চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একমাত্র অপরাজিত দল ভারত ফাইনালে উঠলেও, সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী মনে করছেন, শিরোপার লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডও সমানভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য এই মহারণে কে জয়ী হবে, তা নির্ধারণ করবে দুই দলের পারফরম্যান্সের সামান্য ব্যবধান।

আইসিসি রিভিউতে শাস্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনও দল ভারতকে হারানোর ক্ষমতা রাখে, তবে সেটা নিউজিল্যান্ড।’ যদিও রোহিত শর্মার দল ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, তবে ব্যবধান খুব বেশি নয় বলে মনে করেন তিনি।

ফাইনালের সম্ভাব্য ম্যাচসেরা খেলোয়াড় নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন শাস্ত্রী। তার মতে, অলরাউন্ডারদের মধ্য থেকেই উঠতে পারে ম্যাচের নায়ক। তিনি বলেন, ‘ভারতের পক্ষে অক্ষর প্যাটেল কিংবা রবীন্দ্র জাদেজা এবং নিউজিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস ম্যাচসেরা হতে পারেন।’ ফিলিপসের ব্যাটিং, ফিল্ডিং ও বল হাতেও অবদান রাখার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়া শাস্ত্রী মনে করছেন, বিরাট কোহলি, কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রবীন্দ্র ফাইনালে বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারেন। তাদের ফর্ম ফাইনালের ফলাফল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

চলতি টুর্নামেন্টে কোহলি ও উইলিয়ামসন উভয়েই একটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুরি করেছেন। অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন, ইতিমধ্যেই দুটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, যার একটি এসেছে সেমিফাইনালে। শাস্ত্রী বলেন, ‘যখন কোহলি কিংবা উইলিয়ামসনের মতো খেলোয়াড়রা ছন্দে থাকেন, তখন তারা প্রতিপক্ষের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়ান।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ