কলাবাগানে এক অফিসে হামলা-ভাঙচুরের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ১৪ জন গ্রেপ্তার
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজধানীর কলাবাগান থানা এলাকায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমানসহ ১৪ জন রাসেল স্কয়ারের একটি ভবনে শেখ কবির নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে এবং হামলা করেছেন। এমন খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় শেখ কবিরের প্রতিষ্ঠান কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের অফিস সহকারী বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাহউদ্দিন সালমান ছাড়াও ইমন, রিয়েল খান, সাজিদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, মো.
ওসি মুক্তারুজ্জামান আরও বলেন, বাদীর অভিযোগ হামলাকারীরা চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার, তিন লাখ টাকা ও কিছু চেয়ার–টেবিল ভাঙচুর করেন। পুলিশ তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা উদ্ধার করেছে।
পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তারুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দাবি ওই ভবনে আওয়ামী লীগের অফিস চলছে, এমন খবর পেয়ে তাঁরা সেখানে গেছেন।
ঘটনাস্থলে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস পাওয়া গেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, সেখানে আওয়ামী লীগের কোনো অফিস ছিল না, শেখ কবিরের ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক অফিস।
এই ঘটনার কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে মুক্তারুজ্জামান আরও বলেন, সিসিটিভিগুলো ভাঙা পাওয়া গেছে। (ফুটেজ উদ্ধার) প্রক্রিয়াধীন, সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই অফিসের ড্রয়ার ভাঙা পাওয়া গেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কল ব গ ন থ ন
এছাড়াও পড়ুন:
তাপ কেন বাড়ছে স্মার্টফোনে!
ডিজিটাল সব পণ্যই চলে অ্যানার্জি বা ইলেকট্রিক শক্তির প্রবাহে। যন্ত্র যত ভালোভাবে বা যত বেশি পরিমাণ কাজ করবে, তত বেশি তাপ সংরক্ষণ করবে। যন্ত্র যথাযথ ঠান্ডা করা না হলে এসব যন্ত্রের কর্মদক্ষতা কমে যায়; সৃষ্টি হয় জটিলতা।
ঠিক যে কারণে স্মার্ট ডিভাইস, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল, বাড়িতে ব্যবহৃত নানা যন্ত্রপাতি ও গাড়িসহ নিত্যব্যবহার্য প্রায় সব পণ্যে কুলিং সিস্টেম রয়েছে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা সচল থাকার কারণে স্মার্টফোনে তাপ উৎপন্ন হয় সব সময়। প্রশ্ন আসছে, আকারে ছোট ও স্লিম ঘরানার স্মার্টফোনে কুলিং সিস্টেম কীভাবে কাজ করে।
প্রথমত, হাইপারফরম্যান্স ও গেমিং স্মার্টফোনকে ঠান্ডা রাখতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত প্রযুক্তি হলো ভেপর চেম্বার লিকুইড কুলিং। এমন প্রযুক্তি বাষ্পের নীতি মেনে কাজ করে। ভেপর চেম্বার মূলত হিট পাইপের মানোন্নত সংস্করণ। বাড়তি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে পাইপটি সাধারণত ল্যাপটপ ও কম্পিউটারে ব্যবহার করা হয়। পুরো সিল করা সব পাইপ পূর্ণ থাকে তাপ-পরিবাহী তরল পদার্থে, যা ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির কয়েকটি গরম উপাদান থেকে তাপ শোষণ করে এবং তা শীতল অঞ্চলে পৌঁছে দেয়।
দ্বিতীয়ত, ভেপর চেম্বার কুলিং সিস্টেম আসার কারণে তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাটি এখন অনেক বেশি কার্যকর। সমতল প্লেট আকৃতির সব ধরনের ভেপর চেম্বার হিট পাইপের তুলনায় বড় অংশজুড়ে, সমানভাবে তাপ বিনিময় করতে পারে। জানা জরুরি, স্মার্টফোনে জায়গা তুলনামূলক কম। অভ্যন্তরে সব উপাদান থাকে খুবই কাছাকাছি। ফলে বিশেষ ডিজাইন ভেপর চেম্বারকে আধুনিক স্মার্টফোনের জন্য ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে।
তৃতীয়ত, ভেপর চেম্বার কুলিং সিস্টেম কাজ করে মূলত বাষ্পের নীতি মেনে, যা মূলত সমতল ও সিল করা চেম্বার। যাতে থাকে অল্প পরিমাণে তরল কুল্যান্ট। তরল সাধারণত পানি বা অন্যসব তরলের মিশ্রণ হয়ে থাকে। সাধারণত তামা বা অ্যালুমিনিয়ামের মতো উপাদান দিয়ে বিশেষ চেম্বারটি তৈরি হয়। ফেজ পরিবর্তনের নীতির ওপর ভিত্তি করে কাজ করে চেম্বারটি। পুরো প্রক্রিয়া চলতে থাকে সারাক্ষণ।
কুলিং প্রক্রিয়াটি কাজ করে স্মার্টফোনে কাজ করার সময়, বিনোদনের সময় বা ফোন চার্জ দেওয়ার সময়।