পঞ্চগড়ে খাদ্য বিভাগের চালের বস্তায় এখনো রয়ে গেছে ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ শ্লোগান। আর সেই বস্তার চাল তুলে দেওয়া হচ্ছে সুবিধাভোগীদের হাতে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের সাত মাস অতিবাহিত হলেও সরকারি চালের বস্তায় এমন শ্লোগান থাকা খাদ্য বিভাগের দায়িত্বহীনতা বলছেন স্থানীয়রা। এ নিয়ে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

শুক্রবার (৭ মার্চ) পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা বাজারে নিয়োজিত ডিলারের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় স্বল্পমূল্যে চাল বিতরণ হয়। এ সময় সুবিধাভোগীদেরকে দেওয়া ৩০ কেজি ওজনের চালের বস্তায় শ্লোগানটি দেখা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার অন্যান্য এলাকায় ডিলারদের বিতরণ করা চালের বস্তাগুলোতেও ছিল একই শ্লোগান। ডিলারদের দাবি, খাদ্য বিভাগ থেকে তারা যেভাবে চাল পেয়েছেন, সেভাবেই বিতরণ করছেন।

এদিকে, এখনো পুরনো শ্লোগানযুক্ত বস্তা পরিবর্তন না করায় সুবিধাভোগীসহ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড়ের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‘‘৫ আগস্ট একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। কাজেই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে এসব সরকারি কর্মসূচিতে শেখ হাসিনার শ্লোগান সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। বস্তাগুলো জনবান্ধব করা যেত। এতদিনেও খাদ্য বিভাগের বস্তায় এমন শ্লোগান থাকা দুঃখজনক। যদি কর্তৃপক্ষ জেনে বুঝেই আগের বস্তা ব্যবহার করে তাহলে ধরে নিবো তাদের মধ্যে এখনো হাসিনা প্রীতি রয়ে গেছে।’’

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অন্তরা মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা খাদ্য অধিদপ্তরের সকল এলএসডিকে একাধিকবার নির্দেশনা দিয়েছি, সকল বস্তা থেকে শ্লোগানগুলো মুছে দেওয়ার জন্য। আপনার (প্রতিবেদক) যেহেতু দৃষ্টিগোচর হয়েছে, আমি আবারো বলে দিচ্ছি, অধিক সতর্ক হয়ে বিতরণ করার জন্য।’’

ঢাকা/নাঈম/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের একজন অসাধারণ বন্ধু ট্রাম্প: নেতানিয়াহু

হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সফররত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় সোমবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্প ট্রাম্পকে ইসরায়েল ও ইহুদিদের একজন অসাধারণ বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার বিষয়ে কাজ করার কথা জানান। 

ডোনাল্ড  ট্রাম্প বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলি নাগরিক এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নি তারা কথা বলেছেন। তিনি জানান, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি আলোচনা হচ্ছে।

তিনি বলেন, হামাসের হাতে জিম্মি বাকি ইসরায়েলিদের মক্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য আরেকটি চুক্তি নিয়ে কাজ চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ