Samakal:
2025-04-10@12:08:24 GMT

ছড়া-কবিতা

Published: 7th, March 2025 GMT

ছড়া-কবিতা

মে জু  আ হ মে দ  খা ন
বাঘ হতে চায়...

কুকুরের মনে শখ; বাঘ হতে চায়
তাতে শখ শেষ নয়–
হরিণের শিং-ও যেনো মাথাতে গজায়।

এই শখ কুকুরের মনে জাগা মাত্র
চেয়ে দেখে ডোরাকাটা দাগে শোভা পায় তার গাত্র!
ধীরে ধীরে হরিণের শিং-ও দেয় উঁকি
তাই পেয়ে কুকুর-তো পুরোদমে সুখী।

এইভাবে কিছুক্ষণ কেটে গেলে পরে
কুকুরটা পেটে ক্ষুধা অনুভব করে।

তারপর খাবারের সন্ধানে বেরুলো
এদিক ওদিক দেখে বহু পথ পেরুলো
তবু কোথাও খাবার সে পায়নি
মনে মনে ভাবে আজি একি হলো? 
এইভাবে দিন আমার কখনো তো যায়নি!

এই যায় এদিকে তো ওদিকে আবার
দিনমান ভেবে সারা কি করি সাবাড়?

এই মন কখনোবা কচি ঘাস চায়
রক্ত মাংস কভু হাড্ডিও হায়
মনে মনে বলে, এই সাজে ভুল হলো প্রভু
এরকম আগে আর হয়নি তো কভু!

উপায় না দেখে শেষে 
মালিকের দরবারে কেঁদে কেঁদে কয়
যেমনটা ছিলাম আমি তাতেই সই
নতুন গজালো যা সব হোক ক্ষয়!
 

 

মা হ মু দ  মে ঘ
স্বপ্ন আমার স্বপ্ন ছিলো

চাঁদের শহর ঘুরে এলাম পরির ডানায় চড়ে
মিনার জুড়ে আজান শুরু, ডাকছে রবের ঘরে।
পরির কাছে ‘সরি’ বলে যেই নিয়েছি ছুটি
কোত্থেকে এক পাখি এসে ধরলো চেপে টুটি!

আমার সাথে খেলতে তোমার কিসের এমন ক্ষতি?
ক্যান বোঝ না, সঙ্গী আমার রঙিন প্রজাপতি!
ঠিক তখনই প্রজাপতির ডানা দুটো বেঁকে
আমার দু’গাল সাজিয়ে দিল জরির ট্যাটু এঁকে।

ট্যাটু আঁকা গাল দু’খানায় খুশির আভা মাখা
এমন মধুর স্বপ্ন শেষে যায় কি শুয়ে থাকা!
বিছানা ছেড়ে মুখ ধুয়ে যেই বই নিয়েছি হাতে
স্বপ্ন আমার স্বপ্ন ছিলো–প্রমাণ পেলাম তাতে। 

 

পৃ থ্বী শ  চ ক্র ব র্ত্তী
প্রকৃতির ঘরে

হিমবুড়ি যেই গেলো দেশ হতে দূরে      
পাখিদের দল ওই এলো উড়ে উড়ে।
প্রকৃতির ঘরে আজ             
সবুজের কারুকাজ         
কোকিল গাইছে গান সুমধুর সুরে        
জাগরণ এলো সব বন-কানন জুড়ে।

ফাগুনের হাওয়া দেখি বয় শন-শন        
ভ্রমরেরা গান করে চলে হন-হন।       
ঘুম থেকে সব ওঠে      
রঙমেখে ফুল ফোটে      
ফুল বনে ছুটে মৌ করে গুঞ্জন       
ভালো আজ পিয়ান ও পড়শীর মন।

লেবু ফুল ঘ্রাণ ছুড়ে প্রতিদিন ভোরে      
মুকুল আজ শোভা পায় আমগাছ ভরে।     
রাত বেলা চাঁদ-তারা       
আনন্দে হয় হারা       
ভোর হলেই সূর্যটা আলো দান করে     
ঋতুরাজ যেই এলো প্রকৃতির ঘরে।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঈদ পুনর্মিলনী

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঈদ পুনর্মিলনী ৭ এপ্রিল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবু রেজা মো. ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে বক্তব্য দেন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আজহারুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. কাউছার উল আলম ও আবু নাছের মোহাম্মদ নাজমুল বারীসহ সারাদেশ থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাহী ও কর্মকর্তারা।

অনুষ্ঠানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, ৯টি জোনের জোনপ্রধান, ২০৬টি শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, ১৭৭টি উপশাখার ইনচার্জসহ অন্যান্য নির্বাহী ও কর্মকর্তারা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যুক্ত থেকে পারস্পরিক ঈদ আনন্দ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

মোহাম্মদ আবদুল মান্নান প্রধান অতিথির ভাষণে ঈদুল ফিতরকে বাংলাদেশের বৃহত্তম ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসব উল্লেখ করে বলেন, “রমজান ও ঈদের মূল শিক্ষার আলোকে ধনী-গরীবের বৈষম্য কমানো, দারিদ্র্য বিমোচন ও সংকুলানমূলক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “গত ৬ মাসে ৭ লাখ ৩৩ হাজার নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে মানুষ ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রতি তাদের আস্থার স্বীকৃতি দিয়েছে। আস্থা ফিরে আসায় এই সময়ে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা নতুন আমানত সংগ্রহের পাশাপাশি ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা অনাদায়ী বিনিয়োগ আদায় হয়েছে।” 

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের কল্যাণমুখী সেবা সাধারণ মানুষের নিকট পৌঁছে দিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ