কানাডার রাজনীতিতে আর দেখা যাবে না দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে। তিনি আর নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার তাঁর বিদায়ী অনুষ্ঠান উপলক্ষে মন্ট্রিয়লে এক সভায় এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ছিলেন মন্ট্রিয়লের প‍্যাপিন‍্যূ এলাকার এমপি। ট্রুডো যখন প্রথম পাপিন‍্যূ নির্বাচনী এলাকা থেকে লিবারেল পার্টি থেকে নমিনেশন চেয়েছিলেন তখন তাঁকে দলীয় নমিনেশনের জন‍্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল।

জাস্টিন ট্রুডোর এ অনুষ্ঠানটি ছিল বিদায় অনুষ্ঠান। তিনবারের এমপি তার পাপিন‍্যূ রাইডিংয়ের লিবারেল মেম্বারদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন আনুষ্ঠানিকভাবে। রাইডিংয়ের সদস‍্যরা তাঁকে বিদায় জানিয়েছে অশ্রুসিক্ত নয়নে।

একজন সজ্জন ও স্মার্ট রাজনীতিক হিসেবে টূডো ছিলেন সকলের পছন্দের। করোনা পরবর্তী সময়ে কানাডার টালমাটাল অর্থনীতিকে সূচারুরূপে পরিচালনা করেন তিনি। 

বিদায়ী সভায় জাস্টিন ট্রুডো জানান, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। তাঁর দাদার বাবা, দাদা এবং তিনি বসেছেন সংসদের আসনে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন তাঁর বাবা। 

রাজনীতি থেকে তাঁর বিদায়ে অনেকেই ব্যথিত বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা জানান, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে কানাডার নাগরিকরা তাঁর অবদান স্মরণ করবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় রেকর্ড পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলারে। স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ বৈশ্বিক উত্তেজনা বৃদ্ধির মধ্যেই সামরিক ব্যয়ে এ ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বলছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে সামরিক ব্যয় বেড়েছে ৯.৪ শতাংশ। এটিই টানা দশম বছর, যখন সামরিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও ন্যাটো জোটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে ঘিরে সংশয়ের প্রভাবে ইউরোপে সামরিক ব্যয় নজিরবিহীন হারে বেড়েছে। সিপরির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় দেশগুলোর সামরিক ব্যয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির পর সর্বোচ্চ।

বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে এগিয়ে আছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত ও সৌদি আরব। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৮৯৫ বিলিয়ন ডলার, চীন ২৬৬.৮৫ বিলিয়ন ডলার, রাশিয়া ১২৬ বিলিয়ন ডলার, ভারত ৭৫ বিলিয়ন ডলার এবং সৌদি আরব ৭৪.৭৬ বিলিয়ন ডলার।

সিপরি সতর্ক করে বলেছে, সামরিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে অন্যান্য খাতের বাজেট কমে যাচ্ছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

রাশিয়ার সামরিক ব্যয় ২০২৪ সালে দাঁড়িয়েছে ১৪৯ বিলিয়ন ডলারে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৩৮ শতাংশ বেশি। এ খরচ দেশটির মোট জিডিপির ৭.১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ইউক্রেনের সামরিক ব্যয় বেড়ে ৬৪.৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা তাদের জিডিপির ৩৪ শতাংশ। খবর এনডিটিভির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ