খাবার ও বেলুনের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
Published: 8th, March 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় খাবার ও বেলুনের লোভ দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই দুই শিশুর মধ্যে একজনের বয়স ৮ বছর, অন্যজনের ১০ বছর। ৮ বছর বয়সী শিশুটির বাড়ি ভোলায় এবং ১০ বছর বয়সী শিশুটির বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায়। শিশু দুটি মুন্সিগঞ্জ সদরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ভাড়াবাড়িতে থাকত।
গ্রেপ্তার বৃদ্ধের নাম মোহাম্মদ সেকেন্দার আলী (৬৫)। তাঁর বাড়ি টঙ্গিবাড়ী উপজেলায়। তবে সদরে ভাড়া থেকে তিনি ভ্রাম্যমাণ দোকানে শরবতের ব্যবসা করতেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, ২ মার্চ বেলা তিনটার দিকে ওই দুই শিশুকে বেলুন ও খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিয়ে যান সেকান্দার আলী। পরে শিশু দুটিকে ধর্ষণ করা হয়। বিষয়টি যেন কাউকে না বলে, এ জন্য তাদের ভয়ভীতিও দেখান তিনি। পরিবারের লোকজন শিশু দুটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ঘটনাটি গোপন করার চেষ্টা করে। শুক্রবার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়। পরে ওই বৃদ্ধকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। তাঁরা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) কল করে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক সজীব দে প্রথম আলোকে বলেন, শিশু দুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। তাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আট বছর বয়সী শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই বৃদ্ধের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছে। তবে আসামি প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেননি। আজ তাঁকে আদালতে তোলা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আবেদ আলীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট-বাড়িসহ জমি জব্দ
বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) অবসরপ্রাপ্ত গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবনের একটি ছয় তলা বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাটসহ ৮ দশমিক ৮৮ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার নামে থাকা ১৩ ব্যাংক হিসাব ও একটি গাড়ি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার সিনিয়র মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জব্দ হওয়া বাড়িটি রাজধানীর মিরপুরের পীরের বাগ এলাকা রয়েছে। এছাড়া এক হাজার ১০০ বর্গফুটের দুটি ফ্ল্যাট পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকায় রয়েছে। বাড়ি, ফ্ল্যাট ও ৮ দশমিক ৮৮ বিঘা জমির মূল্য ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৭৯৭ টাকা। তার গাড়ির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। এছাড়া অবরুদ্ধ হওয়া ব্যাংক হিসাবে ৬৩ লাখ ৫৯ হাজার টাকা রয়েছে।
আরো পড়ুন:
শেরপুরে ২ ইউএনওসহ সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা
বর পক্ষকে উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, থানায় মামলা
এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আল আমিন এসব সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খান শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়, আবেদ আলীর নামে স্থাবর সম্পদ এবং অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। আবেদ আলীর নামে অর্জিত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা দলিল সম্পাদন বা অন্য কোনো পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সৈয়দ আবেদ আলীর নামে অর্জিত স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বছরের ৮ জুলাই আবেদ আলীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। গত ৫ জানুয়ারি পাঁচ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন ছাড়াও প্রায় ৪৫ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে আবেদ আলীর বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
ঢাকা/মামুন/এসবি