজার জিয়ারত ও দীঘিতে গোসল করেন। তারা তাদের মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লার দরবারে কান্নাকাটি করেন।”
তিনি আরো বলেন, “এখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। এটি দক্ষিণাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা। মেলায় যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ