আন্তর্জাতিক নারী দিবস: কীভাবে এল, প্রথম কবে কোথায় পালিত হলো
Published: 8th, March 2025 GMT
কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রতিবাদে এবং ন্যায়সংগত দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছিলেন নারী শ্রমিকেরা। এই শ্রম আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ পথপরিক্রমায় চালু হয় ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’।
গত শতকের সত্তরের দশকের মাঝামাঝি দিবসটি জাতিসংঘের স্বীকৃতি পায়। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ বিশ্বরূপ পায়।
‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ এখন নারীদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ধরনের অর্জন উদ্যাপনের একটি বৈশ্বিক দিন। একই সঙ্গে দিবসটি লৈঙ্গিক সমতার বিষয়টিও তুলে ধরে। নারীর উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে আরও এগিয়ে নিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের ডাক দেয়।
কোন পটভূমিতে কোন পথ ধরে দিবসটি এল, প্রথম কবে–কোথায় কীভাবে দিবসটি পালিত হলো, তা জানতে আমাদের ফিরে তাকাতে হবে দূর অতীতে।
ধর্মঘট-বিক্ষোভ১৭৭৬ সালের ৩১ মার্চ অ্যাবিগেল স্মিথ অ্যাডামস ‘রিমেমবার দ্য লেডিস’ শিরোনামে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে স্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য নতুন আইনের খসড়া তৈরির সময় নারীদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করতে কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
একই বছরের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। অ্যাবিগেল স্মিথ পরবর্তীকালে মার্কিন ফার্স্ট লেডি (১৭৯৭-১৮০১) হন। তাঁর স্বামী জন অ্যাডামস যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৭৯২ সালে ইংরেজ লেখক মেরি ওলস্টোনক্র্যাফ্ট তাঁর ‘আ ভিনডিকেশন অব দ্য রাইটস অব উইমেন’ শীর্ষক বইয়ে নারীদের শিক্ষাগত ও সামাজিক সমতার পক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন।
নিউইয়র্কে ১৮৫৭ সালের ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো ধর্মঘট পালন করেন নারী টেক্সটাইলকর্মীরা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁরা মজুরি বৈষম্য ও বৈরী কর্মপরিবেশের প্রতিবাদ জানান। সম-অধিকারের পাশাপাশি কম কর্মঘণ্টা ও উপযুক্ত মজুরি দাবি করেন তাঁরা।
১৯০৮ সালের ৮ মার্চ নিউইয়র্ক শহরের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান প্রায় ১৫ হাজার নারী শ্রমিক। তাঁরা শিশুশ্রম ও বৈরী কর্মপরিবেশের প্রতিবাদ জানান। কর্মঘণ্টা কমানো, বেতন বাড়ানো ও ভোটাধিকার দাবি করেন তাঁরা। এই আন্দোলন নারীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি বড় নজির তৈরি করে।
এবার জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে: ‘অধিকার, সমতা, মতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দ বসট
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন শুল্ক আরোপে যুক্তরাষ্ট্রে অস্থিরতা, দেশবাসীকে ‘অনমনীয়’ হতে বললেন ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য প্রবেশের ওপর ১০ শতাংশ ভিত্তি ধরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে আরোপ করা শুল্ক গতকাল শনিবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ফলে দেশটির আমদানি করা সব পণ্যের ওপর এদিন থেকেই বাড়তি অর্থ আদায় শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে ট্রাম্পের নতুন শুল্ক ঘোষণায় বিশ্বজুড়ে পুঁজিবাজারে অস্থিরতা এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশবাসীকে ‘অনমনীয়’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত মার্কিন পুঁজিবাজারের জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ। ফেডারেল সরকারের আকার কমানোসহ ট্রাম্পের নতুন আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল শনিবার ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ।যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় পড়া দেশগুলোর অন্যতম যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের নেতারা বলেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কোনো কিছুই তাঁরা বিবেচনার বাইরে রাখছেন না। আর ওই ঘোষণায় বিশেষভাবে ধাক্কা খাওয়া চীন এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে উচ্চ হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
পুঁজিবাজারের এ অস্থিরতা ‘অর্থনৈতিক বিপ্লব’। যুক্তরাষ্ট্র এতে জিতবে (অস্থিরতা কাটিয়ে উঠবে)। অনমনীয় হোন, এটি সহজ হবে না, কিন্তু শেষমেশ যে ফলাফল আসবে, তা হবে ঐতিহাসিক।ডোনাল্ড ট্রাম্প, মার্কিন প্রেসিডেন্টগত বুধবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প তাঁর নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন। এর দুই দিন পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি প্রধান পুঁজিবাজারের সূচকই ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর সময় অর্থাৎ ২০২০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির পুঁজিবাজারের জন্য এটিই ছিল সবচেয়ে খারাপ সপ্তাহ।
ফেডারেল সরকারের আকার (জনবল ও খরচ) কমানোসহ ট্রাম্পের নতুন আর্থিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গতকাল ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে আসেন হাজারো মানুষ।
কোন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে, আর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তিনি কত শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন, সেই তালিকা তুলে ধরছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোজ গার্ডেন, হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন ডিসি, যুক্তরাষ্ট্র, ২ এপ্রিল ২০২৫