হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির টহল দল মালঞ্চপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে ফাতেমা নামে এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে।
শুক্রবার ভোররাতে মালঞ্চপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। ফাতেমা বেগম বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বদনিভাঙ্গা গ্রামের মনির হোসেনের স্ত্রী।
বিজিবি জানায়, শুক্রবার ভোরে দু’জন লোক অবৈধ পথে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে বাংলাদেশি নাগরিক ফাতেমা বেগম বিজিবির হাতে আটক হন। অপরজন মোবাইল ফোন ফেলে পালিয়ে যান। আটকদের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশি নাগরিক ফাতেমাকে বিজিবি জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে। এক বছর আগে ভারতের কাশ্মীরে বসবাসরত ফাতেমা স্বামীর কাছে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশে ফেরত আসতে গিয়ে ধর্মঘর বিওপির টহল দলের হাতে তিনি আটক হন।
ফাতেমার স্বামী ভারতের কাশ্মীরে ভাঙাড়ির ব্যবসা করেন। তাঁর কাছ থেকে ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। আটক ফাতেমাকে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারাহ ইমতিয়াজ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিজিবি তৎপর রয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।