বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
Published: 8th, March 2025 GMT
ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা লুটের ঘটনা ঘটনায় ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, আজ দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো.
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে বনশ্রীর ডি ব্লকের সাত নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির সামনে আনোয়ার হেসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে সোনা ও টাকা লুট করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি স্বর্ণের দোকানের মালিক আনোয়ার ২০০ ভরি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজের বাসার কাছে পৌঁছালে অস্ত্রধারীরা তাকে গুলি করে স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে যায়।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আনোয়ার হোসেন জানান, তিন মোটরসাইকেলে আসা প্রায় সাত জন তার কাছে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতেই তাকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। পরে তার সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ঢাকা/মাকসুদ/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।