ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের ব্যর্থতা শিক্ষার্থীদের চরমভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সম্প্রতি এক কর্মচারী কর্তৃক এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার ঘটনায় আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা এই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার বেলা একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একজন নারী শিক্ষার্থীকে তাঁর পোশাকপরিচ্ছদ নিয়ে হেনস্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী বাইন্ডার মোস্তফা আসিফ অর্ণব। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের তত্ত্বাবধানে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একদল উগ্রবাদী ব্যক্তি অনলাইনে ও অফলাইনে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ায়। তাঁরা পুরো ঘটনাকে ধর্মীয় রূপে সাজিয়ে অভিযুক্তকে মুক্ত করার দাবিতে ওই দিন সারা রাত শাহবাগ থানায় অবস্থান নেন।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার বিচার দাবি করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিবৃতি৪ ঘণ্টা আগে

ছাত্রদলের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ভুক্তভোগী নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে অনলাইনে-অফলাইনে তিনি নানা রকমের সহিংস হুমকি-ধমকি পাচ্ছেন। বিভিন্ন অসদুপায়ে চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে তাঁকে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনভাবে নিজ ধর্মচর্চার অধিকার খর্ব এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস এবং সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন নারী হেনস্তার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক অভিযুক্তের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তা, গ্রেপ্তার আসামির জামিন০৬ মার্চ ২০২৫আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে হেনস্তার ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন০৬ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল

এছাড়াও পড়ুন:

জামিনে মুক্ত সাবেক এমপি আজিজকে মারধর, ফের কারাগারে

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সদ্য কারামুক্ত সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজকে আরেক মামলায় আবারও কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গত ২৪ আগস্টে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে আজিজকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ আমলী আদালতে হাজির করা হলে বিচারক গোলাম ওমর ফারুক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিরাজগঞ্জ আদালতের কোর্ট ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই ও তাড়াশ আমলী আদালতের জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) শিউলী খাতুন।

এর আগে হাইকোর্ট থেকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিন পান আব্দুল আজিজ। মঙ্গলবার বিকালে এ-সংক্রান্ত আদেশের কাগজপত্র সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে আসে। রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সিরাজগঞ্জের কারা তত্ত্বাবধায়ক মো. কামরুজ্জামান জানান, স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর আজিজকে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা মারধর করে বলে শুনেছি।

সদর থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি মো. হুমায়ন কবির বলেন, রাত ৯টার দিকে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা আজিজকে থানায় দিয়ে যায়।
 
গত ৪ ফেব্রুয়ারি হত্যাচেষ্টা মামলায় ডা. আজিজকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওইদিন ঢাকার বাংলামোটর এলাকার পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ