খাদ্যে রাসায়নিকের ব্যবহার ও ভেজাল খাদ্য বাজারজাতকরণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করেছে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাবি ইউনিট। শুক্রবার (৭ মার্চ) ইফতারের পর হোটেল, ফলের দোকান ও জুসের দোকানসহ বিভিন্ন কাঁচামালের দোকান ঘুরে বিক্রেতাদের সতর্ক এবং ক্রেতাদের সচেতন করেন সংগঠনের সদস্যরা।

প্রচারাভিযানে খাদ্যে ভেজালের ক্ষতিকর দিক ও ভেজালমুক্ত খাবারের জন্য আমাদের করণীয় বিষয়ক আলোচনায় সংগঠনের সভাপতি আবু সাহাদাৎ বাঁধন দোকানিদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাবার গ্রহণের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে অসংক্রামক রোগে প্রাণ হারান ৪ লাখের বেশি মানুষ। তাই জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আপনাদেরও সচেতন হতে হবে এবং ভেজালমুক্ত খাবার বিক্রির বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ খালিদ ও তাজিউর রহমান তাজ, কোষাধ্যক্ষ দিপু বিশ্বাস, সুহৃদ সিয়াম, বিপ্লবসহ কর্মসূচিতে যুক্ত হন অন্য শিক্ষার্থীরা।
সংগঠনটির সদস্যরা বলেন, ভেজাল খাদ্য রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। দোকানিদেরও উচিত ন্যূনতম লাভে বিশুদ্ধ খাবার বিক্রি করা, যাতে সাধারণ মানুষ সুস্থ থাকতে পারে। ভবিষ্যতে এমন আরও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেষ হয় কর্মসূচির প্রথম পর্ব।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ইনু বললেন, আমি ঠিক আছি, আপনারা চিন্তা করবেন না

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলাসহ দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন কুষ্টিয়ার একটি আদালত। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়ায় পুলিশ প্রহরায় আদালতে হাজির করা হয়। কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আদালতে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় ইনুকে। সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় এজলাস কক্ষে নেওয়া হয়। এ সময় তার সঙ্গে আইনজীবীরা ছিলেন। পুলিশের কড়া পাহারার মধ্যে তার কিছু সমর্থকও হাজির হন আদালতে। সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন ইনু। আদালত কক্ষের কাঠগড়ায় তিনি ৪ থেকে ৫ মিনিট ছিলেন। বের হওয়ার পথে ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেন। তিনি আইনজীবীদের বলেন, ‘আমি ঠিক আছি, আপনারা কোনো চিন্তা করবেন না।’ 

বের হওয়ার সময় ইনুর দলের কর্মীরা প্রিজন ভ্যানের সামনে ভিড় করেন। এ সময় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলার চেষ্টা করেন। বাহাদুর নামের এক নেতাকে ইনু বলেন, ‘বাহাদুর ভালো থেক।’ এরপর পুলিশ তাকে দ্রুত গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। 

 ইনুর আইনজীবী তানজিলুর রহমান এনাম বলেন, ‘তিনি (ইনু) ওকালত নামায় স্বাক্ষর করেছেন। তিনি মানসিকভাবে শক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন। কোনো চিন্তা করতে বারণ করেছেন। তবে আদালতে তিনি কোনো কথা বলেননি। শুধু আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন।’ 

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২২ জুলাই একটি মানহানির মামলায় কুষ্টিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে এলে হামলার শিকার হন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর মাহমুদুর রহমান নিজে বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলার চার নম্বর আসামি হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আহত শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এ মামলাতেও হাসানুল হক ইনুকে আসামি করা হয়। এ দুটি মামলায় আজ দুপুর আড়াইটার দিকে হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়ায় আদালতে হাজির করা হয়। 

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কুঁসলি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম জানান, হাসানুল হক ইনু ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা হিসেবে হাসিনা সরকারের সব অপকর্মের দোসর। আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর হামলার রূপকারও তিনি। এ মামলাটি ছাড়াও আরও একটি মামলাতে হাসানুল হক ইনু আসামি হওয়ায় তাকে পুলিশ শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে আদালতে হাজির করলে বিচারক বিধি অনুযায়ী তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ