কলাবাগানে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ গ্রেপ্তার ১৪
Published: 8th, March 2025 GMT
রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমানসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, সালাহউদ্দিন সালমানসহ ১৪ জন রাসেল স্কয়ারের একটি ভবনে শেখ কবির নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে এবং হামলা করেছেন- এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস সহকারী বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমান ছাড়াও ইমন, রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো.
ওসি মুক্তারুজ্জামান আরও বলেন, বাদীর অভিযোগ হামলাকারীরা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিন লাখ টাকা ও কিছু চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস চলছে, এমন খবর পেয়ে তারা সেখানে গেছেন।
ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস পাওয়া গেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কল ব গ ন কল ব গ ন থ ন ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
নেত্রকোণায় বজ্রপাতে তিন কৃষকের মৃত্যু
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে আলাদা স্থানে বজ্রপাতে তিন কৃষক নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন একজন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ উপজেলার তিনটি গ্রামে বজ্রপাতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে খালিয়াজুরীর ইউএনও উজ্জ্বল হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন- উপজেলার রসুলপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে নিজাম উদ্দিন (২৫), কৃষ্ণপুর গ্রামের রমজান মিয়ার ছেলে কবীর হোসেন (৪০) ও হায়াতপুর গ্রামের রসিক সরকারের ছেলে রাখাল সরকার (৬০)। আহত রুনু মিয়া (৩০) উপজেলার রসুলপুর গ্রামের হামিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ইউএনও উজ্জ্বল হোসেন বলেন, বিকাল সোয়া ৫টার দিকে রসুলপুর গ্রামে ধনু নদীর পাড়ে হাওর থেকে কেটে আনা ধান গোছানোর সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হয়ে নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় রুনু মিয়া আহত হন। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
অন্যদিকে, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শামীম মোড়ল বলেন, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বাড়ির সামনের হাওরে ধান কাটতে গেলে বজ্রসহ বৃষ্টির কবলে পড়েন কবীর হোসেন। তখন বজ্রপাতে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
এছাড়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ওমর চৌধুরী বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হায়াতপুর গ্রামের সামনে হাওর থেকে রাখাল সরকার গরু আনতে যান। এসময় সেখানে বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান রাখাল সরকার।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস জানান, বজ্রপাতে নিহতদের লাশ দাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।