গ্যাসে দুই দফা ভ্যাট, পেট্রোবাংলার বকেয়া ১৮ হাজার কোটি টাকা
Published: 8th, March 2025 GMT
টাকার অভাবে গ্যাস সরবরাহের বিল নিয়মিত পরিশোধ করতে পারছে না বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। অথচ একই গ্যাসে পেট্রোবাংলার কাছ থেকে দুবার শুল্ক-কর নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে এনবিআরের কাছে বকেয়া বাড়ছে সংস্থাটির। লোকসান ঠেকাতে এখন আমদানি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও কর প্রত্যাহার চায় তারা।
আর্থিক ঘাটতি কমাতে শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। এটি নিয়ে কাজ করছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। প্রস্তাব অনুসারে দাম বাড়ানো হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাড়তি আয় হবে পেট্রোবাংলার। অথচ আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট-কর প্রত্যাহার হলে ৭ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারে পেট্রোবাংলা। প্রতি ইউনিট গ্যাসের আমদানি মূল্য ১৪ ডলার এবং প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে বছরে ১০০ কার্গো (জাহাজ) আমদানির বিপরীতে এ পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হিসাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
পেট্রোবাংলা বলছে, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সময় তাদের ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হয়। অন্যদিকে গ্রাহক পর্যায়ে বিক্রির সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ উৎসে কর দিতে হচ্ছে। এর বাইরে পেট্রোবাংলাকে এলএনজি মার্জিনের বিল পরিশোধের সময় গ্যাস বিতরণ সংস্থার কাছ থেকে ৫ শতাংশ উৎসে কর কাটা হচ্ছে। এভাবে বাড়তি রাজস্ব আদায় করে পেট্রোবাংলাকে আবার ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। যদিও শুধু আমদানি পর্যায়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাট ও কর প্রত্যাহার করা হলে ভর্তুকির তেমন প্রয়োজন হবে না পেট্রোবাংলার।
পেট্রোবাংলা সূত্র বলছে, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও কর বাবদ পেট্রোবাংলার কাছে এনবিআরের বকেয়া পাওনা জমেছে ১৭ হাজার ৭১১ কোটি টাকা। এলএনজি কিনতে সরকারের কাছ থেকে পেট্রোবাংলাকে নিয়মিত ভর্তুকি নিতে হচ্ছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পেট্রোবাংলার জন্য ভর্তুকি বরাদ্দ আছে ছয় হাজার কোটি টাকা। চাহিদামতো এলএনজি আমদানি করা হলে ভর্তুকি লাগবে দ্বিগুণের বেশি। অথচ মাত্র ৫০০ কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ বাড়িয়েছে জ্বালানি বিভাগ। বর্তমানে এলএনজির বিল ছাড়া অন্য কোনো দায় পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না; কিন্তু এনবিআরের কাছে বিপুল দেনা বকেয়া থাকায় এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পেট্রোবাংলা তথা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, বকেয়ার কারণে আস্থা হারাচ্ছে এলএনজি সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানি। তারা দরপত্রে এখন বাড়তি দাম প্রস্তাব করছে। বাজারের চেয়ে বেশি দাম প্রস্তাব করায় একাধিক দরপত্র বাতিল করতে হয়েছে। ভ্যাট প্রত্যাহার করা না হলে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। এ ছাড়া চাহিদামতো এলএনজি আমদানি করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে, লোডশেডিং বাড়বে।
পেট্রোবাংলা বলছে, আমদানি করা পণ্যে সাধারণত দুই পর্যায়ে ভ্যাট নেয় এনবিআর; কিন্তু পণ্যের দাম পরিবর্তিত হয়, মানে ভ্যালু অ্যাডিশন (মূল্য সংযোজন) হয়। যে টাকায় আমদানি করা হয়, তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হয় গ্রাহকের কাছে। গ্যাসের ক্ষেত্রে বিষয়টা উল্টো। বেশি দামে আমদানি করে কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই দুই পর্যায়ে ভ্যাট ও তিন পর্যায়ে আয়কর পরিশোধ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমদানি পর্যায়ে কমানো হলেও গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস বিক্রি থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব পাবে এনবিআর।
এলএনজির ভ্যাট নিয়ে শিগগিরই এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, উপদেষ্টা, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়সূত্র জানিয়েছে, আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ও কর প্রত্যাহার নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করেছে পেট্রোবাংলা। এনবিআর আপত্তি না করলেও এটি বাতিলে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত প্রয়োজন। এরপর জ্বালানি বিভাগের সঙ্গেও আলোচনা করেছে পেট্রোবাংলা। প্রত্যাহার চাওয়ার সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা। এরপর গত মাসে এনবিআরের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে পেট্রোবাংলা। ৯ মার্চ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টার সঙ্গে এনবিআরের একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন, এলএনজির ভ্যাট নিয়ে শিগগিরই এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
২০১৮ সাল থেকে এলএনজি আমদানি করে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির অধীন কাতার ও ওমান থেকে নিয়মিত এলএনজি কেনা হয়। এর বাইরে চাহিদা অনুসারে খোলাবাজার থেকেও এলএনজি আমদানি করা হয়। উচ্চ দামে এলএনজি কিনে দেশে উৎপাদিত গ্যাসের সঙ্গে মিশ্রণ করে আট শ্রেণির ভোক্তার কাছে সরবরাহ করা হয়। দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমতে থাকায় এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। আবার ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে নিয়মিত। এতে পেট্রোবাংলার খরচ বাড়ছে।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট গ্যাস সরবরাহে পেট্রোবাংলার খরচ হচ্ছে ২৯ টাকা ৩৯ পয়সা। আর তারা এটি বিক্রি করে পাচ্ছে ২২ টাকা ৮৭ পয়সা। সে জন্য লোকসান মেটাতে প্রতিবছর সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নেয় তারা। ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩৩২ কোটি ও সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ হাজার ৩৫ কোটি টাকা ভর্তুকি নিয়েছে তারা। তবে চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরে ভর্তুকির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তাই খরচ কমাতে নানা উপায় খুঁজছে পেট্রোবাংলা। এলএনজি আমদানির লক্ষ্যমাত্রাও কমিয়ে আনা হচ্ছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, শুধু এলএনজি নয়, অন্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। এনবিআর রাজস্ব আয়ের সহজ সুযোগ হারাতে চায় না। ভর্তুকি ও বাড়তি দামের ক্ষতিকর দিকটি তাদের বিবেচনার বিষয় নয়; কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় এটি বিবেচনা করতে পারে। বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট আরোপের দায় উচ্চমূল্যে জ্বালানি কিনে ভোক্তাকে শোধ করতে হয়। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলটরি কমিশনের (বিইআরসি) মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় ভ্যাট প্রত্যাহার করে জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ের সূত্র তৈরি করা উচিত।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এলএনজ র সরক র র উপদ ষ ট আমদ ন র সরবর হ পর য য় পর শ ধ শ ধ কর
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিবাচক সাড়া আশা করছে সরকার
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ট্রাম্প প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছেন। সরকার এ সমস্যা সমাধানে ইতিবাচক কিছু প্রত্যাশা করছে। সহযোগিতার মাধ্যমে উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হয় এমন ব্যবস্থা হবে বলে আশা করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র করে ফেলল, আমরা সমন্বয় করব, বিষয় সেটা নয়। আমরা আমাদের ইস্যুটা তুলে ধরব। আমরাও সহযোগিতা করব, তারাও সহযোগিতা করবে। যেটা হতে একটা উইন উইন অবস্থা। আমার বিশ্বাস, বিষয়টির সমাধান হবে। ইতিবাচক কিছু হবে। ইতিবাচক বলতে তাদেরও লাভ হবে, বাংলাদেশেরও লাভ হবে।’
এ সময় শুল্ক সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানে যুক্তরাষ্ট্রকে চিঠি দেওয়ার পর সেখান থেকে কোনো সাড়া পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘না, আমরা এখনও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা। এ জন্য আরও ১০০ পণ্যকে শুল্কমুক্ত তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে।
সামগ্রিকভাবে বিষয়টি সামাল দিতে কী কৌশল কী নেওয়া হচ্ছে– এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বিভিন্ন রকমের বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। আসলে বিষয়টা অতি পরিবর্তনশীল একটা বিষয়। তিনি বলেন, সোমবার আমেরিকান প্রশাসন বলেছে, চীনের ট্যারিফ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে পারে। এ ধরনের পরিবর্তনশীল অবস্থায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া জটিল।
ক্রয় কমিটিতে বিভিন্ন প্রস্তাব অনুমোদন
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে মসুর ডাল, চাল ও এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পণ্যগুলোর দামও আগের তুলনায় কম। আগে গুটিকয় সরবরাহকারী পণ্য দিতেন, উন্মুক্ত করার কারণে প্রতিযোগিতা বেড়েছে। ফলে কম দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনেক সাশ্রয় হচ্ছে।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরভিত্তিক এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। প্রতি টন ৪১৬ দশমিক ৪৪ ডলার দামে এ চাল কিনতে ব্যয় হবে ২৫৪ কোটি টাকার বেশি। প্রতি কেজি চালের দাম পড়ছে ৫০ টাকা ৮১ পয়সা। এর আগে গত ২৭ মার্চ ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স থেকে প্রতি টন ৪২৪ দশমিক ৭৭ ডলার দরে ৫০ হাজার টন একই চাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন হয়।
স্পট মার্কেট বা খোলাবাজার থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। এ দুই কার্গো এলএনজি আসবে সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে। এতে ব্যয় হবে ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কার্গো কেনা হবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভিটল এশিয়া থেকে। প্রতি ইউনিট (এমএমবিটিইউ) ১২ দশমিক ৩৮ ডলার দরে এই এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৫৯৩ কোটি টাকা।
এ ছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে কেনা হবে আরেক কার্গো এলএনজি। প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ৬৭ ডলার হিসেবে ব্যয় হবে ৬০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর আগে গত ২৭ মার্চ সিঙ্গাপুরের গানভর সিঙ্গাপুর এবং যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে যথাক্রমে প্রতি ইউনিট ১৪ দশমিক শূন্য ৮ এবং ১৪ দশমিক ৫৭ ডলারে দুই কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডধারীদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য পৃথক দুটি দরপত্রের মাধ্যমে ১০ হাজার টন মসুর ডাল ও ১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্যতেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে শেখ এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রি থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনা হবে। প্রতি কেজি ৯২ টাকা ৭৫ পয়সা দরে এ ডাল কিনতে ব্যয় হবে ৯২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
আরেক প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১ কোটি ২০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন করেছে কমিটি। প্রতি লিটার ১ দশমিক ২৮ ডলার অর্থাৎ স্থানীয় মুদ্রায় ১৫৬ টাকা ১৬ পয়সা দরে থাইল্যান্ডের লাইফ অ্যান্ড হেলথ (থাইল্যান্ড) থেকে এ তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ১৮৭ কোটি টাকা।