বাংলাদেশের নারী ও প্রগতিশীল সমাজ বর্তমানে এক ভয়াবহ দুঃসময় পার করছে। দেশে নারী বিদ্বেষ ও নারীর প্রতি সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে। ২০২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি গোষ্ঠী গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে নানা অপচেষ্টা করছে। তারা নারীদের নিয়ে বিদ্বেষ ছড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের ওপর সহিংসতা ও আক্রমণ চালাচ্ছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স) এ কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে সিপিবির নেতারা বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, মানবিক, শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে চেয়েছিলাম, সেটাকে পেছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা এবং সব কাজে সমান সুযোগ ও সমান মজুরি ছাড়া দেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা যাবে না।’

‘তৌহিদি জনতা’র নামে ধর্মীয় মৌলবাদী গোষ্ঠী নারীর বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে উল্লেখ করে সিপিবির বিবৃতিতে বলা হয়, একের পর এক আক্রমণের ঘটনা ঘটাচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে নারীদের হেনস্তা করার পরও সরকার হেনস্তাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এসব অপশক্তিকে দমন করতে না পারার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে।

বিদ্যমান শোষণ-নিপীড়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে নারী সমাজকে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে বলে মনে করেন সিপিবির নেতারা। তাঁরা বলেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে শোষণ-নিপীড়ন বাড়তেই থাকে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারী সমাজ। কিন্তু গণ-অভ্যুত্থানের পরও বাংলাদেশে নারী নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ ও শিশুহত্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো প্রান্তে নারী ও শিশুরা খুন-ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সিপিবির কেন্দ্রীয় নারী সেলের উদ্যোগে আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় মুক্তি ভবনের সামনে সমাবেশ ও র‍্যালি করবে সিপিবি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটির পর প্রাণ ফিরল বাংলাবান্ধা বন্দরে

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আটদিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর বন্ধ থাকার পর আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বন্দরের কার্যক্রম।

বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন। তিনি বলেন,গত ২৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মোট আটদিন ব্যবসায়িক সব কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। আজ রোববার সকাল থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সাব ইন্সপেক্টর ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের টানা আটদিন ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক ছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন পার্বত্য অঞ্চলে ব্যাংক বন্ধ ১৩ এপ্রিল
  • চৈত্রসংক্রান্তিতে তিন পার্বত্য জেলায় বন্ধ থাকবে ব্যাংক
  • মার্চ মাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে নগদ
  • পহেলা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ আরোপিত সংস্কৃতি: মৎস্য উপদেষ্টা
  • ‘চক্কর’-এর পর এলো মোশাররফ করিমের নতুন সিনেমার খবর
  • বউমেলায় বেশির ভাগ ক্রেতা নারী
  • রাম নবমী উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে হিন্দু মহাজোট
  • জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস আজ
  • টানা ৯ দিনের ছুটি শেষে খুলেছে অফিস-আদালত 
  • ছুটির পর প্রাণ ফিরল বাংলাবান্ধা বন্দরে