মামলার প্রতিবাদে টেম্পোচালকদের দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
Published: 8th, March 2025 GMT
যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরের মুরাদপুরে প্রায় দেড় ঘণ্টা সিডিএ অ্যাভিনিউ সড়ক অবরোধ করেছেন টেম্পোচালকেরা (মাহিন্দ্র)। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়কে এলোপাতাড়ি গাড়ি রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তাঁরা। সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায় টেম্পোচালকদের।
অবরোধের কারণে তীব্র যানজট দেখা দেয় প্রধান সড়কটিতে। সড়কটির দুই পাশে বাস, অটোরিকশা, প্রাইভেটকার, মিনি-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়ে। একপর্যায়ে যানজট একদিকে জিইসি মোড় এবং অন্যদিকে বহদ্দারহাট মোড় পর্যন্ত ছাপিয়ে যায়। এতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। অবরোধের ভোগান্তিতে পড়ে অনেক যাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন।
আড়াআড়িভাবে একাধিক টেম্পো সড়কের মাঝখানে রেখে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় টেম্পোচালকদের। তাঁরা টেম্পোর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ মামলার নামে চালকদের হয়রানি করছে।
অবরোধ শুরু হওয়ার পর পুলিশ বিক্ষুব্ধ চালকদের সড়ক থেকে উঠে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় অনুরোধ জানায়। একপর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলে যান চলাচল শুরু হয়। পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
রমজান মাসে যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম নগরে ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানের সময় অবৈধ পার্কিং, যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করানোসহ নানা অভিযোগে মাহিন্দ্র, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ লকদ র য নজট অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
পটুয়াখালীতে শহীদ বাবার কবরের পাশে শায়িত কলেজছাত্রী, কান্না থামছে না মায়ের
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জুলাই আন্দোলনের শহীদ বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে কলেজছাত্রী মেয়েকে। আজ রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ গ্রামের বসতঘরের সামনের আঙিনায় তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছান স্বজনেরা।
গতকাল শনিবার রাতে রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার বাসা থেকে ওই কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১৮ মার্চ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে দুমকি থানায় মামলা রয়েছে। আজ রোববার রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর উদ্দেশে রওনা হন স্বজনেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। একই অ্যাম্বুলেন্সে ছিলেন কলেজছাত্রীর মা। তিনি অ্যাম্বুলেন্স থেকে নেমেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। কান্নার একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় স্বজনেরা তাঁকে ধরে বাড়িতে নিয়ে যান। নিজ ঘরে পৌঁছানোর একপর্যায়ে জ্ঞান ফিরলে তিনি আবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমন অবস্থা থেকে কলেজছাত্রীর বৃদ্ধ দাদাও সেখানে কান্নাকাটি শুরু করেন।
আরও পড়ুনশহীদ বাবার পাশেই কলেজছাত্রীকে দাফনের প্রস্তুতি, কবর খুঁড়ছেন বৃদ্ধ দাদা৬ ঘণ্টা আগেপরে বাড়ির পাশে একটি স্কুলমাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই জানাজায় বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, এনসিপির মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলমসহ নেতা–কর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে কলেজছাত্রীর মা জানিয়েছিলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার মোহাম্মদপুরে তাঁর স্বামী গুলিবিদ্ধ হন। ১০ দিন পর ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তাঁর শহীদ স্বামীকে দুমকি উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
ওই নারী আরও বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় বাবার কবর জিয়ারত করে নানাবাড়িতে ফেরার পথে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় তাঁর মেয়ে। ধর্ষণের সময় এজাহারভুক্ত আসামিরা তার অশালীন ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ রাখতে বলে। এরপর তাঁরা গত ২০ মার্চ থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেই দুজন কিশোর। তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে যশোর শিশু সংশোধনাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুনজুলাই আন্দোলনে শহীদের মেয়েটির লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর, হাসপাতালে ক্ষোভ৮ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনপটুয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার২১ মার্চ ২০২৫