সুনীল গাভাস্কার কথাটি বলেছিলেন গত মাসের শেষ দিকে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে পাকিস্তানের হারের পর গাভাস্কার বলেছিলেন, এই পাকিস্তান ভারতের ‘বি’ দলকেও হারাতে পারবে না। গাভাস্কারের সেই কথার জবাব দিয়েছেন পাকিস্তানের টেস্ট দলের সাবেক কোচ জেসন গিলেস্পি। তাঁর কাছে গাভাস্কারের এ কথাকে ফালতু মনে হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটে কোনো সাফল্য নেই। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতার পর দলটি কিছুই জেতেনি। সর্বশেষ ৩টি আইসিসি ইভেন্টে ফিরেছে প্রথম রাউন্ড থেকে। দলটির ধারাবাহিক ব্যর্থতার পর পাকিস্তানের তুমুল সমালোচনা করেন ভারতের এই কিংবদন্তি। তবে গিলেস্পির মত ভিন্ন। গত বছর প্রায় ৬ মাস পাকিস্তানের দলের দায়িত্বে থাকা এই কোচ দেশটিতে প্রতিভা দেখেছেন।

গাভাস্কারের কথাকে উড়িয়ে দিয়ে পাকপ্যাশন পডকাস্টকে গিলেস্পি বলেছেন, ‘আমি এই কথাবার্তা বিশ্বাস করি না। গাভাস্কারের কিছু মন্তব্য দেখেছি, যেখানে তিনি বলেছেন যে ভারতের বি দল বা সি দলও পাকিস্তানের শীর্ষ দলকে হারাতে পারে। এটা ফালতু কথা। একদমই ফালতু।’

ভারতের কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের আগে চার ঘণ্টা বৈঠক করেন ‘সন্ত্রাসীরা’

চট্টগ্রামে প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে দুজনকে খুনের আগে চার ঘণ্টা বৈঠক (সভা) করেন ‘সন্ত্রাসীরা’। ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনের ডানহাত হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ হাসানের নেতৃত্বে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওয়াজেদিয়া কয়লার ঘর এলাকায় এই সভা হয়। জোড়া খুনের ঘটনাটিতে গ্রেপ্তার আসামি মোহাম্মদ সজীব আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা বলেছেন।

গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে জবানবন্দি দেন সজীব। এর আগে গত রোববার রাতে নগরের সদরঘাট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে সজীব বলেছেন, সাজ্জাদের ডানহাত হিসেবে পরিচিত হাসান খুনের পরিকল্পনার বিষয়ে জানান ইমন নামের একজনকে। ওই ইমন তাঁর পূর্বপরিচিত। তাঁকে ঘটনার দিন সকালে ফোন করেন ইমন। একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসতে বলেন। সজীব ও ইমন বায়েজিদ বোস্তামী থানার একটি মামলায় এর আগেও গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই সুবাদে দুজনের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে।

সজীব ফটিকছড়ির একটি গ্যারেজ থেকে এক হাজার টাকায় ভাড়া করা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় নগরের অক্সিজেন মোড়ে এসে ইমনকে ফোন দেন। ইমন অক্সিজেনের পূর্ব দিকে কয়লার ঘর এলাকায় যেতে বলেন সজীবকে।

জবানবন্দিতে সজীব আরও বলেন, ইমনের কথামতো সেখানে গিয়ে আরও সাত থেকে আটজনকে দেখতে পান তিনি। পরে সেখানে বসে তাঁরা খুনের পরিকল্পনা করেন। তাঁদের সবার লক্ষ্য ছিল সাজ্জাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সরোয়ার হোসেনকে মেরে ফেলা। সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁরা কয়লার ঘরে ছিলেন। পরে সেখান থেকে দিবাগত রাত ১২টার পরে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুসংলগ্ন বালুমহাল এলাকায় যান। বৈঠকে হাসান তাঁদের সবকিছু বুঝিয়ে দেন। মূলত সাজ্জাদকে ধরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সরোয়ারকে মারার জন্য পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার দিন তাঁর মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে ছিলেন হাসান। সাতটি মোটরসাইকেলে অস্ত্র হাতে সরাসরি হত্যাকাণ্ড অংশ নেন সাত থেকে আটজন। অনেককে চেনেন না সজীব।

মোটরসাইকেলে এসে খুনে অংশ নেন কয়েকজন। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে গ্রেপ্তার করা হয় সজীবকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ