জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলায় অগ্নিকাণ্ড
Published: 7th, March 2025 GMT
টিলায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার পরও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টিলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসংলগ্ন টিলায় এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার কর্মচারী আবদুল কাদের বলেন, আজ দুপুরের দিকে শহীদ মিনারের পেছনে আগুন লাগে। পরবর্তী সময়ে নিরাপত্তা ও এস্টেট শাখার কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কারা আগুন লাগিয়েছে জানতে পারেননি। এ নিয়ে গত দুই মাসে নিউজিল্যান্ড নামক টিলা, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের পাশের টিলাসহ বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১০ বার আগুন লেগেছে।
ভূসম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার প্রধান অধ্যাপক আবুল হাসনাত প্রথম আলোকে বলেন, ‘অধিকাংশ স্থানে আকাশমণি গাছের শুকনা পাতা এবং শুষ্ক মৌসুমের কারণে আগুন তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ সাধারণত ধূমপান করে সিগারেটের বাকি অংশ ফেলে রাখলেও আগুন ধরে যেতে পারে। তবে আজকে কে বা কাদের মাধ্যমে আগুন লেগেছে, তা জানা যায়নি। আগুনে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জায়গার মতো পুড়েছে। তবে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্যাম্পাসের টিলা এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে কর্তৃপক্ষ। তবে ১০ দিনের মাথায় টিলায় আবারও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হৃদয়ের শাস্তি কার্যকর হবে এক বছর পর
নানা নাটকিয়তার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট (বিসিবি) বোর্ড বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তাওহীদ হৃদয়ের এক ম্যাচ শাস্তি কার্যকর হবে এক বছর পর। অর্থ্যাৎ আগামী বছরের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক ম্যাচ কম খেলতে হবে মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের অধিনায়ককে।
দফায় দফায় বৈঠকসহ নানা নাটকীয়তার পর রাতে বিবৃতি দেয় বোর্ড। বিবৃতিতে বলা হয়, ক্রিকেটের স্পিরিটি রক্ষার স্বার্থে এবং ক্রিকেট সম্প্রদায়ের ঐক্যের স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অসদাচরণ করে হৃদয় নিষিদ্ধ হলেও মূলত ক্লাব ও ক্রিকেটারদের চাপে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় বিসিবি।
মাঠে এবং মাঠের বাইরে অসাদচরণের জন্য মোহামেডান অধিনায়ককে নিষিদ্ধ করে বোর্ড। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটির চাপে এক ম্যাচ শাস্তি কমানো হয়। এই নিয়ে দেশের ক্রিকেটে নতুন এক সংকট তৈরি হয়।
পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এনামুল হক, পদত্যাগ করতে চান আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা সৈকত। পরবর্তীতে বিসিবি হৃদয়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এরে খেপে যান ক্রিকেটাররা।
শুক্রবার তামিমের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা এর বিরুদ্ধে গিয়ে মিরপুরে একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ ও দুই পরিচালকসহ তামিমদের বৈঠকের মাধ্যমে ঘটে নাটকের সমাপ্তি।
তামিম বলেন, “প্রথম কথা হলো তাওহীদ হৃদয়ের ইস্যুটা। ওর সঙ্গে মাঠে ইনসিডেন্ট হয়, ওকে দুটা ম্যাচের জন্য সাসপেন্ড করে। তখন কিন্তু কোনো খেলোয়াড় বা কেউ এটা নিয়ে কথা বলেনি। আম্পায়ার আর ম্যাচ রেফারি মিলে তাকে সাসপেন্ড করেছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমরা মনে করতে পারি সিদ্ধান্তটা কঠোর ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে আমরা কিন্তু কেউ কোনো কথা বলিনি।তার কিছুদিন পর দেখলাম যে দুই ম্যাচ থেকে এক ম্যাচ করা হলো। এটা বিসিবি করেছে, তখনও আমরা কেউ কোনো কথা বলিনি।”
মোহামেডান চাপ দিলেও তামিম এটি ধরতেই রাজি না, “মোহামেডান থেকে চাপ দিয়ে খেলানো হয়েছে কি হয়নি সেটা জরুরি না। তাকে কি বিসিবি খেলতে এলাউ করেছে! যদি করে তাহলে আবার একই কেসে কেমনে শাস্তি দেন। এটা নিয়ে আমাদের বিতর্ক হয়েছে উনাদের আমরা সুন্দর করে অবস্থান পরিষ্কার করেছি আমরা কি অনুভব করি। তারপর উনারা উনাদের মতো সিদ্ধান্ত দেবেন।”
ঢাকা/রিয়াদ