বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর হাকোইশি
Published: 8th, March 2025 GMT
শিতসুই হাকোইশির বয়স ১০৮ বছর। শুভ্র চুল, চেহারায় প্রসন্নতা। এই বয়সে এসেও চলেফিরে বেড়ান তিনি। কাজকর্ম করে দিব্যি আয়-রোজগারও করছেন। চুল-দাড়ি কেটে দিচ্ছেন পুরুষদের। এখনই অবসরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর। বিষয়টি অবাক করার মতোই। তাই তো হাকোইশিকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী নরসুন্দর হিসেবে নিজেদের তালিকায় নাম উঠিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
৯০ বছর ধরে মানুষের চুল-দাড়ি কাটার কাজ করছেন হাকোইশি। গত বুধবার তাঁর হাতে নতুন রেকর্ডের সনদ তুলে দেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে যাঁরা সেবা নিতে আসেন, তাঁদের কারণেই আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি। আমি আপ্লুত। আমার মন খুশিতে ভরে উঠেছে।’
হাকোইশির জন্ম জাপানের তোচিগি অঞ্চলের নাকাওয়াগা এলাকার এক কৃষক পরিবারে, ১৯১৬ সালের ১০ নভেম্বর। মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি সিদ্ধান্ত নেন, মানুষের চুল-দাড়ি কামানোকে পেশা হিসেবে বেছে নেবেন। তারপর চলে যান রাজধানী টোকিওতে। ২০ বছর বয়সে একজন নরসুন্দর হিসেবে লাইসেন্স পান হাকোইশি। তখন স্বামীর সঙ্গে মিলে একটি সেলুন খোলেন।
হাকোইশি ও তাঁর স্বামীর দুই সন্তান ছিল। পরে ১৯৩৭ সালে শুরু হওয়া জাপান-চীন যুদ্ধের সময় মারা যান তাঁর স্বামী। এরপর ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় টোকিওতে বোমাবর্ষণের সময় তাঁর সেলুন ধ্বংস হয়ে যায়। তবে এর আগেই সন্তানদের নিয়ে তোচিগি অঞ্চলের অন্যত্র পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
নতুন করে আবার ব্যবসা দাঁড় করাতে হাকোইশির দীর্ঘ আট বছর লেগেছিল। তবে নতুন সেলুনটি তিনি খুলেছিলেন নিজের জন্মস্থান নাকাগাওয়া শহরে। নাম দিয়েছিলেন ‘রিহাৎসু হাকোইশি’। জাপানি ভাষায় রিহাৎসু অর্থ ‘নাপিত’। সেই সেলুনেই এখনো কাজ করে যাচ্ছেন হাকোইশি। তিনি বলেন, এই বছরে আমার বয়স ১০৯ বছর হবে। ১১০ বছর না হওয়া পর্যন্ত আমি কাজ চালিয়ে যাব।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ৪ জন নিহত
কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে ধান কাটার সময় অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন উপজেলায় বজ্রপাতে তিন কৃষক ও এক কৃষাণী নিহত হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অষ্টগ্রাম উপজেলার হালালপুর, কলমা হাওর ও সকাল ৮টায় মিঠামইন উপজেলার শান্তিগঞ্জ হাওরে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
অষ্টগ্রামে নিহত ইন্দ্রজিত দাস (৩৬) উপজেলার হালালপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্র দাসের ছেলে এবং স্বাধীন মিয়া (১৪) খয়েরপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার ছেলে। মিঠামইনে নিহত কৃষাণী ফুলেছা বেগম (৬৫) উপজেলার রাণীগঞ্জ কেওয়ারজোড় এলাকার মৃত আস্রব আলীর স্ত্রী। অষ্টগ্রামে নিহত আরেকজনের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুহুল আমিন বলেন, আজ সকালে ইন্দ্রজিত দাস বাড়ির পাশে হালালপুর হাওরে পাঁকা ধান কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে ইন্দ্রজিত মারা যায়। একই সময় খয়েরপুর হাওরে স্বাধীন মিয়া ধান কাটার সময় বজ্রপাতে নিহত হন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মিঠামইন থানার এসআই অর্পন বিশ্বাস জানান, সকালে বাড়ির পাশে ধানের খর শোকাতে দিচ্ছিলেন ফুলেছা বেগম। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে তিনি নিহত হন। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/রুমন/বকুল