বিএসইসি চেয়ারম্যান-কমিশনারকে অবরুদ্ধ, অপরাধীদের শাস্তি চায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন
Published: 8th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনাকে ‘সন্ত্রাসী কায়দা’ উল্লেখ করে অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।
আজ শনিবার প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এই সংগঠনের সভাপতি ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো.
বিবৃতিতে বলা হয়, ৫ মার্চ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে তাদের বিএসইসি ভবনের চতুর্থ তলায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন এবং তাঁদের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, সরকারি কর্মচারীদের এ ধরনের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ প্রচলিত আইনবিরোধী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সরকারি কর্মচারীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবি ও অভিযোগ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকারের প্রতি অনুগত থেকে পেশ করা উচিত। এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না গেলে রাষ্ট্রের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
আরও পড়ুনবিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা০৫ মার্চ ২০২৫অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য আচরণবিধিকে অমান্য করে সন্ত্রাসী কায়দায় সরকারি ভবন ও কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ ও আক্রমণ করায় সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুনবিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবিতে কাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা০৫ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র পদত য গ কর মকর ত অবর দ ধ ব এসইস সরক র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সিকদার পরিবারের ৪২ বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ
ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার এবং তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন ৪২টি বিও অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৯ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দিয়েছেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আক্তারুল ইসলাম এই তথ্য দিয়েছেন।
দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আশিকুর রহমান এসব অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আরো পড়ুন:
কড়া নিরাপত্তায় বিএসইসিতে ঢুকলেন চেয়ারম্যান-কমিশনার
চেয়ারম্যান-কমিশনার পদত্যাগ না করায় বিএসইসিতে কর্মবিরতি
আবেদনে বলা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, নামে-বেনামে জনগণের আমানতের অর্থ লুটপাটসহ ঘুষের বিনিময়ে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ দেয়া ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগের অনুসন্ধানে টিম গঠন করা হয়েছে।অনুসন্ধানকালে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সাথে সংশ্লিষ্ট সিকদার পরিবারের সদস্য কর্তৃক জনগণের আমানতকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ প্রদান ও মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাতের তথ্য পাওয়া যায়। ন্যাশনাল ব্যাংক লি. এর লিগ্যাল ডিভিশন থেকে ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক সিকদার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান চলমান।
এদিকে গত ২৯ আগস্ট অনুষ্ঠিত ব্যাংকের ৫০৬তম সভার নির্দেশনা অনুযায়ী, সিকদার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নামে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ধারণকৃত শেয়ারের তালিকা প্রেরণ করা হয়। ওই শেয়ারগুলো হস্তান্তর স্থগিত/ব্লক করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংক ও ব্যাংকের আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ব্যাংক থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, বর্তমানে সিকদার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছেন। বিদেশে থেকে তারা তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলো বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যায়। যেহেতু এসব বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সিকদার পরিবারের সদস্য এবং তাদের নিকট আত্মীয়দের নামে অর্জিত শেয়ারগুলো বিক্রি বা স্থানান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের সমূহ ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে, সেহেতু এসব বিও অ্যাকাউন্ট অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা একান্ত আবশ্যক।