ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে নিজ দায়িত্বে বাসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বললেন ডিএমপি কমিশনার
Published: 8th, March 2025 GMT
ঈদের সময় গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার আগে বাসাবাড়ি, দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজ দায়িত্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ মো. সাজ্জাত আলী এই পরামর্শ দেন।
পুলিশের জনবলের স্বল্পতা থাকার তথ্য জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আজ শনিবার রমজানের ৭ তারিখ। তারাবিহ সাতটি হয়ে গেছে। ঢাকাবাসী তারাবিহর নামাজ পড়তে যান। দেড় থেকে দুই ঘণ্টা তারাবিহতে সময় লাগে। সে সময়টায় একটি জনশূন্যতা রাস্তাঘাটে দেখা যায়। এ সময় বাড়ি, ফ্ল্যাট ও দোকান সযত্নে রেখে আসবেন।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, ‘নগরীর যে ক্রাইম, সেটি হচ্ছে স্ট্রিট ক্রাইম। মুঠোফোন টান দেওয়ার মতো সহজ কোনো ক্রাইম করা যায় কি না, জানি না। পকেট থেকে মানিব্যাগ টান দেওয়া কিন্তু ঝুঁকি। এমনও মুঠোফোন আছে, যার দাম লাখ টাকা। আমরা খবর পাচ্ছি, মুঠোফোনগুলো বর্ডারে নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে।’
শেখ মো. সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘ঢাকা শহরে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধীরা মুঠোফোন টান দেয়। উঠতি বয়সের ছেলেরা, আমরা যাদের কিশোর গ্যাং বলি, তারা বাসের যাত্রী, প্রাইভেট কারের যাত্রী, মোটরবাইকের চালকদের মুঠোফোন কেড়ে নেয়। এ ধরনের অপরাধকে বলা হয় স্ট্রিট ক্রাইম।’
ঢাকা শহর পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা শহরে নানা সমস্যা আছে। ইদানীং ঢাকা মহানগরীতে বড় ধরনের অপরাধ খুন, ডাকাতির মতো অপরাধের সংখ্যা খুবই কম। বিগত বছরের পরিসংখ্যান দেখলে অথবা অন্য দেশের বড় বড় শহরের অপরাধের চিত্রের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, ঢাকা শহরের অপরাধের চিত্র কম।’
ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী আরও বলেন, ‘আমরা কোনো ঘটনা, কোনো কিছুতে মামলা রেকর্ড করতে বাদ রাখব না। আমি বলেছিলাম, আমার তেজগাঁও থানায় যদি ৫০০ মামলা রেকর্ড হয়, সেই দায়দায়িত্ব পুলিশ কমিশনারের। আপনারা কোনো মামলা নিতে না করবেন না বা গড়িমসি করবেন না। ঘটনার সত্যতা থাকলে আমরা মামলা নিয়ে থাকি।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স জ জ ত আল র অপর ধ অপর ধ র ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
বিশেষ পরিস্থিতিতে ইন্টারনেট চালু রাখতে আসছে নীতিমালা
বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা ঠেকাতে একটি নীতিমালা তৈরিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফয়েজ জানান, স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা অন্তর্বর্তী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি। বাংলাদেশে গ্রাউন্ড আর্থ স্টেশন স্থাপনে স্টারলিংকের সঙ্গে কয়েকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তিনি বলেন, স্টারলিংকের একটি প্রতিনিধি দল বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছে। এ সফরের অংশ হিসেবে স্টারলিংকের সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভূমি বরাদ্দ, নির্মাণ সহায়তা ও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণে চুক্তি হয়েছে। স্টারলিংক টিম ইতোমধ্যে কিছু জায়গাও চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে কয়েকটি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সম্পত্তি এবং কিছুক্ষেত্রে হাইটেক পার্কের জমি ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনাধীন।
তিনি আরও বলেন, স্টারলিংক শহর, প্রান্তিক অঞ্চল, উপকূলীয় এলাকাসহ লোডশেডিং বা প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবে। ফয়েজ বলেন, দেশের মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারগুলোর (আইএসপি) সেবার মান আরও ভালো না হলে প্রিমিয়াম গ্রাহকরা স্টারলিংকে শিফট করবে। এজন্য দেশীয় কোম্পানিগুলোর সেবার মান বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিকম বিশেষজ্ঞ মোস্তফা হুসাইন। তিনি বলেন, ভয়েস কল ও ইন্টারনেটের দাম কমানো, ডেটার মেয়াদ বিলুপ্ত করা এবং সরকার যেন অযৌক্তিক কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করতে না পারে– এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় আরও ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির বিশেষ সহকারী ইশরাক হোসেন, স্যাটেলাইট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ ইমাদুর রহমান প্রমুখ।