রামপুরায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৬
Published: 8th, March 2025 GMT
রাজধানীর রামপুরার বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফ করবেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ডিএমপি ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স) মুহাম্মদ তালেবুর রহমানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রামপুরার বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে। ওই এলাকায় আনোয়ার হোসেন (৪৩) নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার কাছে থাকা প্রায় ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় পাশের ভবন থেকে ছিনতাই ও গুলির দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করেন বাসিন্দারা। রাতেই তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে ব্যবসায়ী আনোয়ারের কাছ থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি ব্যাগ ছাড়ছেন না। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে একজন তাকে গুলি করেন। পরে ব্যাগ ছিনিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায় তারা।
গুলিবিদ্ধ আনোয়ারের স্বজনরা জানান, আনোয়ারের ব্যাগে ২০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ এক লাখ টাকা ছিল। তাদের ধারণা দোকান থেকেই তাকে অনুসরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। এরপর বাসার সামনে পৌঁছামাত্র স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
রামপুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউল আলম সমকালকে বলেন, গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে প্রথমে বনশ্রীর ফরাজী হাসপাতালে এবং পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
আনোয়ারের বন্ধু মজিবুর রহমান সমকালকে জানান, বনশ্রীর সি ব্লকের ৫ নম্বর সড়কে ‘অলংকার জুয়েলার্স’ নামে জুয়েলারির দোকান রয়েছে আনোয়ারের। প্রায় ১৫ বছর ধরে তিনি স্বর্ণের ব্যবসা করছেন। ডি ব্লকের ৭ নম্বর রোডে ২০ নম্বর বাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় হেঁটে যাতায়াত করেন। প্রতি রাতের মত রোববার রাতেও দোকানে থাকা ২০০ ভরি স্বর্ণের গহনা ব্যাগে নিয়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। ভবনের গেটের কাছে যাওয়া মাত্র তিনটি মোটরসাইকেল তাকে ঘিরে ধরে। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে স্বর্ণের ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। তাতে নগদ এক লাখ টাকাও ছিল। শরীরে চারটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া অন্তত ৬ স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ নত ই স বর ণ উদ ধ র স বর ণ ব যবস বনশ র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: ড. শফিকুর রহমান
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান।
তিনি বলেছেন, “দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালাতে পারে না। মীর কাসেম আলী আমেরিকায় ছিলেন। তার কিছু বন্ধু তাকে বাংলাদেশে আসতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে গেলে কি হবে। তার বন্ধুরা বলেছিলেন, আপনারও একই অবস্থা হতে পারে। তখন তিনি বলেছিলেন, মৃত্যুর কাছে দাঁড়িয়ে বলব আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে, সেসব মিথ্যা।”
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আব্দুস সালাম হলে কিংবদন্তী রাজনীতিবীদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ. এর স্মরণে ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ. তৃণমূল থেকে শীর্ষে’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ শিবিরের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, “মীর কাসেম আলী দেশকে ভালোবাসতেন। দেশের মানুষকে ভালবাসতেন। আর দেশকে ভালোবাসতেন বলেই দেশে ফিরে এসেছিলেন। মাওলানা সুবহানরা কখনো হারিয়ে যান না। আমার যারা সহকর্মী রাজনৈতিক মাঠে আছেন, তাদের বলব- তাদের (সুবহানদের) কাছ থেকে শিক্ষা অর্জন করতে।”
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত নেতা বলেন, “মাওলানা আব্দুস সুবহান এর মত উদারতা সাহসিকতা আমাদের অর্জন করতে হবে। জাতির স্বার্থে দল মত নির্বিশেষে আমরা ঐক্যবদ্ধ। ব্যক্তিগতভাবে কেউ পরাজিত হতে পারে। কিন্তু সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।”
ঢাকা/রায়হান/মেহেদী