Samakal:
2025-04-08@15:42:58 GMT

ইউএসএআইডি-এর রাজনীতি

Published: 7th, March 2025 GMT

ইউএসএআইডি-এর রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)-এর বিরুদ্ধে হতবাক করা প্রচারণা বা যুদ্ধকৌশল সংস্থাটিকে ‘বিশ্বের বৃহত্তম দাতা’ হিসেবে পরিচিত এ সংস্থাটিকে ধ্বংস করেছে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা ও মানবিক সহায়তা ব্যবস্থা উদ্ধার করতে সচেষ্ট কর্মীদের মরিয়া করে তুলেছে। এটা অস্বীকার করা যায় না, এই সহায়তা শিল্পের ওপর লাখ লাখ মানুষের জীবন নির্ভর করে।

এটা বলা যায়, ‘উন্নয়ন’-এর মূল বিষয় সবসময় তার প্রবক্তাদের দাবির তুলনায় অনেক কম মানবতাবাদী ছিল। প্রকৃতপক্ষে, সাহায্যের পুরো উদ্যোগটি ভূরাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং বিশ্বব্যাপী বৈষম্য দূর করার পরিবর্তে সম্পদ আহরণ ও জমানোর উপায়ে পরিণত হয়েছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউএসএআইডির সমাপ্তির পর এই বাস্তবতা সম্পর্কে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবে ব্যাপারটি দিন দিন পরিষ্কার হচ্ছে। 
উদাহরণস্বরূপ, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে এবং তাদের বার্তা প্রচার করে যে সংস্থা সেই, ইন্টারঅ্যাকশন জারি করা একটি বিবৃতির কথা বলা যায়। সেখানে লেখা হয়েছে, এই সংস্থাগুলো  ‘জীবন বাঁচাতে এবং বিশ্বব্যাপী মার্কিন স্বার্থ এগিয়ে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে’। এতে যুক্ত করা হয়েছিল, ইউএসএআইডির ওপর হামলার মধ্য দিয়ে ‘যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক নেতৃত্বকে সমর্থন করে এমন কর্মসূচি স্থগিত করেছে এবং বিপজ্জনক শূন্যতা তৈরি করেছে, যা চীন ও আমাদের প্রতিপক্ষরা দ্রুত পূরণ করবে।’

পশ্চিমা মানবতাবাদ শুধু পথ হারায়নি। এটি শুরু থেকেই পশ্চিমা উপনিবেশবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ। উদাহরণস্বরূপ, ১৮৮৪-১৮৮৫ বার্লিন সম্মেলন ইউরোপের আফ্রিকা বিজয়ের মঞ্চ তৈরি করেছিল, যা একটি মানবিক ঘটনা হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন প্রকল্পগুলো ভেঙে পড়ায় ইউরোপে সংঘাতের বর্বর পরিণতি মোকাবিলা করতে প্রথম মানবিক সংস্থাগুলো গঠন করা হয়েছিল। অনেকে সে সময় গ্লোবাল সাউথে জোরালো ভূমিকা পালন করতে শুরু করে, যেখানে তারা সক্রিয়ভাবে সাম্রাজ্যবাদী আধিপত্যকে সমর্থন করেছিল।
এই সহায়তা শিল্প কার্যত ঔপনিবেশিক ‘সভ্যতা গড়ে তোলার মিশন’ উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে। অন্যের সম্পদ হস্তগত করার আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে ভালোর মুখোশ পরিয়ে দেওয়া এবং বাস্তবে এই পদ্ধতির চ্যালেঞ্জ না করেই এর সবচেয়ে খারাপ দিকগুলো সাজিয়ে-গুছিয়ে দেখানোর চেষ্টা করে। যদি কিছু ঘটে, তাহলে দুটির মধ্যে একটি জৈবিক সম্পর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিক তহবিল সহায়তা 
নিষ্কাশনমূলক বৈশ্বিক বাণিজ্য ও শাসন ব্যবস্থার বৈধতা দেয়, যা ফলস্বরূপ এমন পরিণতি নিয়ে আসে, যা তহবিল সংস্থাগুলোর অস্তিত্বের বৈধতা নিশ্চিত করে। 
ফলস্বরূপ, আজ তহবিল ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর বিস্তার সত্ত্বেও বর্ণবাদী বৈশ্বিক ব্যবস্থায় তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি এবং তা বিভিন্ন জাতির মধ্যে গভীর বৈষম্যভিত্তিক সম্পর্ক তুলে ধরে। ইউএস কংগ্রেসের বাজেট অফিসের ১৯৯৭ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বৈদেশিক সাহায্য সর্বোত্তমভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও মানব কল্যাণের উন্নতিতে গৌণ ভূমিকা পালন করে। এমনকি ‘যে পরিবেশে সেই তহবিল ব্যবহার করা হয় এবং যে শর্তে এটি দেওয়া হয়, তার ওপর ভিত্তি করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’

পশ্চিমা সাহায্য তহবিল শূন্য হয়ে পড়া নিঃসন্দেহে দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক হবে। বিশ্বের সবচেয়ে দুর্বল কিছু মানুষ কষ্ট পাবে এবং অনেকে মারাও যাবে। তবে বিশ্ব যেমন তেমনটাই আমাদের তুলে ধরা উচিত, আমরা যেমনটি চাই তেমনটি নয়। 
এর ফলে এমন এক বিশ্ব সৃষ্টি হবে, যেখানে সাহায্যকে বিশ্বব্যাপী অন্যায়ের আবরণ হতে দেওয়া হবে না। আর তহবিলের অবসানকে ‘উন্নয়ন’-এর সমাপ্তি হিসেবেও দেখা উচিত। আমাদের এমন এক পদ্ধতি গড়ে তুলতে কাজ করতে হবে, যা সত্যই একটি মানবতাবাদী ব্যবস্থাকে দৃশ্যমান করে তুলবে।  

প্যাট্রিক গাথারা: দ্য নিউ হিউম্যানিটারিয়ানে অন্তর্ভুক্তিমূলক গল্প বলার সিনিয়র সম্পাদক

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস থ তহব ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলী গণহত্যার প্রতিবাদে গোগনগরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ 

গাজায় ইসরায়েলী নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিধ্বস্ত অসহায় নিরিহ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দল মত নির্বিশেষে গোগনগরের সর্বস্তরের জনগণ ও গোগনগর জাতীয়তাবাদী ইউনিয়ন মহিলা দল এর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকালে গোগনগর বড় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা হতে বিভিন্ন ওয়ার্ড প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিলটি এবং পরে ফিলিস্তিনি নিহত শিশুর আদলে তৈরী প্রতিকি মরদেহ নিয়ে মানববন্ধন করা হয়।

গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভাপতি পপি হোসাইন বলেন, আমরা মুসলিম, তাই আমাদের নৈতিকতার জায়গা থেকে আজ গোগনগর ইউনিয়ন মহিলা দল ও সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে গাজায় ইসরায়েলীদের নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের মাধ্যমে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলীদের নৃশংস গণহত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরোও বলেন, আজ বিশ্ব মানবতা কোথায়? আপনি ট্রাম্প নৃশংস গণহত্যা বন্ধ করুন। নতুবা সাড়া বিশ্বের মুসলিম আপনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হবে। অতি দ্রুত্বই গাজার যুদ্ধ বন্ধের আর্দেশ দিন। তানাহলে আপনাকে বিশ্ববাসী বয়কট করবে। আজ গাজায় নিরিহ মানুষ সহ নিষ্পাপ শিশুরা নিহত হচ্ছে।

আপনি বিশ্ব মোড়ল। ভারতেও মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে সেখানেও আপনাদের কোন হস্তক্ষেপ নাই। ফিলিস্তিনি শিশুদের আর্তনাদে আমাদের বুক কেঁপে ওঠে। আমরা "মা" তাই সেই শিশুসন্তানের ক্ষুধার যন্ত্রণা আমরা বুঝতে পারি। জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখছেনা।

অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের ভূমি বুঝিয়ে দেওয়া হউক এবং ইজরায়েলের সাথে বিশ্বের সকল দেশকে ব্যাবসা-বানিজ্য ও সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, গোগনগর ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল'র সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্লী আক্তার, প্রচার সম্পাদক শাহিনুর, ইউনিয়ন যুবদল নেতা ইয়াসিন আরাফাত, যুবদল নেতা খাদেম মোঃ মুকবুল চিশতী, মনির হোসেন সহ গোগনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনগণ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ