মাদারীপুরে ড্রেজারের বালু তোলার পাইপ বসানো নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছে আরও তিনজন। শনিবার দুপুরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের সরদার কান্দি গ্রামের মৃত আজিবার সরদারের দুই ছেলে আতাবুর সরদার (৪০) ও সাইফুল সরদার (৩৫)। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।

আহতরা হলেন- খোয়াজপুর ইউনিয়নের মুজাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (১৭), একই ইউনিয়নের আজিজুল হাওলাদারের ছেলে তাজেল হাওলাদার (১৮), আজিবার সরদারের ছেলে অলিল সরদার (৪০)। সাইফুল স্বেচ্ছাসেবক লীগ খোয়াজপুর ইউনিয়ন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।   

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার মোল্লা বাড়ি ও সরদার বাড়ির মাঝখানে ড্রেজারের বালু তোলার পাইপ বসানো নিয়ে দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে নেওয়ার পর আতাবুর সরদার (৪০) ও সাইফুল সরদারের (৩৫) মৃত্যু হয়। 

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

মোকসেদুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও মামলা করতে আসেনি নিহতের পরিবার। ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে এলে মামলা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ স ব চ ছ স বক ল গ ম দ র প র সদর ব র সরদ র সরদ র র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে সাহিত্য আড্ডার স্থানসহ নানা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ময়মনসিংহ ব্রহ্মপুত্র নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যৌথ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন। এ সময় সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসরের সাহিত্য আড্ডার স্থাপনাসহ পার্কের ভেতরে এবং বাইরে গড়ে উঠা ভ্রাম্যমাণ দোকান, বিজয়ী পিঠা বাড়িসহ সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠ সংলগ্ন জয়নুল উদ্যান পার্কে এই অভিযান চালানো হয়। 

এ অভিযানের এক পর্যায়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম নিজে উপস্থিত থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম তদারকি করেন। এ সময় পার্কের সৌন্দর্য রক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান নগরবাসী। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ফলে পার্কটি তার স্বরূপ ফিরে পাবে। এতে আমার মত অন্য দর্শনার্থীরা প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতে পারবে।  

নতুন বাজার এলাকার শাহজাহান কবির বলেন, একাধিকবার পার্কেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও প্রভাবশালী মহলের মদদে ফের তৈরি হয় অবৈধ স্থাপনা। কিন্তু দর্শনার্থীরা চায় পার্কের নিরিবিলি ও মনোরম পরিবেশ। তবে এ উচ্ছেদ অভিযানে ক্ষোভ ও অসেন্তাষ প্রকাশ করেছেন কবি সাহিত্যিকরা। তারা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে এই স্থানটিতে দেশের খ্যাতনামা এবং নবীণ কবি সাহিত্যকদের নিয়ে সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার বসে সাহিত্য সংসদের ‘বীক্ষণ’ আসর নামে সাহিত্য আড্ডা। এতে কবিতা পাঠের পাশাপাশি শিল্প সংস্কৃতি নিয়ে চলে আলোচনা ও মতবিনিময়। 

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের সচিব সুমনা আল মজীদ বলেন, মূলত জেলা প্রশাসনের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য জয়নুল উদ্যোনের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি এবং প্রকৃতির নির্মল পরিবেশ গড়ে তোলা। তাছাড়া পার্কের বেশ কয়েকটি স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে অসামসাজিক কার্যকলাপ চলার অভিযোগে অভিযান চালানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ