ঝোঁকের মাথায় অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার বদভ্যাস ত্যাগ করবেন যেভাবে
Published: 8th, March 2025 GMT
অনেকেরই ‘ইমপালসিভ বায়িং’ অর্থাৎ আবেগবশে বা ঝোঁকের মাথায় জিনিসপত্র কিনে ফেলার বদভ্যাস আছে। এতে বাড়িতে যেমন অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের স্তূপ জমতে থাকে, তেমনি টাকাপয়সা বাঁচানোও হয়ে পড়ে কঠিন। জেনে নিন এই বদভ্যাস থেকে মুক্তি পাওয়ার আটটি উপায়।
প্রয়োজন ছাড়া কোনো পণ্য বিক্রির লিংকে ক্লিক করবেন নাশপিং করতে এখন আর বাজারে যেতে হয় না। বাসায় বসে এক ক্লিকেই যা খুশি তা–ই কিনে ফেলা যায়। এই কারণে আমাদের ‘ইমপালসিভ বায়িং’–এর প্রবণতাও বাড়ছে। দেখা গেল, একটা ওয়েবসাইটে ঢুকেছিলেন আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট একটা পণ্য কিনতে। সেই সাইটেই আরও ১০টা পণ্যের ছবি দেখে সবগুলোতে ক্লিক করলেন, তার মধ্যে দুইটা কিনেও ফেললেন। কিন্তু ওই দুটি পণ্য কেনার কোনো পরিকল্পনাই আপনার ছিল না। এ কারণে, অনলাইনে পণ্যের ছবি দেখেই ক্লিক করা এবং অর্ডার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সময় এবং বাজেটের সীমা নির্ধারণ করুনমাঝেমধ্যে অনলাইন শপিং নেশার পর্যায়ে চলে যেতে পারে। অনেকেই দেখা যায় কোনো একটা সাইটে প্রতিদিন ভিজিট করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করেন। আপনার যদি এ রকম কোনো বদভ্যাস দেখা দেয়, তাহলে ওই সাইটটি কবে, কতক্ষণের জন্য ভিজিট করবেন, তা নির্ধারণ করে নিন। নির্ধারিত সময়ের বাইরে ওই ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন না।
কেনাকাটার বাজেট নির্ধারণ করাও এ ক্ষেত্রে জরুরি। উৎসবের মৌসুমে নিজেদের জন্য আমরা শপিং করি, আবার পরিবার–পরিজনকেও উপহার দিতে হয়। উৎসবের সময়গুলোতে তাই আমাদের খরচের হাত বেশ খুলে যায়। তাই কার জন্য কত টাকা বরাদ্দ রাখবেন, সেটা আগেভাবেই ঠিক করে নিতে হবে।
অনলাইন শপিং নেশার পর্যায়ে চলে যাচ্ছে না তো?.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯০ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
আনন্দ, উচ্ছ্বাস ও উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়েছে ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ’৯০ ব্যাচের পুনর্মিলনী। শুক্রবার দিনভর বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উৎসব হয়। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর পরস্পরকে কাছে পেয়ে আড্ডা ও খুনসুটিতে মেতে ওঠেন সবাই।
সকালে স্কুলজীবনের স্মৃতি হিসেবে ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হয় ব্যতিক্রমী এ অনুষ্ঠান। এর পর জাতীয় সংগীত, শপথবাক্য পাঠ ও র্যা লি শেষে প্রাক্তন শিক্ষক সম্মাননা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ করা হয়। প্রয়াত শিক্ষক ও ১৯৯০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এর পর উত্তরীয় পরিয়ে, মানপত্র পাঠ ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ৯ শিক্ষককে। তাঁরা হলেন– গুরুদাস সাহা, রমেন্দ্র নাথ রায় কর্মকার, প্রভাত কুমার বিশ্বাস, মুজাফফর হোসেন মোল্লা, শামসুল হক ভোলা মাস্টার, হারুনুর রশিদ, ইউনুস আলী, খলিলুর রহমান, মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ ও লোকমান প্রামাণিক।
বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয় ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে। এসএসসি ’৯০ ব্যাচের কৃতী শিক্ষার্থী আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেল আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলকেও সম্মাননা জানানো হয়। পরে সংবর্ধনা পাওয়া শিক্ষকরা অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
স্মৃতিচারণ পর্বে বক্তৃতা করেন এসএসসি ’৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী প্রবীর সাহা, মিসকাতুর আহমেদ মিতু, মোস্তাক আহমেদ রানা, এস্তেয়াক আহমেদ রাজু, তাপস নন্দী পলাশ, অমরেশ রায়, অশোকেশ রায়, সরফরাজ খান সুন্দর, রেজাউল করিম, শ্যামলেন্দু চক্রবর্তী, শোয়েবুল ইসলাম, মিরাজুর রহমান, এনামুল করিম মামুন, হাবিব মৃধা, বাকী বিল্লাহ খান পলাশ, সজল কুমার সাহা প্রমুখ।
দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ’৯০ ব্যাচের শিক্ষার্থী, তাদের সন্তান এবং আমন্ত্রিত শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। শেষে পুরস্কার বিতরণ ও রাফেল ড্র হয়।