Samakal:
2025-04-28@14:26:57 GMT

হামজার জন্যই কি ছেত্রির ফেরা?

Published: 8th, March 2025 GMT

হামজার জন্যই কি ছেত্রির ফেরা?

ম্যাচের বাকি ১৭ দিন। তার আগেই বাংলাদেশ-ভারত ফুটবল ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। ২৫ মার্চ শিলংয়ে অনুষ্ঠেয় এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ে মূল আকর্ষণ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরী। লাল-সবুজের জার্সিতে তাঁর অভিষেক নিয়ে বাংলাদেশে যেমন উচ্ছ্বাস বইছে, বিপরীতে ভারতীয় শিবিরে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। 

হামজার মতো ফুটবলারের বিরুদ্ধে কীভাবে খেলতে হবে, সেই পরিকল্পনাও কষছে ভারত। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে বড় খবর হয়ে আসে অবসর ভেঙে ভারতের কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রির ফুটবলে ফেরার ঘোষণা দেওয়া। ৯ মাসের মধ্যে তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পেছনে অনেকেই সামনে এনেছেন হামজাকে। শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকার মুখোমুখি হতেই কিনা ৪০ বছর বয়সে অবসর ভেঙেছেন ছেত্রি! এই প্রশ্নও উঠেছে।

গত বছরের জুনে কলকাতার সল্ট লেকে কুয়েতের বিপক্ষে ভারতের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছিলেন ছেত্রি। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেও ক্লাব পর্যায়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি আইএসএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। ছেত্রির অবসর নেওয়াটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য আশীর্বাদই মনে করছিলেন সবাই। কারণ কয়েকবার শেষ মুহূর্তে গোল করে বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। 

লাল-সবুজের দলটির বিপক্ষে খেলা ১১ ম্যাচে ৮ গোল করার সঙ্গে সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন ৩ গোল। অবসর নেওয়া ছেত্রির বিকল্পও খুঁজে পায়নি ভারত। তাঁর না থাকার প্রভাব পড়েছে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্সে। এর পর পাঁচটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি ভারত। তাই তাঁর অবসর ভেঙে ফেরায় ভারতীয়রা ভীষণ খুশি।

তবে ফুটবলবোদ্ধারাদের ধারণা, বাংলাদেশের হয়ে হামজা খেলবেন, তাই সুযোগ হারাতে চান না বলেই ছেত্রির ফেরা। ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা ডাক পাওয়ায় এবারের বাংলাদেশ দলের শক্তিও বেড়েছে। ভারতের স্প্যানিশ কোচ মানোলা মার্কেজ বাংলাদেশের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের জন্য ২৬ জনের স্কোয়াডে ছেত্রিকে রেখেছেন। তবে ছেত্রির ফেরাকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে গোল করা মোহাম্মদ সাদ উদ্দিনের কাছে ছেত্রির ফেরাটা স্বাভাবিক, ‘এটা (অবসর থেকে ফিরে আসা) ফুটবলে স্বাভাবিক। চাপের কিছু নেই। ওর (সুনীল) সঙ্গে খেলতে পারলে ভালো হবে। সমস্যার কিছু নেই।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল র

এছাড়াও পড়ুন:

নতজানু বিসিবির ‘নৈতিক’ পরাজয়

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। সিলেটে প্রথম টেস্ট হেরে সমালোচনার মুখে ক্রিকেটাররা। জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে যখন কাটাছেঁড়া হওয়ার কথা, তখন তা আড়াল করতে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের জন্ম দিয়েছে বিসিবি।

মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চলছে নাটক। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের বাইলজ পরিবর্তন করে হৃদয়কে খেলার সুযোগ করে দিয়ে মোহামেডানকে অন্যায় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আম্পায়ার্স বিভাগের চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমানের এ অনিয়মের প্রতিবাদে টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনি পদত্যাগ করেছেন। প্রতিবাদস্বরূপ আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতও বিসিবির চাকরি ছেড়েছেন।

এ দুই ঘটনায় সমালোচনার মুখে হৃদয়ের শাস্তি পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত হয় বৃহস্পতিবার। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই সেখান থেকেও সরে এসেছে বিসিবি। তামিম ইকবালদের চাপে হৃদয়ের শাস্তি এক বছর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে!

আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান মিঠু জানান, আগামী ডিপিএলে কার্যকর হবে হৃদয়ের এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা। মোহামেডান ও হৃদয়কে সুবিধা দিতে গিয়ে বিশ্বে নজিরবিহীন ঘটনার জন্ম দিল বিসিবি।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে গতকাল সকাল থেকেই মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জড়ো হতে থাকেন ক্রিকেটাররা। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে প্রতিবাদ ও নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরতে একজোট হন তারা। সভায় ফারুকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার। 

ফাহিম জানান, সভায় উপস্থিত ক্রিকেটারদের দাবি-দাওয়া ছিল– তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি সুপার লিগে পুনর্বহাল করার বিরুদ্ধে। তামিম ও হৃদয় মোহামেডানের ক্রিকেটার। সুপার লিগে হৃদয়কে মোহামেডানের হয়ে বাকি দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতেই ‘প্রেশার গ্রুপ’ হিসেবে মিটিং করেন। বিসিবি কর্তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে সফলও হন তারা।

মোহামেডানের পর ক্রিকেটারদের চাপে নতিস্বীকার বিসিবির নৈতিক পরাজয় কিনা জানতে চাওয়া হলে ফাহিম বলেন, ‘যে সিদ্ধান্ত লিখিত নিয়মের বাইরে যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হওয়া স্বাভাবিক। আগের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত দিতে হলো। পরপর দুটি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের যে বাধ্যবাধকতা ছিল, সেটা না করে ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দেওয়া ছিল ভুল এবং অনিয়ম। আবার সেখান থেকে সরে এলে ক্রিকেটাররাও সুযোগ পেয়েছে বিসিবির ভুল ধরার। আমাদের ব্যর্থতার কারণেই এতকিছু হতে পেরেছে।’

বিসিবি সভাপতির সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘তার (হৃদয়ের) যে শাস্তিটা ছিল, সেটা কিন্তু সে ভোগ করেছে। এখন দুটি ম্যাচ খেলার পর কাল (বৃহস্পতিবার) শুনলাম, তাকে আবার বহিষ্কার করেছে। এটা কোন আইনে, কীভাবে করেছে, এটা আমার জানা নেই। এটা খুবই হাস্যকর, কোনোভাবেই সে আবার বহিষ্কার হতে পারে না। যাকে বিসিবি দুই ম্যাচ খেলতে দিয়েছে, তাকে আবার কীভাবে বহিষ্কার করে?’

মোহামেডানকে অনৈতিক সুবিধা দিতে গিয়ে হযবরল করে ফেলে আম্পায়ার্স বিভাগ। বিসিবির জন্য যেটা নৈতিক পরাজয় বলে মনে করেন ফাহিম, ‘কিছুটা তো বটেই। এ রকম একট পরিবেশ তৈরি হয়েছে যে, কোনো কোনো স্টেকহোল্ডার চাপ প্রয়োগ করে যার যার কাজ আদায় করে নিতে পারে। এটা খুবই দুঃখজনক, এমন একটা পরিবেশের মধ্য আমাদের যেতে হচ্ছে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এখান থেকে বেরিয়া আসার।’  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বার্সেলোনা ও পিএসজি ছাড়া যে কীর্তি গড়ার সুযোগ নেই এবার আর কারও
  • সেজনি: অবসর ভেঙে ফিরে বার্সার হয়ে ইতিহাস লিখছেন যিনি
  • শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রমকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখতে হবে: ঢাবি উপাচার্য
  • চট্টগ্রামে দর্শক-খরা কাটবে কি
  • নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে মাঠে নেমে ৩৭ রান করলেন হৃদয়
  • এল ক্লাসিকো: আজ কেমন হবে ফ্লিকের কৌশল, কোথায় বার্সেলোনার দুর্বলতা
  • নতজানু বিসিবির ‘নৈতিক’ পরাজয়
  • নার্সিং নিয়ে আর অবহেলা নয়