বহুল প্রচলিত কথা ‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’ । সত্যিই কি তাই? আধুনিক সমাজ বাস্তবতা এক পাক্ষিকভাবে এই বাক্য মানে না। শুধু একজনের প্রচেষ্টায় সংসার কখনও সুখের হতে পারে না। সংসারের সুখ নির্ভর করে নারী-পুরুষ উভয়ের আচরণের ওপর। সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি থাকবে- এই ভুল বোঝাবুঝি নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে দুজনকেই। সংসারে সুখের জন্য দম্পত্তিদের পাঁচটি অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানিয়ে দিচ্ছি ৫ নিয়ম।

সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা বাদ দিন: দাম্পত্য সম্পর্ক সুখের হয় প্রেম, নির্ভরতা আর একে অপরের প্রতি আস্থায়। এসব টিকিয়ে রাখতে গেলে কেউ কারও ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় জোর না করাই ভালো। প্রত্যেকের আলাদা ভালোলাগা, মন্দলাগা এবং নিজস্বতা রয়েছে। এজন্য সঙ্গীর নিজস্বতাকে গুরুত্ব দিতে হবে। 

হেরে গিয়ে জিতে যান: সমান সমান বলে কোনো সম্পর্ক হয় না। ছাড়া দেওয়ার মানসিকতা রাখুন এবং জাজমেন্টাল হতে যাবেন না। সঙ্গী কষ্টে আছে কিনা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তবে যেকোন সম্পর্কে মাঝে মধ্যেই ‘ইগো’ স্থান করে নেয়। ইগোকে হার মানাতে না পারলে দাম্পত্য সম্পর্ক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে।

আরো পড়ুন:

ঈদে হ্যান্ডপেইন্ট পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন মিতু

শত বছর আগে আঁকা ছবির মতো মেয়েটি

বিপদে বন্ধু হোন: সম্পর্কের বোঝাপড়াটা যেন এমন হয়, যেকোন বিপদে সঙ্গীর সঙ্গে থাকবেন। তার প্রয়োজনীয়তাগুলো বুঝবেন আর একে অন্যের জন্য পরিপূরক হয়ে উঠবেন। কোনোভাবেই প্রতিযোগী হতে যাবেন না। 

সময় দিন: শত ব্যস্ততার মাঝেও সঙ্গীকে সময় দেওয়ার মতো একান্ত সময় হাতে রাখুন। যেকোন সম্পর্কে একে অন্যের কথা গুরুত্ব দিয়ে শোনা খুব জরুরি। একসঙ্গে সময় কাটান। গুরুত্ব দিয়ে একে অন্যের কথা শুনুন। এবং একজন আরেকজনের শখ পূরণে তৎপর হোন।

ভুল হলে সরি বলুন: দাম্পত্য সম্পর্কে যে ভুল করবে তার ‘সরি’ বলার মানসিকতা রাখতে হবে। সংসারে সঙ্গীকে দুর্বল ভেবে একাধারে বা দিনের পর দিন ভুল করে যাবেন আর ভাববেন, ভুল করা আপনার অধিকার; এমনটা হতে পারে না। আপনার সঙ্গী হয়তো কিছু বলেন না কিন্তু তিনি যখন আপনাকে ভালোবাসার কথা ভাবেন, ভালোবাসতে চান; তার এই চাওয়ার ভেতর বেদনা দানা বাঁধে। ফলে তিনি আপনার পরিপূর্ণভাবে ভালোবাসতে পারেন না।ভুল হলে স্বীকার করুন আর সঙ্গীর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার

ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১০-১৫ তলারও বেশি উচ্চতায় উঠে নিচে পড়ে যাচ্ছে মানুষ। মনে হচ্ছে, তারা আকাশে উড়ছে! নিচে বিশাল ইট-সুরকি-ধুলার কুণ্ডলী। মুহূর্তেই ধ্বংসস্তূপ পুরো ভবন। সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি ভিডিওতে এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখা গেছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আজান শুরু হতেই বোমা হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একটি মসজিদ। থেমে যায় মুয়াজ্জিনের কণ্ঠস্বর। এভাবে একের পর এক ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে প্রতিনিয়ত ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিন। রাতে ঘুমিয়ে থাকা নারী-শিশুর শরীর ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হচ্ছে। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের। 

গতকাল রোববার ভোরে গাজার খান ইউনিসের একটি আবাসিক এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় ৯ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে নারী-শিশুর মরদেহ। ওই হামলা থেকে বেঁচে ফেরা খান ইউনিসের বাসিন্দা জামাল আল-মধুন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ ঘরগুলো মাটির সঙ্গে মিশে গেল। আমরা ধ্বংসস্তূপ থেকে আটজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের সবাই নারী ও শিশু। একজন পুরুষও নেই। এই নিরীহ নারী-শিশু সবার মরদেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। 

গত ২৩ মার্চ গাজায় ১৫ জন জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) তাদের ভুল স্বীকার করেছে। তারা শুরুতে দাবি করেছিল, অন্ধকারে হেডলাইট বা ফ্ল্যাশলাইট ছাড়া গাড়িবহরের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তারা গুলি চালিয়েছিল। তবে নিহত প্যারামেডিকদের একজনের তোলা মোবাইল ফোনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহতদের সাহায্য করার জন্য ডাকাডাকির সময় যানবাহনগুলোয় আলো জ্বালানো ছিল। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বর্বর হামলায় অন্তত ৫০ হাজার ৬৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৩৮ জন আহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অবরুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ করা অঞ্চলে ইসরায়েলের পোলিও টিকা দিতে বাধা দেওয়াকে টাইম বোমার সঙ্গে তুলনা করেছে। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টিকা দিতে বাধা দেওয়ায় গাজার ৬ লাখ ২ হাজার শিশু স্থায়ী পক্ষাঘাত ও দীর্ঘস্থায়ী অক্ষমতার ঝুঁকিতে রয়েছে। 
এদিকে, যুক্তরাজ্যের আইনসভার দুই সদস্যকে আটক করেছে ইসরায়েল। একটি প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে তারা ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। পরে ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সংসদ সদস্যরা রোববার ভোরে দেশ ছেড়েছেন। 

গাজায় ইসরায়েলের চলমান গণহত্যার প্রতিবাদে বিশ্বজুড়ে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে ‘দ্য ন্যাশনাল অ্যান্ড ইসলামিক ফোর্সেস ইন প্যালেস্টাইন’। ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল আনটিল জেনোসাইড স্টপস’ নামে আজ সোমবার বিশ্বজুড়ে এ অবরোধ পালনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • লক্ষ্মীপুর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ভুমি ভাবতেই পারেননি তার জীবনে এই সুযোগ আসবে
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে  তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: সাদী
  • সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত, মদ্যপ পরিচালক গ্রেপ্তার
  • হাতভাঙার ভুয়া এক্স-রে জমা দিয়ে মামলার অভিযোগ 
  • ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার