বছর চারেক আগে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের ‘বড়লোকের বেটি’শিরোনামের একটি গানে মজেছিল শ্রোতারা। সেই মিউজিক ভিডিওতে বাঙালি কন্যার বেশে জ্যাকুলিন তার রূপে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছিলেন। এবার দ্বিতীয়বারের মতো বাংলা গানে দেখা গেল তাকে। ‘গেন্দা ফুল’ এর ‘বড় লোকের বেটি’ এবার বাংলা গান গাইলেন। খবর আনন্দবাজারের।
শনিবার নারী দিবসে প্রকাশ্যে এসেছে তার সেই গানের ভিডিও। জ্যাকুলিনের নতুন সেই গানটির নাম ‘আমি কাফি’। কয়েক মাস আগেই ‘স্টর্মরাইডার’ শীর্ষক গানে জ্যাকুলিনের উপস্থিতি শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এসভিএফ মিউজিকের সঙ্গে কাজ বেঁধে এই গানটিরই বাংলা সংস্করণ তৈরি করেছেন অমৃতা সেন এবং সিজি। তাদের পাশাপাশি মিউজিক ভিডিওটিতে গলা মিলিয়েছেন জ্যাকুলিন।
নির্মাতাদের দাবি, নারী দিবসের মূলমন্ত্র উচ্চারিত হয়েছে এই গানটির মাধ্যমে। জ্যাকুলিনও এই প্রথম বাংলা গানে কাজ করে উচ্ছ্বসিত। অভিনেত্রী বলেছেন, ‘বাংলা সংগীতের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমি আপ্লুত। এই গানটা আত্মবিশ্বাস এবং শক্তির প্রতীক। নতুন শ্রোতাদের জন্য বাংলা ভাষায় গানটিকে তৈরি করতে পেরে আরও ভালো লাগছে। আশা করছি শ্রোতাদের গানটি বেশ ভালো লাগবে’’ মিউজ়িক ভিডিওতে রয়েছেন রাজকুমারী কোকো, শতাব্দী দত্ত বণিক, ডিম্পল আচার্য এবং অঙ্কিতা সিংহ।
জ্যাকুলিনের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ছিল সোনু সুদ অভিনীত ও পরিচালিত ‘ফতেহ’। এটি বক্স অফিসে সেভাবে না চললেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সিনেমায় জ্যাকুলিনের অভিনীত চরিত্রের নাম ‘খুশি শর্মা’। আগামীতে তাকে ‘হাউসফুল ৫’, ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ সিনেমায় দেখা যাবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব নিরসনে পদোন্নতির নিয়ম সংস্কার হচ্ছে
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব নিরসনে পদোন্নতির নিয়মে সংস্কার আনতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার সিন্ডিকেটের ২৩৫তম সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছর ৬ জুন তৎকালীন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ২৩২তম সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে একটি আইন করা হয়; এটি আগে ছিল না। কয়েকজন শিক্ষকের পরামর্শে ভিন্নমতাবলম্বী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা না দিতে উপাচার্য এই কালোআইন করেছিলেন বলে শিক্ষকদের অভিযোগ। ওই নিয়মানুযায়ী, যেসব শিক্ষক অধ্যাপকের দ্বিতীয় গ্রেডের যোগ্যতা পূরণের পর যথাসময়ে আবেদন করবেন, তাঁরা প্রাপ্যতার দিন থেকে দ্বিতীয় গ্রেডের জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবেন। দেরি করে আবেদনকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় গ্রেডের জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুবিধা সিন্ডিকেটের পর দিন থেকে কার্যকর হবে।
এই নিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষকের মধ্যে জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে ‘শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতার দ্বন্দ্বে বিভাগীয় প্রধান হলেন সহ-উপাচার্য’ শিরোনামে ১১ মার্চ প্রথম আলো অনলাইনে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর এ নিয়মের সংস্কার করার উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের এক সদস্য জানান, অধ্যাপকদের জ্যেষ্ঠতার নিয়মটি সংস্কার করা হয়েছে। নতুন নিয়মানুযায়ী, দ্বিতীয় গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা প্রাপ্তির যথা সময়ে শিক্ষকেরা আবেদন করবেন, এটাই কাঙ্ক্ষিত। যদি কেউ যথাসময়ে আবেদন না করেন, যখন আবেদন জমা পড়বে সেই তারিখ থেকে আবেদনকারী শিক্ষকের দ্বিতীয় গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ করা হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য সাজেদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, নতুন নিয়মানুযায়ী শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ হবে। সিন্ডিকেটের পূর্ণাঙ্গ রেজল্যুশন বের হলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বোঝা যাবে।