রাবিতে শিবির সভাপতির কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের খবর ‘গুজব’
Published: 7th, March 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নবাব আবদুল লতিফ হলের শিবির সভাপতির কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার রাতে তথ্যটি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সমকালকে বলেন, হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের খবরটি বিভিন্ন জায়গা থেকে শুনেছি। এই ঘটনার ক্রস চেক করেছি, কিন্তু এর কোনো সত্যতা নেই। এটা সম্পূর্ণ গুজব।
রাবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, লতিফ হলের অস্ত্র উদ্ধারের ভিডিও ফেসবুকে দেখেছি। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ঘটনা নয়। শিবিরের নামে চালিয়ে সম্পূর্ণ একটি গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিগত সময়েও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শক্তিগুলো ছাত্রশিবিরকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলা করতে না পেরে এমন গুজব ছড়াতো বিভিন্ন সময়। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থী ও দেশবাসী এসব গুজবে বিশ্বাস করেনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অস্ত্র উদ্ধারের একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের শিবিরের সভাপতির রুম থেকে পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এগুলো দিয়েই সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটাতে যাচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কানাডায় ট্রাম্পের কড়া বিরোধী মার্ক কার্নির দল নির্বাচনে জয় পেল
জাতীয় নির্বাচনে নিজ দলের বিজয়ের ঘোষণা দিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, তাঁর দেশ কখনো যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নতিস্বীকার করবে না।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবার কানাডার ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে লিবারেল পার্টি। তবে কার্নির দল একক সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে, নাকি জোট সরকার গঠন করতে হবে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কানাডার ৩৪৩ আসনের হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ১৭২ আসনে জিততে হবে।
আজ মঙ্গলবার স্থানীয় সময় গভীর রাতে লিবারেল পার্টির নেতা কার্নি বলেন, ‘আমি কয়েক মাস ধরে যে বিষয়ে সতর্ক করে যাচ্ছি—যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ভূমি, আমাদের সম্পদ, আমাদের পানি, আমাদের দেশ নিয়ে নিতে চায়। এগুলো কেবল নিষ্ক্রিয় হুমকি নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমাদের ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছেন, যেন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কিনে নিতে পারে। এমনটা কোনো দিনই হবে না।’
যেসব মানুষ কানাডাকে নিজেদের বাড়ি মনে করেন, তাঁদের সবার নেতা হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কার্নি।
কানাডার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কারোপ এবং দেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর থেকে দুই মিত্র প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়।
কানাডার সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও ট্রাম্পের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের মধ্যে তীব্র দেশপ্রেমের জোয়ার ওঠে। এতে ভোটের আগমুহূর্তে কানাডার নির্বাচনী পরিবেশ পুরোপুরি বদলে যায়। ভোটের আগে ট্রাম্পের বক্তব্য এবং তাঁর কর্মকাণ্ড কানাডায় প্রধান আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
ট্রাম্পের বক্তব্যের জেরে নিজের নির্বাচনী প্রচারে কার্নি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কের ব্যাপক পরিবর্তন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এতে লিবারেল পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কার্নির প্রতি জনসমর্থন বেড়ে যায়। ভোটের দিনও যার প্রতিফলন দেখা গেছে।
মঙ্গলবার কার্নি বলেছেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাসঘাতকতার ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমাদের কখনই এ থেকে পাওয়া শিক্ষা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না। আমাদের নিজেদের দিকে নজর দিতে হবে। সর্বোপরি আমাদের একে অপরের যত্ন নিতে হবে।’
সিএনএনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সিটিভি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের পূর্বাভাস দিয়েছে। যদিও সিবিসি বলেছেন, এখনো এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি।
কানাডার প্রধান বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পিয়েরে পলিয়েভর নিজের হার মেনে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, খুবই সামান্য ব্যবধানে হলেও কার্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট আসনে জিতে গেছেন।
আরও পড়ুনকানাডায় ভোটগ্রহণ শুরু১৯ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনকানাডায় নির্বাচন: মার্ক কার্নির লিবারেল সদর দপ্তরে উৎসব শুরু৪ ঘণ্টা আগে