জেমস হাওয়েলস। বয়স ৩৯ বছর। তিন সন্তানের জনক। অবাক করা ব্যাপার হলো, একটা ভাগাড় কেনার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। তাঁর এই পরিকল্পনায় চিন্তায় পড়ে গেছেন অর্থনীতিবিদ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিদেরা। সত্যিই তো, এত কিছু থাকতে এই লোক কেন ভাগাড় কিনতে চাইছেন?

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৩ সালে। ওয়েলসের দক্ষিণ-পশ্চিম তীরের নিউপোর্ট শহরে। জেমস হাওয়েলসের ব্যবসায়িক অংশীদার এক কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন। ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে একটা অতিপ্রয়োজনীয় হার্ডড্রাইভ ফেলে দিলেন ভুল করে। সেই হার্ডড্রাইভ খুঁজে বের করার জন্যই মরিয়া হয়ে উঠেছেন জেমস। শুরু থেকেই ভাগাড় খননের অনুমতি পাওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। কিন্তু তাতে বাদ সেধেছে কর্তৃপক্ষ। নিউপোর্ট সিটি কাউন্সিলের তরফ থেকে এই ঘাঁটাঘাঁটির অনুমতি মিলছে না। কাউন্সিলটি বলছে, ভাগাড়ের আবর্জনা খনন করতে গেলে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আদতে একজনের ব্যক্তিগত আগ্রহে এমন একটা কাজের অনুমতি দিতে যে তাঁরা রাজি নন, সেটিও বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট।

বিটকয়েন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর

প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ