বাজারে তরমুজের পসরা, দামে হতাশ স্বল্প আয়ের মানুষ
Published: 7th, March 2025 GMT
মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাটবাজারে আগাম উঠেছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল তরমুজ। ব্যবসায়ীরা ফলটির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। হাঁকডাক বাড়ছে তরমুজ বেচাকেনায়। ফলের দোকানগুলোতে তরমুজ প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও চড়া মূল্যে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। দাম চড়া থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে এই ফল। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ক্রেতারা। প্রশাসন যদি নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে, তাহলে তরমুজসহ বাজারের নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মনে করছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ বাজার ও মুরাদনগর উপজেলা সদর বাজার দেখা গেছে, মৌসুমি ফল ব্যবসায়ীরা সারি সারি করে তরমুজ সাজিয়ে রেখেছেন। তাদের কাছে ২০০ থেকে ৬০০ টাকা দামের তরমুজ রয়েছে। মনমতো হলে কেউ কিনে নিচ্ছেন, আবার কেউ অতিরিক্ত দামের কারণে না কিনে চলে যাচ্ছেন।
তরমুজ কিনতে আসা চাকরিজীবী আল আমিন বলেন, বাজারে আগাম তরমুজের আমদানি থাকলেও দাম অনেক বেশি। যে তরমুজ ৮০-১০০ টাকায় কেনা যেত, তা কিনতে হয় ২০০-২৫০ টাকায়। আর একটু বড় হলে তরমুজের দাম ৪০০-৬০০ টাকা রাখা হয়। দাম বেশি থাকায় ইচ্ছে হলেও স্বল্প আয়ের মানুষ তরমুজ কিনতে পারছেন না। বাজার সহনীয় রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
আরেক ক্রেতা সোহাগ মিয়া তরমুজের দাম দেখে অনেকটাই হতাশ। তারপরও ২০০ টাকা দিয়ে ছোট একটি তরমুজ কিনলেন। ছোট তরমুজ কেনার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘বড় তরমুজের দাম অনেক বেশি। ইচ্ছে থাকলেও কেনা সম্ভব নয়। মেয়ের আবদার মেটাতে ছোট একটি তরমুজ কিনে নিলাম।’
রিকশাচালক বাদল মিয়া আক্ষেপ করে জানান, চোখের সামনে নতুন ফল দেখে ছেলেমেয়েদের জন্য কিনতে ইচ্ছা হলেও দাম বেশি, তাই কিনতে পারছি না। যখন দাম কমবে, তখন কিনব। ছোট একটি তরমুজ কিনতে চাইলেও ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা লাগবে। সারাদিনে আয় যা হয়, তা দিয়ে চাল-ডাল কিনবেন, নাকি তরমুজ কিনে খাবেন?
দাম বেশি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলেন, মূলত এপ্রিল-মে মাস তরমুজের ভরা মৌসুম। বাজারে এখন যেসব তরমুজ উঠেছে, সেগুলো আগাম জাতের। সে কারণে আড়তে তরমুজের দাম একটু বেশি। তারপর আবার রমজান মাস চলছে। তাই তরমুজের চাহিদা বেড়ে গেছে। রোজার পর হয়তো তরমুজের এ দাম থাকবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমানের ভাষ্য, রমজানের শুরু থেকেই বাজার মনিটর করা হচ্ছে। অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: তরম জ তরম জ র দ ম তরম জ ক ন
এছাড়াও পড়ুন:
নামাজ পড়তে উঠে শ্বশুর দেখলেন, একই দড়িতে ঝুলছে পুত্রবধূ ও নাতির মরদেহ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় একই রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় মা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নদীয়াবাদ গ্রাম থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তারা হলেন- গৃহবধূ রাবেয়া বেগম (২৬) ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল্লাহ (৩)। রাবেয়া বেগম নদীয়াবাদ গ্রামের প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী এবং উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ বলছে, ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসী, তাদের দাম্পত্য জীবনে কোনো কলহ ছিল না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবাসী আবদুল মতিন পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে রাবেয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তাদের সাংসারিক জীবনে তিন বছর বয়সী আবদুল্লাহ একমাত্র সন্তান। প্রবাস থেকে আবদুল মতিন ছুটিতে বাড়িতে এসে গত এক বছর আগে আবারও প্রবাসে চলে যান।
আজ সকালে নামাজ পড়তে উঠে রাবেয়া বেগমের শ্বশুর আলী আকবর একই রশিতে পুত্রবধূ ও নাতির লাশ ঝুলতে দেখেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে দুজনের লাশ উদ্ধার করেন ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান জানান, লাশ দুটিতে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তারা ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন, নাকি অন্য কিছু-সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।