প্রথম আলো :
এ আর রাহমানে টিমে যুক্ত হওয়ার গল্প শুনতে চাই
নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার : বিভিন্ন গান কভার করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করতাম। তখন বেশ সাড়া পাচ্ছিলাম। এ আর রাহমানের ড্রামার রঞ্জিত বারতের একজন ছাত্রের সঙ্গে তখন আমার পরিচয় হয়। ২০২১–এর ডিসেম্বরে তাঁর মাধ্যমেই রঞ্জিত আঙ্কেল আমাকে প্রস্তাব দেন। আমার আগ্রহ আছে কি না, জানতে চান। এটা শুনে আমি যেন আকাশ থেকে পড়ি! সে সময় রাহমান স্যারের দিল্লি ও দুবাইতে দুটি শো করার কথা ছিল। পরে তাঁর টিম থেকে যখন আমার উত্তর জানতে চেয়ে বার্তা পাঠানো হয, তখন আমি বাক্রুদ্ধ হয়ে যাই। বারবার মনে হচ্ছিল, ভুয়া না তো! এরপর রঞ্জিত আঙ্কেল আমাকে আবার কল করেন। একটা গানের তালিকা দিয়ে সেগুলো তৈরি রাখতে বলেন। আমি তখন তাঁকে বললাম, ‘এটা কি সত্যি?’ তিনি আমাকে বলেন, ‘সত্যি। তুমি প্র্যাকটিস শুরু করো।’
প্রথম আলো:প্রথম দিনের স্মৃতি কি মনে পড়ে?
নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার : আসলে প্রথম দিন প্রচণ্ড নার্ভাস ছিলাম। এটাই স্বাভাবিক নয়? নতুন জায়গা, সিনিয়র ও গুণী মানুষদের সঙ্গে দেখা। কিন্তু সেখানে গিয়ে অবাক হয়েছি, সবাই এত আন্তরিক! আমাকে একবারের জন্যও মনে করতে দেননি আমি নতুন। মনে হচ্ছিল, যেন আমি তাঁদের অনেক চেনা। অনুষ্ঠানের আরেক দিন প্র্যাকটিস করছিলাম সবাই। ৪০টির মতো গানে সেদিন বাজিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ক্লান্ত লাগছিল, চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এমন সময় দেখি, স্যার আমার দিকে আসছেন। আমাকে অভিনন্দন জানান, আশীর্বাদ করেন। তারপর বলেন, ‘ওয়েলকাম টু দ্য টিম।’
এ আর রাহমানের সঙ্গে নীলাঞ্জনা ঘোষ দস্তিদার। শিল্পীর সৌজন্যে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ফেসবুকের বন্ধুতালিকা ‘রিসেট’ করার ভাবনা ছিল জাকারবার্গের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিযোগিতা নস্যাৎ করে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে মেটার বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত মামলার বিচার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ সোমবার এই মামলায় সাক্ষ্য দেন। শুনানিতে আদালতে উপস্থাপন করা হয় মেটার অভ্যন্তরীণ কিছু ই–মেইল, যেখানে উঠে আসে এক সময় সবাইকে ফেসবুকে বন্ধু তালিকা ‘শূন্য’ থেকে শুরু করতে বাধ্য করার এক অভিনব প্রস্তাব।
২০২২ সালে পাঠানো একটি ই–মেইলে জাকারবার্গ লেখেন, বন্ধু তৈরিতে দ্বিগুণ জোর। সবাইকে তাঁদের বন্ধুতালিকা (গ্রাফ) মুছে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, কিশোর-তরুণ ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইনস্টাগ্রামের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ায় ফেসবুকের ব্যবহার কমছিল। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকে ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তা বাড়াতে নতুন কিছু ভাবনার অংশ হিসেবেই জাকারবার্গ ওই প্রস্তাব দেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে মেটার অভ্যন্তরেই প্রস্তাবটি নিয়ে আপত্তি ওঠে। ফেসবুক বিভাগের প্রধান টম অ্যালিসন ই–মেইলের জবাবে লেখেন, আপনার প্রস্তাবিত প্রথম বিকল্পটি (বন্ধু সংযোগে জোর) আমার কাছে বাস্তবসম্মত বলে মনে হচ্ছে না। ইনস্টাগ্রামে বন্ধু সুবিধাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সেটি অকার্যকর হলে ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
জাকারবার্গ আরও একটি বিকল্প প্রস্তাব করেছিলেন। ফেসবুককে বন্ধুভিত্তিক মাধ্যমের বদলে অনুসরণভিত্তিক (ফলোয়ার) মাধ্যমে রূপান্তর করার চিন্তা ছিল তাঁর। যদিও এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি, তবে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে উঠে আসা এসব ভাবনা থেকে প্রযুক্তি মাধ্যমটি ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটতে চায়, তার একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়।
মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) ২০২০ সালে মেটার বিরুদ্ধে এই প্রতিযোগিতা-বিরোধী মামলা করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার জন্য পরিকল্পিতভাবে প্রতিযোগীদের ঠেকিয়ে দিয়েছে। এফটিসির ভাষ্য, সম্ভাবনাময় প্রতিযোগীরা যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল, তখন মেটা তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে কিনে নিয়ে সেই ‘হুমকি’ দূর করেছে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটি উদ্ভাবনশীল মাধ্যমগুলোকে হুমকিস্বরূপ মনে করে অধিগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতাবিরোধী একক আধিপত্য গড়ে তুলেছে।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস