নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে ঘরে জমা গ্যাসের আগুনে দগ্ধ দুই পরিবারের আটজনের মধ্যে রিকশাচালক মো. হান্নান (৪০) মারা গেছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানান ওই হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

নিহত হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল বলে জানান এ চিকিৎসক। গত সোমবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনশেড বাসার দুটি কক্ষে জমা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের পর আগুনে দুই পরিবারের নারী ও শিশুসহ আটজন দগ্ধ হন।

নিহত হান্নানের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক নুরজাহান আক্তার লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯), ছেলে সাব্বির (১৬), আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী পোশাক শ্রমিক রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হান্নানের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানা এলাকায়। তিনি পরিবারসহ সিদ্ধিরগঞ্জের ওই ভাড়া বাসায় থাকতেন বলে জানান তার আত্মীয় (স্ত্রীর ভাই) আনোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, হান্নানের দুই মেয়ে সামিয়া ও জান্নাত কিছুটা আশঙ্কামুক্ত জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু লাকি আর সাব্বিরের কন্ডিশন ভালো না। এক আগুনে পুরা পরিবারটা এখন শঙ্কার মুখে।

গত সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, দুই কক্ষের সেমিপাকা টিনসেড ঘরের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। সেখান থেকে কোনোভাবে গ্যাস লিকেজ হয় এবং এর থেকে ঘরের ভেতর গ্যাস চেম্বারের সৃষ্টি হয়। যে কোনোভাবে আগুনের স্পার্কের সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে এবং অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

‘শেখ হাসিনার প্রিয় গডফাদার ছিলেন শামীম ওসমান’

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, "স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জে তার প্রিয় গডফাদার শামীম ওসমানকে দিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন।’’

রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নিউ হাজীগঞ্জ এলাকায় ফতুল্লা ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘‘এ গডফাদার নারায়ণগঞ্জে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে অত্যাচার করেছেন। আমাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করে নির্যাতন করেছেন। বিগত সময় ঈদেও আমরা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। আমাদের সবাইকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে।’’

ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বারী ভুঁইয়া, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন প্রমুখ। 

ঢাকা/অনিক/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের আহুত হরতালের পূর্ণ সমর্থনে 
  • নারায়ণগঞ্জে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত
  • রেজা রিপনের ইন্তেকালে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ’র শোক
  • রেজা রিপনের ইন্তেকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের শোক
  • আলী রেজা রিপনের মৃত্যু নারায়ণগঞ্জ জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন’র শোক
  • সাংবাদিক রবিনের শাশুড়ির ইন্তেকালে সাংবাদিক ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ’র শোক  
  • সাংবাদিক রবিনের শাশুড়ির ইন্তেকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের শোক
  • সম্প্রীতির মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে হবে : ডিসি জাহিদুল
  • নারায়ণগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
  • ‘শেখ হাসিনার প্রিয় গডফাদার ছিলেন শামীম ওসমান’