খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি পুনর্গঠন
Published: 7th, March 2025 GMT
খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার মজলিসে শূরার বার্ষিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) মহানগর মজলিস কার্যালয়ে এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
বার্ষিক অধিবেশনে মাওলানা আহমদ আলী জেলা সভাপতি ও মিজানুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এবং হাফেজ কবির হোসাইন মহানগর সভাপতি ও ইলিয়াস আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। ।
সংগঠনের জেলা সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমদ আলীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এবিএম সিরাজুল মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শাখা পুনর্গঠন কার্যক্রম পরিচালনা করেন- সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম।
শূরা সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে ২০২৫ - ২৬ সেশনের জন্য জেলা সভাপতি হিসেবে হাফেজ মাওলানা আহমদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মিজানুর রহমান এবং মহানগর সভাপতি হিসেবে হাফেজ কবির হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইলিয়াস আহমদ নির্বাচিত হন।
শূরা সদস্যদের সাথে পরামর্শ করে ২৩ সদস্য মহানগর কমিটি এবং ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এসময় নেতৃবৃন্দের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা বজলুল হক, ঢাকা পূর্ব জোনের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক শাহ আলম, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রমুখ।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ মজল স সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে : খেলাফত মজলিস
ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে খেলাফত মজলিসের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ বলেছেন- নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তার ১০ টির মত প্রস্তাবনা সরাসরি কুরআনের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। কমিশনের প্রতিবেদনে মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে।
মুসলিম পারিবারিক আইন সংস্কার করে সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে যেখানে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে নারী-পুরুষের কথিত সমান অধিকার থাকবে। স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করতে পারবে।
যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর করারও প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন- আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, দেশের স্বার্থে, ইসলামের স্বার্থে এবং নারীদের স্বার্থে এই কমিশন বাতিল করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এই কমিশন দাঁড়িয়েছে। তারা পরিবার ও সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরির অপচেষ্টা করছে। পাশ্চাত্য জীবন দর্শনে প্রভাবিত কমিশনের এসব সদস্যরা বাংলাদেশের নারীদের সর্বসাধারণের আদৌ প্রতিনিধিত্ব করেন না।
এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিলে তা হবে ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের উপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। কমিশনের এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। এই কমিশন বাতিল ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত সকলকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
সম্প্রতি ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংস্কারের মাধ্যমে মুসলিমদের সম্পত্তি উচ্ছেদ ও বাজেয়াপ্ত করছে বিজেপি সরকার। কাশ্মীরের মুসলমানদের উপর ফিলিস্তিনের গাজার মত গণহত্যা চালানোর জন্য বিজেপি নেতারা উস্কানি দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় মুসলমানদের উপর উগ্রবাদী হিন্দুত্ববাদের সকল আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাই।
ভারত সরকারকে তার নিজ দেশের সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানাই। বাদ জুমা খেলাফত মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগর আয়োজিত ইসলাম বিদ্বেষী নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
২৫ এপ্রিল বাদ জুমআ নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে খেলাফত মজলিসের মহানগর সভাপতি হাফেজ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর সহ-সাধারণ সম্পাদক মুফতী শেখ শাব্বীর আহমাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিসের মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমদ, জেলা সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ফতুল্লা থানা সভাপতি কামরুল হাসান পায়েল, সদর থানা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাফেজ আওলাদ, ফতুল্লা থানা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ মাহমুদ, ইসলামী যুব মজলিসের মহানগর সভাপতি ডাঃ মোতাহার হুসাইন, ইসলামী ছাত্র মজলিসের মহানগর সভাপতি মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ডিআইটি মসজিদের সামনে এসে সমাপ্ত হয়।