দেশজুড়ে বাড়ছে নারী নির্যাতন ও সহিংসতার ঘটনা। প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হচ্ছে ধর্ষণ, অপহরণ ও হত্যার খবর। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই বিশেষ দিনে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাফ চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা।

শনিবার (৮ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘আজ নারী দিবসে দেশের মানুষের কাছে আমার একটা প্রশ্ন—বাংলাদেশে আজ নারীরা কতটা নিরাপদ?’ তার পোস্টে ফুটে উঠেছে দুঃখ ও ক্ষোভ।

একটি মন্তব্যে ঋতুপর্ণা আরও বলেন, ‘আজ দেশে আমাদের কোনো প্রকার নিরাপত্তা নেই। ঘর থেকে বের হলেই ভয় কাজ করে। চারদিকে শুধু ধর্ষণ, খুন, অপহরণ—এই দেশ কবে ঠিক হবে?’

নারীদের নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে তার এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। অনেকেই তার সঙ্গে একমত পোষণ করে নারীদের জন্য নিরাপদ সমাজ গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাহাড়ে শণ কাটতে গিয়েছিলেন যুবক, অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ার গহিন পাহাড়ি এলাকা থেকে মোহাম্মদ দেলোয়ার (২৫) নামের এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। তাঁর মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

দেলোয়ার উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকার মৃত আবদুল করিম মিস্ত্রির ছেলে। তাঁকে অপহরণের বিষয়টি বাহারছড়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফরিদ উল্লাহ প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

ইউপি সদস্য ফরিদ উল্লাহ বলেন, গতকাল সকালে এলাকার দুই বাসিন্দা আবদুস সালাম (৫০) ও হাসান আহমদের (৪৫) সঙ্গে গহিন পাহাড়ে শণ কাটতে যান দেলোয়ার। সেখানে এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাঁদের ধাওয়া দেন। দুজন এ সময় পালিয়ে রক্ষা পেলেও সন্ত্রাসীরা দেলোয়ারকে অপহরণ করে নিয়ে যান। এরপর তাঁর স্ত্রী নুর নাহার বেগমের মুঠোফোনে কয়েক দফা কল করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছেন অপহরণকারী ব্যক্তিরা। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।

ফরিদ উল্লাহ আরও বলেন, পাহাড়ে থাকা কিছু সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার লোকজনকে অপহরণ করে আসছেন। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যই অপহরণ করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি নিয়ে অতিষ্ঠ।

দেলোয়ারের স্ত্রী নুর নাহার বেগম প্রথম আলোকে বলেন, আজ মঙ্গলবার সকালেও অপহরণকারী ব্যক্তিরা তাঁকে ফোন করেছেন। দেলোয়ারকে মারধর ও নির্যাতন করে তাঁর চিৎকারের শব্দ মুঠোফোনে শুনিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অপহরণকারী ব্যক্তিরা। এত টাকা তাঁর পক্ষে দেওয়া কখনো সম্ভব নয়।

জানতে চাইলে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক শুভ রঞ্জন সাহা বলেন, ‘এক ব্যক্তিকে অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। এরপরও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোবিন্দগঞ্জে স্কুলছাত্র সাব্বির হত্যার বিচারের দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান
  • ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগ
  • অপহৃত ৫৫ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি
  • বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে মামার হাতে ভাগনে খুন
  • উদ্ধার হওয়া খুলি-হাড় নিখোঁজ শিশু সাদিয়ার, দাবি পরিবারের
  • উদ্ধার হওয়া খুলি-হাড় নিখোঁজ শিশু সাদিয়ার, দাবি বাবা-মা
  • গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
  • অপহরণের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার  
  • পাঁচ মাসে দেড় শ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
  • পাহাড়ে শণ কাটতে গিয়েছিলেন যুবক, অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি