এ বছর ঈদে সালমান খানের বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘সিকান্দার’ মুক্তি পাবে। টিজারের পর মুক্তি পেয়েছে প্রথম গান। ছবিতে সালমানের সঙ্গে আছেন রাশমিকা মান্দানা। সর্বশেষ খবর, এই ছবির তৈরির খরচের  ৮০ শতাংশ নাকি উশুল করে নিয়েছেন নির্মাতারা।

এর মধ্যে ‘সিকান্দার’ ছবির জন্য সালমান, রাশমিকা মান্দানা, কাজল আগারওয়াল, শারমান যোশী, প্রতীক বব্বররা কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন, তা-ও ফাঁস হয়েছে।

বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সিকান্দার’ ছবিটি এর ডিজিটাল, স্যাটেলাইট ও মিউজিক্যাল রাইটস থেকে ১৬৫ কোটি রুপি পেয়েছে। ‘সিকান্দার’-এর স্ট্রিমিং রাইটসের জন্য নেটফ্লিক্স ৮৫ কোটি দিয়েছে। তবে ভাইজানের ছবিটি বক্স অফিস থেকে যদি ৩৫০ কোটি আয় করে, তাহলে নেটফ্লিক্স ওটিটি রাইটসের দর বাড়িয়ে ১০০ কোটি করবে।

এআর মুরুগাদস পরিচালিত এই ছবির স্যাটেলাইট রাইটস জি নিয়েছে। জি-কে ৫০ কোটির বিনিময়ে স্যাটেলাইট রাইটস বিক্রি করা হয়েছে। জি মিউজিক ৩০ কোটির বিনিময়ে মিউজিক্যাল রাইটস নিয়েছে। এভাবেই সালমানের ছবি মুক্তির আগেই ১৬৫ কোটি আয় করে ফেলেছে। এই ছবির উৎপাদন খরচ ১৮০ কোটি। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ‘সিকান্দার’ ৮০ শতাংশের বেশি আয় করে ফেলেছে। আর এই ছবির সার্বিক বাজেট ৪০০ কোটি। ‘সিকান্দার’ তাহলে মোট বাজেটের ৪০ শতাংশের বেশি অংশ উশুল করে ফেলেছে।

সালমানকে ‘সিকান্দার’ ছবিতে দ্বৈত চরিত্রে দেখা যাবে। এই ছবির জন্য তিনি ১২০ কোটি নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এ বিষয়ে এখনো ধোঁয়াশা আছে। কারণ, বড় তারকারা সাধারণত ছবির মুনাফা থেকে এক বড়সড় অংশ নেন।

‘সিকান্দার’ ছবির মূল নায়িকা রাশমিকা মান্দানার পারিশ্রমিকের অঙ্ক ৫ কোটি রুপি। এই ছবির আর এক নায়িকা কাজল আগারওয়াল ৩ কোটি নিয়েছেন। ‘সিকান্দার’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেতা শারমান যোশীকে। তিনি এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য নিয়েছেন ৭৫ লাখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন য র ইটস

এছাড়াও পড়ুন:

বিষ দিয়ে তিনটি গরুকে মেরে ফেলার অভিযোগ

মাটির দেয়ালে জং ধরা টিনের চাল। সেই চালের এক পাশে পোষা তিনটি গাভি, আরেক পাশে স্ত্রী–সন্তানদের নিয়ে বসবাস। গাভির দুধ বিক্রি করে চলত সংসার। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন গাভি তিনটি হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন দিনমজুর আজিজুল ইসলাম।

আজিজুল ইসলামের অভিযোগ, তাঁর গরু তিনটিকে বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি প্রতিবেশী মজনু মিয়ার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মজনু মিয়া বলেন, ‘আমি কেন গরু মারতে যাব! আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা তথ্য রটানো হচ্ছে।’

আজিজুল ইসলামের বাড়ি রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার ফাজিলপুর গ্রামে। গতকাল শনিবার রাতে তাঁর ঘরে থাকা গাভি তিনটি মারা যায়। প্রাণিসম্পদ বিভাগ মারা যাওয়া গরু তিনটির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত করছে।

আজিজুলের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁর বসতভিটা ছাড়া কোনো জমি নেই। দরিদ্র হওয়ায় আজিজুল ইসলামের শ্বশুর মহির উদ্দিন ১০ বছর আগে একটি ফ্রিজিয়ান জাতের বকনা বাছুর দেন। সেই বাছুর লালন–পালন করার পর পূর্ণবয়স্ক হয়ে অনেকগুলো বাছুর জন্ম দেয়। এর মধ্যে তিনটি বকনা বাছুর পালন করে গাভিতে পরিণত করেন আজিজুল। সেই গাভির দুধ বিক্রি করে পাঁচ সদস্যের সংসার চলত। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার বাড়ির অদূরেই বাঁশঝাড়ে গাভি তিনটি বেঁধে রাখার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যায়। এরপর গতকাল শনিবার রাতে তিনটি গাভি মারা যায়। তিনটি গাভির মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা।

রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, একসঙ্গে তিনটি গরু মারা যাওয়া আজিজুল ইসলামের বাড়িতে স্থানীয় লোকজনের ভিড়। উঠানের সামনে ময়নাতদন্ত করছে প্রাণিসম্পদের দল।

বাড়ির বারান্দায় বসে কাঁদছিলেন আজিজুলের স্ত্রী স্বপনা বেগম। এ সময় আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘হামার গ্রামের মজনুর সাথে মোর ঝগড়া চলছে। মজনু ২০ দিন আগোত হুমকি দিছিল, মোক নিঃস্ব করি দিবে, মোর সংসার ফকির করতে যা করা লাগে করবে। মজনু ওর কথা পালন করছে, মোক ফকির বানাইল। এ্যালা মুই নিঃস্ব। ওয় মোর গরু বিষ দিয়ে মারি ফেলাইছে। গরুগুলার কী দোষ? ওয় মোক মারত। মুই ওর বিচারের জন্যে থানায় অভিযোগ দিছি। মুই সঠিক বিচার চাই।’

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এ কে এম ইফতেখায়ের বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর টিম নিয়ে আজিজুল ইসলামের বাড়িতে যাই। গাভিগুলোর প্রকৃত মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, তিনটি গরু মারা যাওয়ার ঘটনায় মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ