দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বকেয়া পরিশোধের সিদ্ধান্ত
Published: 7th, March 2025 GMT
দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) উদ্যোগ হিসেবে ভারতের নয়াদিল্লিতে প্রতিষ্ঠিত হয় দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় (এসএইউ)। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশের বকেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি টাকার কিছু বেশি। এই বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি নিয়মিত চাঁদা দেওয়ার মাধ্যমে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।
এ পটভূমিতে পররাষ্ট্র সচিব মো.
পররাষ্ট্র সচিব চিঠিতে জানিয়েছেন, দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সাল থেকে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সম্প্রসারণে অনন্য ভূমিকা
পালন করে আসছে। আন্তর্জাতিক মানের এই বিশ্ববিদ্যালয় সার্কের আটটি সদস্য রাষ্ট্রের যৌথ সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত, যা দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রতিষ্ঠাকালীন চুক্তি অনুযায়ী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো মূলধনি ব্যয় ভারত সরকার বহন করে আসছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির পরিচালন খরচ বাবদ প্রতিবছর সার্ক সদস্য রাষ্ট্রগুলো চাঁদা দিয়ে থাকে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে গঠিত হয় সার্ক। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ২০০৭ সালে যোগ দেয় আফগানিস্তান। আঞ্চলিক এ সংস্থাটির লক্ষ্য ছিল সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বিশ্বাস গড়ে তোলা। তবে দীর্ঘস্থায়ী সংকট ও সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে এক দশকের বেশি সময় ধরে সার্কের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব চিঠিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত চাঁদা দিয়ে এলেও করোনা মহামারি এবং পরে কৃচ্ছ্রসাধন নীতির কারণে সম্পূর্ণ চাঁদা পরিশোধের বদলে টোকেন চাঁদা দেওয়া হয়। এতে করে গত জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বকেয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ লাখ ৫৩ হাজার ৬৯০ মার্কিন ডলার, স্থানীয় মুদ্রা যা ৩৬ কোটি ৬৪ লাখ ৪২ হাজার ৮০০ টাকা। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের জন্য নিয়মিত চাঁদা ১৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ৫১ কোটি ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৪০০ টাকা। অথচ চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা।
এ পরিস্থিতিতে সম্প্রতি মহাপরিচালকের (সার্ক ও বিমসটেক) সভাপতিত্বে অর্থ বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সব বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিবছরের নিয়মিত চাঁদা পরিশোধের পাশাপাশি আগামী তিন অর্থবছরের মধ্যে বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করার উদ্যোগ নিতে হবে। এরই অংশ হিসেবে চলতি অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ও পুনঃউপযোজনের মাধ্যমে বকেয়া চাঁদার কিছু অংশ পরিশোধ করা যেতে পারে। একই সঙ্গে আগামী দুই বাজেটে নিয়মিত চাঁদাসহ বকেয়া পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ রাখার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব চিঠিতে উল্লেখ করেন, বর্তমান সরকার সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য জোটটির বর্তমান চেয়ারম্যান নেপাল, সার্ক সচিবালয়, বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বিশেষায়িত সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ এটি শুধু আমাদের আঞ্চলিক দায়বদ্ধতা পূরণ নয়, বরং উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে দেশের শিক্ষার্থীর জন্য একটি মূল্যবান সুযোগ নিশ্চিত করা।
গত পাঁচ বছরে ১৪১ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছেন বলে চিঠিতে জানানো হয়। এর মধ্যে ১৩৫ জন, অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থীর ৯৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন বৃত্তি ও আর্থিক অনুদান পেয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দক্ষিণ এশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, বৃত্তি ও আর্থিক অনুদানপ্রাপ্ত এবং শিক্ষক ও স্টাফ কর্মরত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির শতভাগ মূলধনি ব্যয় এবং পরিচালন ব্যয়ের ৫৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ ভারত সরকার বহন করে থাকে। তার পরও এই বকেয়া পরিশোধের
মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারবে, যা ভবিষ্যতে সার্কের কার্যক্রমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব এবং অংশগ্রহণকে আরও শক্তিশালী করবে। দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের দায়িত্বশীল অবস্থান প্রতিফলিত করতে এ বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করা প্রয়োজন। তাই ৫১ কোটি টাকা বকেয়া চাঁদা পরিশোধের জন্য প্রাথমিকভাবে ৩০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ অনুমোদনে অনুরোধ জানানো হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সমকালকে বলেন, যে কোনো ক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দের বিষয়টি নির্ভর করে সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রবৃদ্ধির ওপর। সাম্প্রতিক সময়ে রাজস্ব সংগ্রহে বড় ধরনের ধস নেমেছে। তাই কী পরিমাণ বরাদ্দ রাখা যায়, তা নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই সংশোধিত বাজেট চূড়ান্ত হবে। তখন এ বিষয়েও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বক য় ব ল বর দ দ র পর শ ধ র সহয গ ত র জন য সরক র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়লেই মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়বে না
আমাদের বিকাশের সম্ভাবনা বাস্তবায়নের পথে বড় বাধা শিক্ষার নিম্নমান। বিশ্বায়নের যুগে আমাদের ভাবতে হচ্ছে, আমরা কি অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ শ্রমশক্তির ওপর ভর করেই চলব? এমনকি আমাদের দেশের ভালো ব্যবস্থাপকের কাজও কি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের কাছে চলে যাবে?
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের অভিমুখে যাত্রা করছে বাংলাদেশ। সব ঠিক থাকলে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম থাকবে দেশের। তবে সে পথ যে খুব বেশি মসৃণ হবে না, তা বোঝা যায় শিক্ষার মান ও শিক্ষায় বিনিয়োগের মাত্রা দেখে।
শিক্ষার পরিবেশ বিচারে সাক্ষরতার হার আর মানসম্পন্ন শিক্ষা ভিন্ন বিষয়। পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী, সাক্ষরতার হার দাঁড়ায় ৭৭ দশমিক ৯, ১৯৭১ সালে যা ছিল ১৬ দশমিক ৮। অর্থাৎ দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে। শিক্ষায় মানুষের অন্তর্ভুক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। কিন্তু মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত হওয়ার ব্যাপারটি জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশই এখন কর্মক্ষম। এ কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে দরকার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলাদক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও মানসম্পন্ন শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, শিক্ষায় বিনিয়োগ প্রয়োজনের তুলনায় কম। দ্বিতীয়ত, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাক্রম বারবার পরিবর্তন। তৃতীয়ত, একমুখী ও কর্মমুখী শিক্ষার অভাব। চতুর্থত, শিক্ষা প্রশাসনে ন্যূনতম জবাবদিহির অভাব। শিক্ষকদের দুষ্ট রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার।
ইউনেসকোর পরামর্শ হচ্ছে, শিক্ষা খাতে একটি দেশের মোট জিডিপির ৬ শতাংশ এবং বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ ব্যয় হওয়া উচিত। কিন্তু বাংলাদেশে কয়েক বছর ধরে বরাদ্দ ১২ শতাংশের ওপর উঠছে না। জিডিপির বিপরীতে এ খাতে বরাদ্দ ক্রমেই কমছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ বা মোট জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা মোট জিডিপির ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন।
উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হওয়া দেশগুলো মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে কোনো আপস করেনি। দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অনেক দেশের পরিকল্পিত শিক্ষা দেশের সার্বিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রেখেছে। এসব দেশের শিক্ষা খাতে বরাদ্দ অনেক বেশি।
বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কম হওয়ায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেমন হচ্ছে না, তেমনি বেহাল কারিকুলামের। বারবার পরিবর্তন হচ্ছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম। একটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় তখনই বিশ্বসেরার তালিকায় নাম লেখাতে পারে, যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও প্রকাশনা শক্তিশালী হয়। বিনিয়োগ কম ও কর্তাব্যক্তিদের উৎসাহের অভাব থাকায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অনেক পিছিয়ে।
দেশের শিক্ষা খাতে সিংহভাগ ব্যয় হয় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায়। কিন্তু শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে ব্যয় হয় যৎসামান্যই। কিছুটা থাকলেও গবেষণায় নিবেদিত লোক পাওয়া যায় না। বিশ্বব্যাপীই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে একটি দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেসব দেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার সুফল ভালোভাবে ও পরিকল্পিত উপায়ে কাজে লাগাতে পেরেছে, তারাই উন্নতির শীর্ষে আরোহণ করেছে।
বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছে আরও প্রায় এক যুগ আগে, অর্থাৎ ২০১২ সালে। ২০৪০ সালে আমাদের কর্মক্ষম জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। তবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অবস্থা শেষ হবে ২০৫০ সালে।
বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশ বা দুই-তৃতীয়াংশই এখন কর্মক্ষম। এ কর্মক্ষম বিশাল জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগাতে দরকার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা।
এ জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত বিনিয়োগ। বিশাল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়াতে হবে। শুধু সাক্ষরতার হার বাড়ালেই হবে না; মানসম্মত ও কর্মমুখী শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
কর্মক্ষম প্রত্যেক মানুষের জন্য আনুষ্ঠানিক খাত অথবা অনানুষ্ঠানিক খাতে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
এদিকে শিক্ষায় বারবার শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কারণে আমরা আন্তর্জাতিক মান থেকেও পিছিয়ে পড়ছি। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রাথমিক পর্যায়ে একমুখী শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলিত। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ। দেশে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে অন্তত ১১ ধরনের। ধরনভেদে প্রতিষ্ঠানগুলোর কারিকুলাম বা শিক্ষাক্রমেও রয়েছে ভিন্নতা।
স্বাধীনতার এত বছর পরও ইংরেজি, বাংলা আর মাদ্রাসাশিক্ষার মধ্যে আমরা ন্যূনতম সমন্বয় সাধন করতে পারিনি। অন্য অনেক উন্নয়নশীল দেশের মতো আমাদের দেশেও জিডিপির তুলনায় শিক্ষা খাতে স্বল্প বাজেট বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে অনেকেই নিয়মিতভাবে মনোযোগ আকর্ষণ করছেন। তাঁরা এখানে যথার্থই বরাদ্দ বাড়ানোর কথা বলেন।
স্বল্প রাজস্ব আয়ের দেশে এটা তো অবশ্যই বিরাট সমস্যা। তবে এটাও বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে, বরাদ্দের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বরাদ্দের টাকার গুণগত ব্যবহার এবং ব্যবহারে ন্যূনতম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণ। শিক্ষা খাত যেখানে দুর্নীতির আখড়া হিসেবে বিবেচিত হয়, সেই জাতি তার অগ্রগতিকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারে না।
● মামুন রশীদ অর্থনীতি বিশ্লেষক