হবিগঞ্জে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানকালে দেখা যায় ১ কেজি মিষ্টির সঙ্গে দেওয়া প্যাকেটের ওজনই ১৮০ গ্রাম। এ অভিযানে ওজনে কারচুপি, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বিক্রির অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ জেলা সদরের কোর্ট স্টেশনে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন।

এ সময় ‘স্বপ্নসিঁড়ি রেস্তোরাঁ’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১ কেজি মিষ্টির সঙ্গে ১৮০ গ্রাম ওজনের প্যাকেট দিতে দেখা যায়। এছাড়া দোকানটিতে রান্না করা ও কাঁচা খাবার একসঙ্গে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা ছিল।

এতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৩ ও ৪৬ ধারা অমান্য হয়েছে বিধায় দোকানমালিক আব্দুস শহীদ জিতুকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একই এলাকার আল-মদিনা সুইটমিট নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফল বিক্রি করা হচ্ছিল, কিন্তু কোনো মূল্য তালিকা প্রদর্শিত ছিল না বিধায় আইনের ৩৮ ধারা অমান্যের অভিযোগে দোকানমালিক শাহীন মিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ এসব তথ্য দিয়েছেন। জেলা আনসার ব্যাটালিয়নের একদল সদস্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ আশেক উল্লাহ ও মকছুদ মিয়ার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী কুতুবদিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও তার স্ত্রীর সাহেদা নাসরীন এবং মহেশখালী পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া ও স্ত্রী সর্জিনা আকতারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। দুদকের পক্ষে কমিশনের সহকারী পরিচালক আসিফ আল মাহমুদ তাদের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে অস্ত্র সরবরাহ, বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে লুটপাট, হোটেল দখল, টেন্ডারবাজি, মদের বার, ইয়াবা ব্যবসাসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা এবং তার পোষ্যরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত টাকা/অন্য অস্থাবর সম্পদসহ আত্মগোপন করেছেন। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত তথ্যাবলী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বক্তব্য বিশ্লেষণে প্রতীয়মান হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা গুরুত্বপূর্ণ আলামত এবং অবৈধ টাকাসহ যে কোনো মুহূর্তে দেশ ত্যাগ করতে পারেন। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা না গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটাসহ অনুসন্ধান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ