সোনারগাঁয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে সোনারগাঁয়ের পানাম টুরিস্ট হোম পিকনিক স্পটে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আয়োজনে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ, এবং সঞ্চালনা করেন সোনারগাঁয়ের বিশিষ্ট লেখক খন্দকার পনির।

ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল আমিন।

এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শহীদ মেহেদী হাসানের বাবা সানাউল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির সোনারগাঁয়ের নেতা ইমন, পারভেজ সরকার, মোস্তাফা, সেলিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা অংশ নেন এবং রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও দেশের সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তুহিন মাহমুদ জানান, সোনারগাঁয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম আজকের এই ইফতার ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে শুরু হলো।

 তিনি বলেন, "আমরা জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চাই এবং সোনারগাঁয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সকলের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ কামনা করছি।"

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ইফত র অন ষ ঠ এনস প ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ